বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অসহায় মানুষের বন্ধু গুরুদাসপুরের পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:১৯:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০
  • ৬৭ Time View

প্রভাষক মো.মাজেম আলী মলিন.
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে যা আয় করেছেন তার সিংহ ভাগই ব্যায় করেছেনে সমাজের খেটে খাওয়া মানুষ আর তৃর্ণমুলের নেতাকর্মীদের মাঝে। সারা জীবন শুধু দিয়েই গেছেন বিনিময়ে পেয়েছেন গণমানুষের ভালবাসা আর দোয়া। পুরোটা রাজনৈতিক জীবন জুড়েই রয়েছে অসংখ্য ত্যাগ-তিতিক্ষা যা রাজনৈতিক কর্মী মহলের সবারই জানা।
তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন জননেতা মো.শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা। রাজনৈতিক পরিবারেই তার জন্ম। ছাত্র জীবন থেকেই দিনরাত পাগলের মত ছুটে চলতেন দলের পিছনে। মিছিল মিটিংয়ে ব্যাস্ত থাকতেন সব সময়। অবশ্য এসবের জন্য তাকে জেল জুলুম শারীরিক লাঞ্চনাও সহ্য করতে হয়েছে বহুবার। ছাত্র জীবন থেকেই দলের বিভিন্ন গুরুত্ব পুর্ণ পদে অসিন হয়েছেন তিনি।
১৯৯৩ সালে বিলচলন শহীদ সামসুজোহা কলেজের ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে ভিপি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে গুরুদাসপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি নির্বচিত হন। এর পর আর থামতে হয়নি তাকে পর পর গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই বারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং গুরুদাসপুর পৌরসভার দুই বারের নির্বাচিত মেয়র। সকলের দোয়া এবং ভালবাসা নিয়ে তিনি এখনো মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন।
রাজনৈতিক জীবনে সফলতার পাশাপাশি কিছুটা ব্যর্থতাও থেকে যায। একজন মানুষ শতভাগ সফল কখনোই হতে পারেনা। তার পরেও তিনি চেষ্টা করেছেন পৌরপতি হিসাবে পৌরসভাটাকে সাজাতে। ইতিমধ্যেই তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ণ কাজও করেছেন। বাঁকি কাজ গুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে যা নির্বাচনের পুর্বেই শেষ হবে বলে তিনি জানান।

মানবতার অতন্ত্র প্রহরী এই নেতা দলের এবং সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষের পাশে থাকেন সার্বক্ষনিক। খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে অবিরাম ছুটে চলেন অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি। মানুষের খোঁজ খবর নেন এবং করোনা মোকাবেলায় পরামর্শসহ সরকারি সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে চলেছেন তিনি।
জানা যায়, পৌর এলাকার বাইরেও অসহায় মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করছে “শাহনেওয়াজ আলী মেয়র জনকল্যাণ ট্রাস্ট” এর মাধ্যমে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অসহায় মানুষের বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী ও প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। বিভিন্ন অবদান ও মানব সেবার কারনে বিদেশ ভ্রমণসহ পুরুস্কারও পেয়েছেন মেয়র।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, মেয়র শাহনেওয়াজ ব্যাক্তি উদ্যোগে যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এভাবে অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। দুর্যোগে দু:সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকায় আমি তাকে স্বাগত জানাই।
“শাহনেওয়াজ আলী মেয়র জনকল্যাণ ট্রাস্ট” এর পরিচালক ইমরান শাহ জানান, ট্রাস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত ২ হাজার ৯৯০ অসহায় পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি আলুসহ নগদ টাকাও দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি অধ্যাপক আত্হার হোসেন বলেন, দুর্যোগ মুহুর্তে করোনা সংক্রমনের মধ্যেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মেয়র শাহনেওয়াজ। শুধু তাই নয় তার কাছে এসে কেউ রিক্ত হস্তে ফিরে গেছেনে বলে আমার জানা নেই।
নাটোরের ৮টি পৌরসভার মধ্যে গুরুদাসপুরের সার্বিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভাল দাবী করে মেয়র শাহনেওয়াজ আলী এ প্রতিবেদককে জানান, ঘুম হারাম করে কর্মহীন মানুষদের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এসব অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রীসহ মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সাধ্যমত বিতরণ করছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ওই ট্রাস্টের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

Tag :
Popular Post

গরমে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

অসহায় মানুষের বন্ধু গুরুদাসপুরের পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ।

Update Time : ১২:১৯:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০

প্রভাষক মো.মাজেম আলী মলিন.
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে যা আয় করেছেন তার সিংহ ভাগই ব্যায় করেছেনে সমাজের খেটে খাওয়া মানুষ আর তৃর্ণমুলের নেতাকর্মীদের মাঝে। সারা জীবন শুধু দিয়েই গেছেন বিনিময়ে পেয়েছেন গণমানুষের ভালবাসা আর দোয়া। পুরোটা রাজনৈতিক জীবন জুড়েই রয়েছে অসংখ্য ত্যাগ-তিতিক্ষা যা রাজনৈতিক কর্মী মহলের সবারই জানা।
তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন জননেতা মো.শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা। রাজনৈতিক পরিবারেই তার জন্ম। ছাত্র জীবন থেকেই দিনরাত পাগলের মত ছুটে চলতেন দলের পিছনে। মিছিল মিটিংয়ে ব্যাস্ত থাকতেন সব সময়। অবশ্য এসবের জন্য তাকে জেল জুলুম শারীরিক লাঞ্চনাও সহ্য করতে হয়েছে বহুবার। ছাত্র জীবন থেকেই দলের বিভিন্ন গুরুত্ব পুর্ণ পদে অসিন হয়েছেন তিনি।
১৯৯৩ সালে বিলচলন শহীদ সামসুজোহা কলেজের ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে ভিপি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে গুরুদাসপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি নির্বচিত হন। এর পর আর থামতে হয়নি তাকে পর পর গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই বারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং গুরুদাসপুর পৌরসভার দুই বারের নির্বাচিত মেয়র। সকলের দোয়া এবং ভালবাসা নিয়ে তিনি এখনো মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন।
রাজনৈতিক জীবনে সফলতার পাশাপাশি কিছুটা ব্যর্থতাও থেকে যায। একজন মানুষ শতভাগ সফল কখনোই হতে পারেনা। তার পরেও তিনি চেষ্টা করেছেন পৌরপতি হিসাবে পৌরসভাটাকে সাজাতে। ইতিমধ্যেই তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ণ কাজও করেছেন। বাঁকি কাজ গুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে যা নির্বাচনের পুর্বেই শেষ হবে বলে তিনি জানান।

মানবতার অতন্ত্র প্রহরী এই নেতা দলের এবং সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষের পাশে থাকেন সার্বক্ষনিক। খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে অবিরাম ছুটে চলেন অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি। মানুষের খোঁজ খবর নেন এবং করোনা মোকাবেলায় পরামর্শসহ সরকারি সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে চলেছেন তিনি।
জানা যায়, পৌর এলাকার বাইরেও অসহায় মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করছে “শাহনেওয়াজ আলী মেয়র জনকল্যাণ ট্রাস্ট” এর মাধ্যমে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অসহায় মানুষের বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী ও প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। বিভিন্ন অবদান ও মানব সেবার কারনে বিদেশ ভ্রমণসহ পুরুস্কারও পেয়েছেন মেয়র।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, মেয়র শাহনেওয়াজ ব্যাক্তি উদ্যোগে যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এভাবে অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। দুর্যোগে দু:সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকায় আমি তাকে স্বাগত জানাই।
“শাহনেওয়াজ আলী মেয়র জনকল্যাণ ট্রাস্ট” এর পরিচালক ইমরান শাহ জানান, ট্রাস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত ২ হাজার ৯৯০ অসহায় পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি আলুসহ নগদ টাকাও দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি অধ্যাপক আত্হার হোসেন বলেন, দুর্যোগ মুহুর্তে করোনা সংক্রমনের মধ্যেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মেয়র শাহনেওয়াজ। শুধু তাই নয় তার কাছে এসে কেউ রিক্ত হস্তে ফিরে গেছেনে বলে আমার জানা নেই।
নাটোরের ৮টি পৌরসভার মধ্যে গুরুদাসপুরের সার্বিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভাল দাবী করে মেয়র শাহনেওয়াজ আলী এ প্রতিবেদককে জানান, ঘুম হারাম করে কর্মহীন মানুষদের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এসব অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রীসহ মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সাধ্যমত বিতরণ করছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ওই ট্রাস্টের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।