সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সফল ইউটিউবার হতে কী কী করবেন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৫৮:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০
  • ৪০ Time View

মোস্তাকিম জনি. 

সফল ইউটিউবার হতে চাইলে অবশ্যই ধৈর্য ও সততার পরিচয় দিতে হবে। চ্যানেল তৈরির সঙ্গে সঙ্গেই হাজার হাজার ভিউ ও সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে অথবা হাজার হাজার টাকা আয় হবে, এটি ভাবা ঠিক নয়

এসময়ে ভিডিও মানেই যেন ইউটিউব। এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন, যিনি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অথচ ইউটিউব ব্যবহার করেন না। শিক্ষা, বিনোদন, খেলা, সংবাদ, প্রযুক্তি, সাজসজ্জা, রান্না ও ভ্রমণ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের ভিডিও রয়েছে ইউটিউবে। ইউটিউব যেমনি শিক্ষা-বিনোদনের এক অনন্য মাধ্যমে পরিণত হয়েছে, তেমনি ইউটিউব বর্তমান সময়ে অর্থ উপার্জনেরও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করে আপনি যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, তেমনই আয় করতে পারেন।

সফল ইউটিউবার হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ও সততার পরিচয় দিতে হবে। আপনার ভিডিওর বিষয়বস্তু হতে হবে স্বতন্ত্র । চ্যানেল তৈরি করার সঙ্গে সঙ্গেই হাজার হাজার ভিউ ও সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে অথবা হাজার হাজার টাকা আয় হবে—এটা ভাবা ঠিক নয়। সফলতার জন্য সময় ও শ্রম দিতে হবে।

সফল ইউটিউবার হওয়ার কিছু টিপস-

ভিডিও বানানোর প্রতি আগ্রহ

আপনি নিজেকে একটা প্রশ্ন করুন, শেষ কবে আপনি মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করেছেন? আপনার যদি ভিডিওগ্রাফির প্রতি ভালোলাগা থাকে তবে আপনি ইউটিউবে আসুন। অন্যরা ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করছে তাই দেখে আপনিও ইউটিউবে আসলেন তবে ইউটিউবে আপনার সফল হবার সম্ভাবনা কম। ভিডিও কন্টেন্ট বানানো একটি ক্রিয়েটিভ কাজ, এই কাজ সবার ভালো লাগে না, ভিডিও কন্টেন্ট বানাতে যদি আপনার আগ্রহ থাকে তবে আপনি সফল হতে পারবেন।

নির্দিষ্ট বিষয়ে ভিডিও আপলোড

আপনি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর চ্যানেল বানাতে পারলে বা নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করলে ভালো করবেন, কারণ আপনি যদি আপনার চ্যানেলে আজকে এক বিষয়ে, কালকে আরেক বিষয়ে ভিডিও দেন তাহলে আপনি কাজের ধারাবাহিকতা পাবেন না, আর অডিয়েন্সও এতে বিরক্ত হয়। তাই নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর কাজ করুন ভালো ফলাফল পাবেন। এরফলে আপনার অডিয়েন্সের একটি বেজ তৈরি হবে আর নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের ওপর একটি চ্যানেল দাঁড়িয়ে গেলে সেই একটি চ্যানেল দিয়ে আরো কয়েকটি চ্যানেল দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারবেন।

ভিডিওর ভিউ বাড়াবেন

ভিডিওটি আপনার কাছের বন্ধু-বান্ধব এর কাছে শেয়ার করুন তাদের দেখতে বলুন এবং শেয়ার করতে বলুন এবং সাসক্রাইব করতে বলুন আর ভিডিওটি ফেসবুক, টুইটার, রেডিট, গুগোল প্লাস’এ শেয়ার করতে বুলবেন না, আর টুইটার এ ফলোয়ার বাড়াতে টুইপি সাইটটা ব্যবহার করতে পারেন ভালো ফল পাবেন, আর আপনি যদি আরেকটু তাড়াতাড়ি সফল হতে চান তাহলে ফাইবারের সার্ভিস নিতে পারেন এখান থেকে ভিউ ও সাস্ক্রাইবার কিনতে পারবেন আপনার পরিচিত ইউটিউবারকে আপনার ভিডিওটি দেখতে এবং সাস্ক্রাইব করতে বলুন এতে করে আপনার ভিডিওটিরও মিলিয়ন ভিউ হয়ে যাবে।

নিয়মিত ভিডিও বানানো

ইউটিউবে সফলতা চাইলে যে কাজটি না করলেই নয় সেটি হচ্ছে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করা। আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ে রুটিন করে ভিডিও আপলোড করুন । আপনি চেষ্টা করুন যেন প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে হলেও ভিডিও আপলোড করতে। আর ভিডিও আপলোড করার একটি সময় নির্ধারণ করুন যদি বাংলাদেশের কোনো কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করেন তাহলে দিনেরবেলা ভিডিও আপলোড করুন আর যদি দেশের বাইরের কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করেন তাহলে রাতে ভিডিও আপলোড করতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই চেষ্টা করবেন ভিডিও পাবলিশ করার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে।

আয়

ইউটিউবের আয় মূলত পরোক্ষ আয় (প্যাসিভ ইনকাম)। ইউটিউবের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে যে আয় হয় তার একটি অংশ ভিডিও নির্মাতা বা ক্রিয়েটরকে দেওয়া হয়। এখানে এমন কোনো সমীকরণ নেই যে এক হাজার ভিউ হলে এত ডলার আয় হবে। ইউটিউবে চ্যানেল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ভিডিও মনিটাইজেশন করতে পারবেন না। ইউটিউব থেকে আয় করতে আপনাকে ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রামে অংশ নিতে হবে। আপনার চ্যানেলটিতে ১২ মাসে কমপক্ষে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার ও চার হাজার ঘণ্টা ওয়াচটাইম থাকলে, তা মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করা যাবে।

Tag :

সফল ইউটিউবার হতে কী কী করবেন

Update Time : ০৪:৫৮:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০

মোস্তাকিম জনি. 

সফল ইউটিউবার হতে চাইলে অবশ্যই ধৈর্য ও সততার পরিচয় দিতে হবে। চ্যানেল তৈরির সঙ্গে সঙ্গেই হাজার হাজার ভিউ ও সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে অথবা হাজার হাজার টাকা আয় হবে, এটি ভাবা ঠিক নয়

এসময়ে ভিডিও মানেই যেন ইউটিউব। এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন, যিনি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অথচ ইউটিউব ব্যবহার করেন না। শিক্ষা, বিনোদন, খেলা, সংবাদ, প্রযুক্তি, সাজসজ্জা, রান্না ও ভ্রমণ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের ভিডিও রয়েছে ইউটিউবে। ইউটিউব যেমনি শিক্ষা-বিনোদনের এক অনন্য মাধ্যমে পরিণত হয়েছে, তেমনি ইউটিউব বর্তমান সময়ে অর্থ উপার্জনেরও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করে আপনি যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, তেমনই আয় করতে পারেন।

সফল ইউটিউবার হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ও সততার পরিচয় দিতে হবে। আপনার ভিডিওর বিষয়বস্তু হতে হবে স্বতন্ত্র । চ্যানেল তৈরি করার সঙ্গে সঙ্গেই হাজার হাজার ভিউ ও সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে অথবা হাজার হাজার টাকা আয় হবে—এটা ভাবা ঠিক নয়। সফলতার জন্য সময় ও শ্রম দিতে হবে।

সফল ইউটিউবার হওয়ার কিছু টিপস-

ভিডিও বানানোর প্রতি আগ্রহ

আপনি নিজেকে একটা প্রশ্ন করুন, শেষ কবে আপনি মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করেছেন? আপনার যদি ভিডিওগ্রাফির প্রতি ভালোলাগা থাকে তবে আপনি ইউটিউবে আসুন। অন্যরা ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করছে তাই দেখে আপনিও ইউটিউবে আসলেন তবে ইউটিউবে আপনার সফল হবার সম্ভাবনা কম। ভিডিও কন্টেন্ট বানানো একটি ক্রিয়েটিভ কাজ, এই কাজ সবার ভালো লাগে না, ভিডিও কন্টেন্ট বানাতে যদি আপনার আগ্রহ থাকে তবে আপনি সফল হতে পারবেন।

নির্দিষ্ট বিষয়ে ভিডিও আপলোড

আপনি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর চ্যানেল বানাতে পারলে বা নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করলে ভালো করবেন, কারণ আপনি যদি আপনার চ্যানেলে আজকে এক বিষয়ে, কালকে আরেক বিষয়ে ভিডিও দেন তাহলে আপনি কাজের ধারাবাহিকতা পাবেন না, আর অডিয়েন্সও এতে বিরক্ত হয়। তাই নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর কাজ করুন ভালো ফলাফল পাবেন। এরফলে আপনার অডিয়েন্সের একটি বেজ তৈরি হবে আর নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের ওপর একটি চ্যানেল দাঁড়িয়ে গেলে সেই একটি চ্যানেল দিয়ে আরো কয়েকটি চ্যানেল দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারবেন।

ভিডিওর ভিউ বাড়াবেন

ভিডিওটি আপনার কাছের বন্ধু-বান্ধব এর কাছে শেয়ার করুন তাদের দেখতে বলুন এবং শেয়ার করতে বলুন এবং সাসক্রাইব করতে বলুন আর ভিডিওটি ফেসবুক, টুইটার, রেডিট, গুগোল প্লাস’এ শেয়ার করতে বুলবেন না, আর টুইটার এ ফলোয়ার বাড়াতে টুইপি সাইটটা ব্যবহার করতে পারেন ভালো ফল পাবেন, আর আপনি যদি আরেকটু তাড়াতাড়ি সফল হতে চান তাহলে ফাইবারের সার্ভিস নিতে পারেন এখান থেকে ভিউ ও সাস্ক্রাইবার কিনতে পারবেন আপনার পরিচিত ইউটিউবারকে আপনার ভিডিওটি দেখতে এবং সাস্ক্রাইব করতে বলুন এতে করে আপনার ভিডিওটিরও মিলিয়ন ভিউ হয়ে যাবে।

নিয়মিত ভিডিও বানানো

ইউটিউবে সফলতা চাইলে যে কাজটি না করলেই নয় সেটি হচ্ছে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করা। আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ে রুটিন করে ভিডিও আপলোড করুন । আপনি চেষ্টা করুন যেন প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে হলেও ভিডিও আপলোড করতে। আর ভিডিও আপলোড করার একটি সময় নির্ধারণ করুন যদি বাংলাদেশের কোনো কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করেন তাহলে দিনেরবেলা ভিডিও আপলোড করুন আর যদি দেশের বাইরের কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করেন তাহলে রাতে ভিডিও আপলোড করতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই চেষ্টা করবেন ভিডিও পাবলিশ করার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে।

আয়

ইউটিউবের আয় মূলত পরোক্ষ আয় (প্যাসিভ ইনকাম)। ইউটিউবের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে যে আয় হয় তার একটি অংশ ভিডিও নির্মাতা বা ক্রিয়েটরকে দেওয়া হয়। এখানে এমন কোনো সমীকরণ নেই যে এক হাজার ভিউ হলে এত ডলার আয় হবে। ইউটিউবে চ্যানেল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ভিডিও মনিটাইজেশন করতে পারবেন না। ইউটিউব থেকে আয় করতে আপনাকে ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রামে অংশ নিতে হবে। আপনার চ্যানেলটিতে ১২ মাসে কমপক্ষে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার ও চার হাজার ঘণ্টা ওয়াচটাইম থাকলে, তা মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করা যাবে।