শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এই সময়ে লোডশেডিং কেন ?

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪২:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০
  • ১৪৯ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক বনলতা নিউজ ডেস্ক.
পুরো নাটোর জুড়ে হালকা লকডাউন চলছে। এর মধ্যে রমজান মাসও শেষের দিকে । দুঃখজনক বিষয় এ সময়ে গুরুদাসপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় বিদ্যুতের গ্রাহকদের দুর্ভোগও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে লোডশেডিংয়ের ঘটনা অনাকাংক্ষিত। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারি-বেসরকারি অফিস কলকারখানা বন্ধ। চলনবিলের অধিকাংশ কৃষি সেচ কার্য শেষ তবুও কেন লোডশেডিং হচ্ছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন জনমনে।
জানা যায়, বর্তমানে দিনে তিন থেকে চার দফা করে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। প্রতিবার কমপক্ষে আধা ঘণ্টার জন্য এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে কখনো বা ঝড় বৃষ্টি হলে ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা। গুরুদাসপুর সদর, বিয়াঘাট, নাজিপুর,চাপিলা,মশিন্দা, ধারাবারিষা,খুবজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে নিয়মিত। গ্রমাঞ্চলে বিদ্যুৎ গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বিদ্যুতের দেখা মেলে না। লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় গুরুদাসপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম এর কাছেও অভিযোগ গেছে অনেক তার পরও মিলছেনা প্রতিকার।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কথা হয় সাবগাড়ী এলাকার মিঠু সরদার,নাজির পুরের সেবক কুন্ডু,মশিন্দার তারেকসহ অনেকের সাথে তারা জানান, । দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বেড়েছে, তারপরও মানুষের ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না এটা দুর্ভাগ্যজনক। আবহাওয়া ঠান্ডা থাকার কারণে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার কমছে। অফিস-আদালত ও শিল্প-কারখানা বন্ধ রয়েছে। হাট-বাজার বন্ধ তার পরও এখন তো অফ সিজন। তারা আরো জানান-বার বার বিদূৎ গেলে বিদুৎ বিলও বেশী উঠে পাশাপাশি বৈদতিক যন্ত্র গুলো ফ্রিজ,টিভি,লইট, ওভেন বিদ্যুতের চুলাসহ মুল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা অভিযোগ করেন বিদ্যুৎ বন্ধ থাকলেও বিদ্যুতের ভুতরে বিল দিন দিন বেড়েই চলছে। মিটার রিডারম্যান বাসায় না গিয়েই অফিসে বসেই বিদ্যুতের মিটার রিডিং করে থাকে ফলে গ্রাহককে পড়তে হয় ক্ষতির সম্মুক্ষিন।
গুরুদাসপুর পল্লি বিদ্যুত সমিতি ২ এর ডিজি এম জানান, তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে কদাচিৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনে হেরফের হচ্ছে। আমরা মনে করি, বিদ্যুতের ভোগান্তি দূর করতে জরুরিভিত্তিতে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। লোডশেডিংয়ের অন্য যেসব কারণ রয়েছে সেগুলোও দূর করার ব্যবস্থা নিতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি আধুনিক বিতরণ, সঞ্চালন ও সরবরাহ লাইনের ওপর জোর দিতে হবে। বিদ্যুৎ বিতরণে গ্রাম-শহর বৈষম্য রোধ করার প্রবণতা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।

Tag :

এই সময়ে লোডশেডিং কেন ?

Update Time : ০৭:৪২:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক বনলতা নিউজ ডেস্ক.
পুরো নাটোর জুড়ে হালকা লকডাউন চলছে। এর মধ্যে রমজান মাসও শেষের দিকে । দুঃখজনক বিষয় এ সময়ে গুরুদাসপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় বিদ্যুতের গ্রাহকদের দুর্ভোগও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে লোডশেডিংয়ের ঘটনা অনাকাংক্ষিত। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারি-বেসরকারি অফিস কলকারখানা বন্ধ। চলনবিলের অধিকাংশ কৃষি সেচ কার্য শেষ তবুও কেন লোডশেডিং হচ্ছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন জনমনে।
জানা যায়, বর্তমানে দিনে তিন থেকে চার দফা করে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। প্রতিবার কমপক্ষে আধা ঘণ্টার জন্য এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে কখনো বা ঝড় বৃষ্টি হলে ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা। গুরুদাসপুর সদর, বিয়াঘাট, নাজিপুর,চাপিলা,মশিন্দা, ধারাবারিষা,খুবজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে নিয়মিত। গ্রমাঞ্চলে বিদ্যুৎ গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বিদ্যুতের দেখা মেলে না। লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় গুরুদাসপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম এর কাছেও অভিযোগ গেছে অনেক তার পরও মিলছেনা প্রতিকার।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কথা হয় সাবগাড়ী এলাকার মিঠু সরদার,নাজির পুরের সেবক কুন্ডু,মশিন্দার তারেকসহ অনেকের সাথে তারা জানান, । দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বেড়েছে, তারপরও মানুষের ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না এটা দুর্ভাগ্যজনক। আবহাওয়া ঠান্ডা থাকার কারণে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার কমছে। অফিস-আদালত ও শিল্প-কারখানা বন্ধ রয়েছে। হাট-বাজার বন্ধ তার পরও এখন তো অফ সিজন। তারা আরো জানান-বার বার বিদূৎ গেলে বিদুৎ বিলও বেশী উঠে পাশাপাশি বৈদতিক যন্ত্র গুলো ফ্রিজ,টিভি,লইট, ওভেন বিদ্যুতের চুলাসহ মুল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা অভিযোগ করেন বিদ্যুৎ বন্ধ থাকলেও বিদ্যুতের ভুতরে বিল দিন দিন বেড়েই চলছে। মিটার রিডারম্যান বাসায় না গিয়েই অফিসে বসেই বিদ্যুতের মিটার রিডিং করে থাকে ফলে গ্রাহককে পড়তে হয় ক্ষতির সম্মুক্ষিন।
গুরুদাসপুর পল্লি বিদ্যুত সমিতি ২ এর ডিজি এম জানান, তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে কদাচিৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনে হেরফের হচ্ছে। আমরা মনে করি, বিদ্যুতের ভোগান্তি দূর করতে জরুরিভিত্তিতে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। লোডশেডিংয়ের অন্য যেসব কারণ রয়েছে সেগুলোও দূর করার ব্যবস্থা নিতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি আধুনিক বিতরণ, সঞ্চালন ও সরবরাহ লাইনের ওপর জোর দিতে হবে। বিদ্যুৎ বিতরণে গ্রাম-শহর বৈষম্য রোধ করার প্রবণতা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।