শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অচিরেই সুদিন ফিরবে: প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৩৯:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০
  • ৬২ Time View

বনলতা নিউজ ডেস্ক.

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার কারণে অর্থনৈতিক গতিশীলতা কিছুটা স্থবির হয়ে গেছে। তবে এমন দিন থাকবে না। আমরা যেকোনো প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে পারবো। আমরা আশা করি অচিরেই খারাপ দিন কেটে গিয়ে সুদিন ফিরবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক সভায় একথা বলেন তিনি। এ সময় সব হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

কভিড-১৯ এর সাবধানতায় পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় ভিন্ন আঙ্গিকে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যান্য মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকরা সম্মেলন কক্ষ থেকেই অংশ নেন। পরে বৈঠকের খুঁটিনাটি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই না দেশের মানুষ কষ্ট পাক। সেদিকে লক্ষ্য রেখে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পূর্বের নির্দেশনাগুলো অর্থাৎ যেগুলো বন্ধ ছিল সেগুলো উন্মুক্ত করেছি, উন্মুক্ত করেছি এই জন্য যে খেটে খাওয়া, দিন এনে দিন খাওয়া, সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত প্রত্যেকে তাদের জীবন যাত্রা যেন অব্যাহত রাখতে পারে, সচল রাখতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। কাজেই আমাদের সকলকে স্ব স্ব স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রেখেই স্ব স্ব কর্মস্থলে কাজ করে যেতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির যে গতিশীলতা পেয়েছিল করোনাভাইরাস আসায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী চলছে। আমরা চাই না দেশের মানুষ কষ্ট পাক। সেদিকে লক্ষ্য রেখে বন্ধ প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। যাতে খেটে খাওয়া, দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত প্রত্যেকে তাদের জীবনযাত্রা যেন অব্যাহত রাখতে পারে। সেজন্যই আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, যেটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সেটা মেনেই আমাদের চলতে হবে। আমাদের দেশের মানুষ তারা যেন সুরক্ষিত থাকে। মনে রাখতে হবে নিজের সুরক্ষা মানে অপরকে সুরক্ষিত করা। আমরা সকলে নিজের পরিবার এবং নিজের সহকর্মী সকলের সুরক্ষা রাখতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব এটা হবে আমাদের সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, করোনায় শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্ব বলতে গেলে স্থবির। সব জায়গায় এই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। আমরাও তার থেকে বাইরে না।

Tag :

অচিরেই সুদিন ফিরবে: প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ১১:৩৯:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০

বনলতা নিউজ ডেস্ক.

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার কারণে অর্থনৈতিক গতিশীলতা কিছুটা স্থবির হয়ে গেছে। তবে এমন দিন থাকবে না। আমরা যেকোনো প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে পারবো। আমরা আশা করি অচিরেই খারাপ দিন কেটে গিয়ে সুদিন ফিরবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক সভায় একথা বলেন তিনি। এ সময় সব হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

কভিড-১৯ এর সাবধানতায় পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় ভিন্ন আঙ্গিকে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যান্য মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকরা সম্মেলন কক্ষ থেকেই অংশ নেন। পরে বৈঠকের খুঁটিনাটি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই না দেশের মানুষ কষ্ট পাক। সেদিকে লক্ষ্য রেখে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পূর্বের নির্দেশনাগুলো অর্থাৎ যেগুলো বন্ধ ছিল সেগুলো উন্মুক্ত করেছি, উন্মুক্ত করেছি এই জন্য যে খেটে খাওয়া, দিন এনে দিন খাওয়া, সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত প্রত্যেকে তাদের জীবন যাত্রা যেন অব্যাহত রাখতে পারে, সচল রাখতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। কাজেই আমাদের সকলকে স্ব স্ব স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রেখেই স্ব স্ব কর্মস্থলে কাজ করে যেতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির যে গতিশীলতা পেয়েছিল করোনাভাইরাস আসায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী চলছে। আমরা চাই না দেশের মানুষ কষ্ট পাক। সেদিকে লক্ষ্য রেখে বন্ধ প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। যাতে খেটে খাওয়া, দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত প্রত্যেকে তাদের জীবনযাত্রা যেন অব্যাহত রাখতে পারে। সেজন্যই আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, যেটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সেটা মেনেই আমাদের চলতে হবে। আমাদের দেশের মানুষ তারা যেন সুরক্ষিত থাকে। মনে রাখতে হবে নিজের সুরক্ষা মানে অপরকে সুরক্ষিত করা। আমরা সকলে নিজের পরিবার এবং নিজের সহকর্মী সকলের সুরক্ষা রাখতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব এটা হবে আমাদের সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, করোনায় শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্ব বলতে গেলে স্থবির। সব জায়গায় এই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। আমরাও তার থেকে বাইরে না।