—জালাল উদ্দিন শুক্তি
—————–
হাসি শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। যে হাসতে জানে তার অসুখ বিসুখ হবার সম্ভাবনা খুব কম। হাসি মনের কালিমা দূর করে। হাস্যোজ্জ্বল মুখকে সবাই পছন্দ করে। আমরা দেখি যারা গোমড়া মুখে থাকেন তাদের সংস্পর্শে মানুষ যেতে ভয় পায়। অবশ্যই যিনি হাসতে পারেন তিনি খোলা মনের হন। মেডিক্যাল সায়েন্স বলেছে- হাসি মনে সুখের হরমোন নিঃসরণ ঘটায়। এ কারণে হাসি খুশি মনের মানুষ আনন্দিত থাকেন।
হাসির রয়েছে দুঃখকে হজম করার কালজয়ী ক্ষমতা। চিন্তিত থেকে ভেতরে দুঃখ চেপে রেখে লাভ নেই। বরং এক ঝলক হাসিতে সব দুঃখকে কাটিয়ে ওঠার মাঝেই সার্থকতা। যদি মনে করা হয় আমি গোমড়া মুখে থেকে নিজেকে সংরক্ষিত রাখব তাহলে ভুল হবে। এই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য পৃথিবীর বায়ু মন্ডলে এসে দুঃখকে পুঁজি করার কোনো অর্থই হয় না। তার চেয়ে যতক্ষন আছি হাসি খুশি থাকব।
চলেই তো যাব, এ ভুবন কাউরো চিরদিনের নিবাস নয়। আমাকে ডাকে আমার প্রভু। অসীমের দিকে আমার গমন। আমার খেলা বন্ধ হবে নিমিষেই। কেউ আমাকে আটকাতে পারবে না।তাই বলে, শুধুই দুঃখ দিয়ে মনটাকে বিষিয়ে তোলার মাঝে মহত্বের কোনো লক্ষন নেই। মহত্ব বিষয়টি দুঃখের দ্বারা বিকশিত নয়। হাসি অভিস্রবনের একটি রাসায়নিক আধার। তাই, এ আধারই হোক আমার নিত্য বিচরণের ক্ষেত্র।
বলতেই হয়, না হেসে কি লাভ? পৃথিবীতে যারা উন্নয়ন এনেছেন তাদের অনেকেই হাসিখুশি মনের মানুষ ছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, দু’জন লোককে দাঁড় করিয়ে-একজন হাসি মুখ আর অন্য জন গোমড়া মুখ, যদি ছবি তোলা হয় তাহলে হাস্যোজ্জ্বল মানুষটির ছবিই দেখতে ভাল লাগবে।রাসায়নিক ব্যাপারটি ভিন্ন। যে হাসতে পারে তার শারীরিক অবস্থান সুদৃঢ় থাকে অখুশি গোমড়া মানুষের থেকে। তাই, একটি উছল হাসি আর পুলকিত মন নিয়ে বাঁচি সারাক্ষন।# লেখক, কলামিষ্ট।
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
উছল হাসি পুলকিত মন,
- Reporter Name
- Update Time : ০২:২৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০
- ১৮০ Time View
Tag :
Popular Post