শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নাটোরে করোনায় একই পরিবারের তিন সম্মুখ যোদ্ধা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
  • ১০৫ Time View

 

বিশেষ প্রতিবেদক গুরুদাসপুর.
করোনা সংকটে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় সাংসদ তার কন্যা এবং পুত্র একই পরিবারের তিন জন মানবসেবক যুদ্ধে নেমেছেনে করোনা কালের শুরু থেকেই। শুধু করোনা কালই নয় আজীবন মানবতার দাসত্বে রাত দিন পার করছেন ওই পরিবারের তিন জন সক্রিয় যোদ্ধা।
তাদের মধ্যে একজন উত্তর বঙ্গের সব চেয়ে প্রবীণ আওয়ামীলীগার বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের সাংসদ নাটোর জেলা আ.লীগের সর্ব প্রথম নির্বাচিত সভাপতি আলহাজ¦ অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস। সেই যুদ্ধে সামিল রয়েছেন তাঁর একমাত্র কন্যা বাংলাদেশ যব মহিলা লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সহ -সভাপত। স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান কল্লোল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যান্ত   স্নেহ ভাজন এ্যডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি। পুত্র বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আসিফ আব্দুলাহ বিন কুদ্দুস শোভনও। তারা ভয়কে জয় করে মানুষরে পাশে দাঁড়য়িছেনে।

জীবনের ঝুঁকি জনেওে নাটোর বাসীর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন অবিরাম অকুতভয় যোদ্ধার মত। এই বয়সেও রাতদিন মানব সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন ভয় হচ্ছে না- এমন প্রশ্নে অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস জানান, ৭১ রে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধিনতা ছিনিয়ে এনেছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। এবার করোনা প্রতিরোধ্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে। এই যুদ্ধে দেশের সকল মানুষকে নিয়ে আমরা বিজয়ী হব ইন্শাল্লাহ। দুই উপজেলার সকল জনসাধারনের দু:খের সাথী হিসাবে আছি এবং থাকবো। গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম বাসী আমাকে ৫ বার এমপি বানিয়েছে। তাদের দেনা কিছুটা হলেও পরিশোধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে- করোনা ভাইরাসসংক্রমনের পর থেকেই স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস দুই উপজেলা ১৩টি ইউনিয়ন ৩টি পৌরসভা ব্যাপি ইতোমধ্যেই ২৪ হাজার হতদরিদ্র খেটে খাওয়া পরিবারের মধ্যে সরকারী ত্রাণ বিতরণ করেছেন। পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের সকল চিকিৎসকদের মধ্যে সাস্থ্য সুরক্ষা পোশাক পিপিআইসহ বিভিন্ন ভাবে মেধাবী ছাত্র ছাত্রী,ক্ষুদ্র নৃ-তাত্তিক জনগোষ্ঠি, নানা স¤্রদায়সহ সমাজের পিছিয়ে পরা অসংখ্য মানুষকে সহায়তা করেছন তিনি। তিনি ৫ বারের সাংসদ হওয়ায় গুরুদাসপুর –বড়াইগ্রাম উপজেলার শতভাগ বিদুৎ,অসংখ্য রাস্তা ঘাট,কার্লভাট, হতদরিদ্রদের ঘর, ব্রীজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ সামাজিক বেষ্ঠনির নিরাপত্তামুলক কাজ সহ অসংখ্য উন্নয়ণমুলক কাজ করে চলছেন। যার প্রেক্ষিতে সারা দেশের উন্নয়ন মুলক কাজের মধ্যে সপ্তম স্থানে থাকায় চিপ হুইপসহ ১৫ জন বি-বার্তা সম্মাননা পেয়েছেন।
অপর দিকে সাংসদ পুত্র বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন করোনাভাইরাস প্রতিরোধের কারণে বাহিরে বের হতে না পারায় কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুর, খেটে-খাওয়া, ভবঘুরে ও হতদরিদ্র মানুষদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রয়োজনীয় খাবার পৌছে দিচ্ছেন দুই উপজেলা ব্যাপি। ইতোমধ্যেই তিনি দুই উপজেলা ব্যাপী দুই সহ¯্রাধিক পরিবারের মধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে খাবার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। জীবানু নাশকও স্প্রে করেছেন দুই উপজেলা ব্যাপি।
সাংসদ কন্যা বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ সভাপতি কল্লোল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এ্যড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি দুই উপজেলা ব্যাপি অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল হিসাবে পরিচিত (জয় বাংলা ইয়ুথ এ্যওয়ার্ড প্রাপ্ত) কল্লোল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন বছর জুড়েই। শুধু করোনা নয়, সমাজের বেকার যুব সমাজসহ অসহায় গরিব খেটে খাওয়া মানুষের সেবায় ব্রত রয়েছেন তার প্রতিষ্ঠানের ৬১ জন সদস্য নিয়ে। নবীন প্রবীণ চাকুরী জীবি ও প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী সদস্যদের অনুদান ও তার নিজস্ব অর্থায়নে চলছে খেটে খাওয়া ওই মানুষগুলোর সেবাকার্যক্রম।
মুক্তি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের বেধে দেওয়া নিয়ম-কানুনগুলো মেনে চলবেন এবং অযথা ঘরের বাহিরে বের হবেন না। করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে ঘরে বসে থাকুন, সতর্কতা অবলম্বন করুন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। ফাউন্ডেশনের পক্ষথেকে খাদ্য সামগ্রী আমাদের সদস্যরা পৌছে দিচ্ছেন আপনাদের দোর গোড়ায় প্রতিনিয়ত। সেই সাথে দেশের বিত্তবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাড়াঁনোর আহবান জানান তিনি।#

Tag :

নাটোরে করোনায় একই পরিবারের তিন সম্মুখ যোদ্ধা

Update Time : ০৮:৩৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০

 

বিশেষ প্রতিবেদক গুরুদাসপুর.
করোনা সংকটে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় সাংসদ তার কন্যা এবং পুত্র একই পরিবারের তিন জন মানবসেবক যুদ্ধে নেমেছেনে করোনা কালের শুরু থেকেই। শুধু করোনা কালই নয় আজীবন মানবতার দাসত্বে রাত দিন পার করছেন ওই পরিবারের তিন জন সক্রিয় যোদ্ধা।
তাদের মধ্যে একজন উত্তর বঙ্গের সব চেয়ে প্রবীণ আওয়ামীলীগার বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের সাংসদ নাটোর জেলা আ.লীগের সর্ব প্রথম নির্বাচিত সভাপতি আলহাজ¦ অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস। সেই যুদ্ধে সামিল রয়েছেন তাঁর একমাত্র কন্যা বাংলাদেশ যব মহিলা লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সহ -সভাপত। স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান কল্লোল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যান্ত   স্নেহ ভাজন এ্যডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি। পুত্র বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আসিফ আব্দুলাহ বিন কুদ্দুস শোভনও। তারা ভয়কে জয় করে মানুষরে পাশে দাঁড়য়িছেনে।

জীবনের ঝুঁকি জনেওে নাটোর বাসীর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন অবিরাম অকুতভয় যোদ্ধার মত। এই বয়সেও রাতদিন মানব সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন ভয় হচ্ছে না- এমন প্রশ্নে অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস জানান, ৭১ রে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধিনতা ছিনিয়ে এনেছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। এবার করোনা প্রতিরোধ্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে। এই যুদ্ধে দেশের সকল মানুষকে নিয়ে আমরা বিজয়ী হব ইন্শাল্লাহ। দুই উপজেলার সকল জনসাধারনের দু:খের সাথী হিসাবে আছি এবং থাকবো। গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম বাসী আমাকে ৫ বার এমপি বানিয়েছে। তাদের দেনা কিছুটা হলেও পরিশোধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে- করোনা ভাইরাসসংক্রমনের পর থেকেই স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস দুই উপজেলা ১৩টি ইউনিয়ন ৩টি পৌরসভা ব্যাপি ইতোমধ্যেই ২৪ হাজার হতদরিদ্র খেটে খাওয়া পরিবারের মধ্যে সরকারী ত্রাণ বিতরণ করেছেন। পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের সকল চিকিৎসকদের মধ্যে সাস্থ্য সুরক্ষা পোশাক পিপিআইসহ বিভিন্ন ভাবে মেধাবী ছাত্র ছাত্রী,ক্ষুদ্র নৃ-তাত্তিক জনগোষ্ঠি, নানা স¤্রদায়সহ সমাজের পিছিয়ে পরা অসংখ্য মানুষকে সহায়তা করেছন তিনি। তিনি ৫ বারের সাংসদ হওয়ায় গুরুদাসপুর –বড়াইগ্রাম উপজেলার শতভাগ বিদুৎ,অসংখ্য রাস্তা ঘাট,কার্লভাট, হতদরিদ্রদের ঘর, ব্রীজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ সামাজিক বেষ্ঠনির নিরাপত্তামুলক কাজ সহ অসংখ্য উন্নয়ণমুলক কাজ করে চলছেন। যার প্রেক্ষিতে সারা দেশের উন্নয়ন মুলক কাজের মধ্যে সপ্তম স্থানে থাকায় চিপ হুইপসহ ১৫ জন বি-বার্তা সম্মাননা পেয়েছেন।
অপর দিকে সাংসদ পুত্র বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন করোনাভাইরাস প্রতিরোধের কারণে বাহিরে বের হতে না পারায় কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুর, খেটে-খাওয়া, ভবঘুরে ও হতদরিদ্র মানুষদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রয়োজনীয় খাবার পৌছে দিচ্ছেন দুই উপজেলা ব্যাপি। ইতোমধ্যেই তিনি দুই উপজেলা ব্যাপী দুই সহ¯্রাধিক পরিবারের মধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে খাবার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। জীবানু নাশকও স্প্রে করেছেন দুই উপজেলা ব্যাপি।
সাংসদ কন্যা বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ সভাপতি কল্লোল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এ্যড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি দুই উপজেলা ব্যাপি অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল হিসাবে পরিচিত (জয় বাংলা ইয়ুথ এ্যওয়ার্ড প্রাপ্ত) কল্লোল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন বছর জুড়েই। শুধু করোনা নয়, সমাজের বেকার যুব সমাজসহ অসহায় গরিব খেটে খাওয়া মানুষের সেবায় ব্রত রয়েছেন তার প্রতিষ্ঠানের ৬১ জন সদস্য নিয়ে। নবীন প্রবীণ চাকুরী জীবি ও প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী সদস্যদের অনুদান ও তার নিজস্ব অর্থায়নে চলছে খেটে খাওয়া ওই মানুষগুলোর সেবাকার্যক্রম।
মুক্তি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের বেধে দেওয়া নিয়ম-কানুনগুলো মেনে চলবেন এবং অযথা ঘরের বাহিরে বের হবেন না। করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে ঘরে বসে থাকুন, সতর্কতা অবলম্বন করুন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। ফাউন্ডেশনের পক্ষথেকে খাদ্য সামগ্রী আমাদের সদস্যরা পৌছে দিচ্ছেন আপনাদের দোর গোড়ায় প্রতিনিয়ত। সেই সাথে দেশের বিত্তবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাড়াঁনোর আহবান জানান তিনি।#