শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়তে শুরু করেছে পদ্মার পানি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৫২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০
  • ৬৮ Time View

ফজলুল করিম বাবলু রাজশাহী প্রতিবেদক.

বর্ষা মৌসুম আসতে আর মাত্র দুইদিন বাঁকি। দুইদনি পরেই শুরু হবে বর্ষাকাল। বাংলাদেশ ঋতু বৈচিত্রের দেশ। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখন ঋতু নিয়ে সংকার সৃষ্টি হয়েছে। তাতে কিছু যায় আসেনা। ছয় ঋতু বাংলাদেশে আজীবন থাকবে। বর্ষা মৌসুম শুরু না হতেই প্রমোত্তা পদ্মা নদীতে বাড়তে শুরু করেছে পানি। প্রতিদিনই মরা পদ্মাতে পানি বাড়ছে। নদীতে এরই মধ্যে বয়ে যাচ্ছে দখিনা স্রোত। ক্রমন্বয়ে ডুবছে পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চর। বাড়তে শুরু করেছে স্রোত। আর স্রোতের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে ভেসে যাচ্ছে কচুরীপানার দল।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে টি-বাঁধে যেয়ে পদ্মার পানি বাড়তে দেখা যায়। পানি বাড়ার সাথে সাথে মাঝিরাও তৈরী হচ্ছে। তারা তাদের নৌকাগুলো এবারের মত ভাল করে মেরামত করে নিচ্ছে। সব ািকছুই ঠিক রয়েছে। কিন্তু সংকার বিষয় হলো টি-বাঁধ সংলগ্ন শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন এ পর্যন্ত মেরামত করা হয়নি। এবারও হুমকির মুখে পড়তে পারে মহানগরীর শ্রীরামপুরের টি-বাঁধ এলাকাও। ২০১৭ সালে ফাটল দেখা দেওয়ার পর জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানো হয়েছিল এই বাঁধের। ২০১৮-১৯ সালেও এখানে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জিয়ানগরে নদীপাড় থেকে প্রায় ৩শ মিটার উত্তরে নির্মাণ হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটি’। সেখানে কিছু অংশ ভেঙেছিল। এবার আবার শুর হচ্ছে বর্ষাকাল। কি হয় এখন তা দেখার বিষয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহী নির্বাহী প্রকৌশলী কোহিনুর আলম বলেন, শহর রক্ষা বাঁধ, টি-বাঁধ, আই বাঁধ, সিটিকন সিটির পার থেকে শুরু করে প্রতিটি বাঁধ তাদের নজরদারীতে রয়েছে। জরুরী প্লান করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাজেট করা হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন সেখানেই গুতুত্বের সাথে কাজ করবেন বলে জানান তিনি। সেইসাথে টি-বাঁধ পুনর্বাবান বিষয়টিও তারা অধিকতর গুরুত্বের সাথে দেখছেন বলে জানান প্রকৌশলী কোহিনুর আলম।
উল্লেখ্য পাউবো অতীতের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট রাজশাহীতে পদ্মার পানির প্রবাহ উঠেছিল সর্বোচ্চ ১৮ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার। এরপর আর বাড়েনি। বরং পরদিন ২৯ আগস্ট থেকে পদ্মার পানি আবারও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। গেল ১৮ বছরে রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫০ অতিক্রম করেছে মাত্র দুই বার। এর মধ্যে ২০০৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টানা ৮ বছর রাজশাহীতে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।
কেবল ২০০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে পদ্মার সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। এরপর ২০১৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে পদ্মা বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল।ঐ বছর পদ্মার উচ্চতা দাঁড়িয়েছিল ১৮ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। এরপর আর এই রেকর্ড ভাঙেনি ।

Tag :

বাড়তে শুরু করেছে পদ্মার পানি

Update Time : ০৬:৫২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০

ফজলুল করিম বাবলু রাজশাহী প্রতিবেদক.

বর্ষা মৌসুম আসতে আর মাত্র দুইদিন বাঁকি। দুইদনি পরেই শুরু হবে বর্ষাকাল। বাংলাদেশ ঋতু বৈচিত্রের দেশ। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখন ঋতু নিয়ে সংকার সৃষ্টি হয়েছে। তাতে কিছু যায় আসেনা। ছয় ঋতু বাংলাদেশে আজীবন থাকবে। বর্ষা মৌসুম শুরু না হতেই প্রমোত্তা পদ্মা নদীতে বাড়তে শুরু করেছে পানি। প্রতিদিনই মরা পদ্মাতে পানি বাড়ছে। নদীতে এরই মধ্যে বয়ে যাচ্ছে দখিনা স্রোত। ক্রমন্বয়ে ডুবছে পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চর। বাড়তে শুরু করেছে স্রোত। আর স্রোতের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে ভেসে যাচ্ছে কচুরীপানার দল।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে টি-বাঁধে যেয়ে পদ্মার পানি বাড়তে দেখা যায়। পানি বাড়ার সাথে সাথে মাঝিরাও তৈরী হচ্ছে। তারা তাদের নৌকাগুলো এবারের মত ভাল করে মেরামত করে নিচ্ছে। সব ািকছুই ঠিক রয়েছে। কিন্তু সংকার বিষয় হলো টি-বাঁধ সংলগ্ন শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন এ পর্যন্ত মেরামত করা হয়নি। এবারও হুমকির মুখে পড়তে পারে মহানগরীর শ্রীরামপুরের টি-বাঁধ এলাকাও। ২০১৭ সালে ফাটল দেখা দেওয়ার পর জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানো হয়েছিল এই বাঁধের। ২০১৮-১৯ সালেও এখানে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জিয়ানগরে নদীপাড় থেকে প্রায় ৩শ মিটার উত্তরে নির্মাণ হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটি’। সেখানে কিছু অংশ ভেঙেছিল। এবার আবার শুর হচ্ছে বর্ষাকাল। কি হয় এখন তা দেখার বিষয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহী নির্বাহী প্রকৌশলী কোহিনুর আলম বলেন, শহর রক্ষা বাঁধ, টি-বাঁধ, আই বাঁধ, সিটিকন সিটির পার থেকে শুরু করে প্রতিটি বাঁধ তাদের নজরদারীতে রয়েছে। জরুরী প্লান করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাজেট করা হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন সেখানেই গুতুত্বের সাথে কাজ করবেন বলে জানান তিনি। সেইসাথে টি-বাঁধ পুনর্বাবান বিষয়টিও তারা অধিকতর গুরুত্বের সাথে দেখছেন বলে জানান প্রকৌশলী কোহিনুর আলম।
উল্লেখ্য পাউবো অতীতের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট রাজশাহীতে পদ্মার পানির প্রবাহ উঠেছিল সর্বোচ্চ ১৮ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার। এরপর আর বাড়েনি। বরং পরদিন ২৯ আগস্ট থেকে পদ্মার পানি আবারও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। গেল ১৮ বছরে রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫০ অতিক্রম করেছে মাত্র দুই বার। এর মধ্যে ২০০৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টানা ৮ বছর রাজশাহীতে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।
কেবল ২০০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে পদ্মার সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। এরপর ২০১৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে পদ্মা বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল।ঐ বছর পদ্মার উচ্চতা দাঁড়িয়েছিল ১৮ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। এরপর আর এই রেকর্ড ভাঙেনি ।