শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

একজন সফল ও মানবিক ইউএনও তমাল হোসেন!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০
  • ১৭২ Time View

একজন সফল ও মানবিক ইউএনও তমাল হোসেন
সম্পাদকীয়.
সরকারি আমলাদের জন্য প্রতিবেদন তৈরী করা কারো চোখে বেমানান মনে হলেও প্রকৃত অর্থে কাজের ধারাবাহিক গতি যখন অস্বাভাবিকভাবে ভালো হয়, তখনতো দুই-চার কলম লেখা যেতেই পারে?। কথা বলছিলাম প্রজাতন্ত্রের এক কর্মকর্তার ব্যাপারে। তিনি আর কেউ নন গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো,তমাল হোসেন। কাজে যোগদানের এক বছর পূর্ণ হলো মাত্র। এরই মধ্যে জয় করে নিয়েছেন গুরুদসপুর উপজেলা বাসীর মন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকা কালীন ছুটে বেড়িয়েছেন রাস্তা-ঘাট ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ধরতে। প্রমোশন পেয়ে যোগ দেন এসিল্যান্ড পদে সেখান থেকেই গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার পদে এর পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি । কি শীত, কি গরম আর কি বর্ষা। মাঠ-ঘাট সব এক করে ফেলেছেন তার কর্মজজ্ঞ দিয়ে। কনকনে শীতের ভেতরেই কম্বল নিয়ে দাঁড়িয়েছেন অসহায়ের পাশে। কাক ডাকা ভোরে আর গভীর রাতই কি।সর্বদা ছুটে বেড়ান গুদাসপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন আর পৌরসভা। সব যেন তার নখদর্পনে। ক্লান্তিবোধ হয়তো তাড়া করেনা তাকে।বৈশ্বিক এই মহামারি কালেও বসে নেই তিনি, ত্রাণ হাতে ছুটছেন তার সারা কর্মস্থল।শুধু তাই নয় মহামারির কবলে পড়া করোনা রোগীর কাছে গিয়েছেন উপকরন আর দান নিয়ে । যেখানে অনেক সরকারি কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন দিনের পর দিন।

মৃত্যুর ভয়কে উপেক্ষা করে ছুটে চলছেন দিকবিদিক। এই কর্মকর্তার ঘরে আছে এক অবুঝ শিশু অথচ সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই তার। নিজের কিছু হলে যে ছোট্ট শিশুটি অথবা সহধর্মিনীর কিছু হয়ে যেতে পারে তিনি হয়তো তা মনে করেনই না! করোনা মোকাবিলায় তার কথা করোনাকে জয় করবোই। মানবিক এই কর্মকর্তার স্বভাব-শুলভ যেমন মানবিক, তার বিচার প্রক্রিয়া তেমনই কঠিন। মাদকের করালগ্রাসে হতাশাগ্রস্ত শহর বাসিকে দিয়েছেন একমুঠো শান্তির পশলা। কোথায় মাদক সেবী, কোথায় মাদক ব্যবসায়ী ধরে এনে কিংবা ছুটে গিয়ে করেছেন বিচার। করোনা কালে অনেককেই অর্থদণ্ড গুনতে হয়েছে অনিয়মের দরূণ। ঈভটিজার, পারিবারিক জটিলতায় কিংবা বাল্য বিবাহে ছাড় নেই তার। যেখানে অনেক জনপ্রতিনিধি নিরব কিংবা অসফল সেখানেই ইউএনও তোমাল হোসেনের সফলতার গল্প রচিত। আর হবেই না কেন?। তিনি যে একজন সম্মুখ যোদ্ধার সন্তান। বাবা ছিলেন একজন সফল চিকিসক। সাবেক পরিচালক সাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের। কর্ম জীবনে বাবা ছিলেন যেমন একজন অকুতভয় চৌকস সরকারী কর্মকর্তা, ঠিক তেমনি তার সন্তান ইউএনও এ সময়ের বীর সেনা।

তার সম্বন্ধে বলতে গিয়ে জেলা প্রশাসক জনাব শাহরিয়াজ জানান, তমাল হোসেন একজন করিৎকর্মা সৃজনশীল কর্মকর্তা। ৩১ তম বিসিএসের প্রশাসনিক এই কর্মকর্তা গত ২০১৯ সালের ৬ই আগষ্ট নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদান করেন। তিনি জানান”একদিন ঝড় থেমে যাবে,পৃথিবী আবার শান্ত হবে”। সেদিন তমাল হোসেন গুরুদাসপুরে থাকুক আর নাই থাকুক, তিনি এই এলাকার মানুষকে মনে রাখুক আর নাই রাখুক। গুরুদাসপুরের মানুষ তাকে মনে রাখবে আজীবন।
উপজেলা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ রাস্তা পাকাকরণ, সমাজ সংস্কার, চুরি ছিন্তাই বন্ধে শহরের বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, প্যানেলসহ সোলার লাইট স্থাপন, উপজেলা পুকুরের চারপাশে চলার পথ ও দৃষ্টিনন্দন কাজ বসার জায়গা নির্মাণ এবং নয়নাভিরাম রঙিন বাতি স্থাপন বাহারীসব ফুলের বাগান করে পুরো ক্যাম্পাসকে শরীরচর্চায় প্রাতঃভ্রমণ, বিনোদন ও অবকাশের জন্য একটি আধুনিক ক্যাম্পাসে পরিণত করেছেন।
একজন শিক্ষাবান্ধব ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সময় পরিদর্শন করেন। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীর গুণগত এবং লেখাপড়ার জন্য মানসম্মত বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলার নানা কার্যক্রম শুরু করেছেন ইতোমধ্যে।কখনো কলেজ, মাদ্রাসা,বিদ্যালয়ে ইউএনওর ঝটিকা অভিযানের ফলে নিয়মমাফিক চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম।
এক প্রশ্নের জবাবে বনলতার সম্পাদককে বলেন, প্রশাসন মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, শিক্ষার্থীসহ অসহায় মানুষের বিপদে আপদে মানুষের পাশে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। তিনি দক্ষতা ও সুনামের সাথে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সুযোগ পেলেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। খবরের কাগজ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অসহায় মানুষের খবর আসলে ছুটে গিয়েছেন তাদের বাড়ি থেকে ডেকে এনেছেন তার কার্যালয়ে এবং সমাধান ও করেছেন সাথে সাথেই।
প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি অনেক সময় ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং নিজের অর্থে অনেকের পাশে থেকেছেন। অনেক শিক্ষার্থীকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করে লেখাপড়া করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন তিনি। এসব কল্যায়নকর কাজের জন্য সংবাদ পত্রের শিরো নাম ও হয়েছেন বহুবার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের বৃদ্ধ পিতাকে ১০ বছরের শিকল বন্ধী থেকে মুক্ত করেন। পরিবার অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিল না দুই মেয়ের শিক্ষার ব্যায় বহন করতে পারছিলেন না সাবগাড়ী এলাকার এক অসহায় বৃদ্ধ। উম্মেহানির ঋনের কারনে কিডনি বিক্রির খবরে পাশে দাড়িয়ে ছিলেন। ৪ মাসে ৪০ বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন ইউএন ও, মাদক ছেড়ে খেলার মাঠে ৫ শতাধিক যুবক, কোটি টাকার সরকারী পুকুর উদ্ধার, করোনা কালে চলনবিলে কৃষকের জন্য কৃষি শ্রমিক প্রস্তুত রেখেছেন ইউএন ও, বংগবন্ধু ও মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ে ক্লাস নিলেন ইউএন ও এক দিনে ৪ বাল্য বিয়ে বন্ধ করলো ইউএন ও মুজিব হত্যার প্রতিবাদে জেল খাটা তিন বন্ধুকে পুরুস্কৃত করলেন, অসহায় নারীদের বিনা খচড়ায় নারী সহায়তা সেল , উপজেলায় সেবা কেন্দ্র স্থাপন, কৃষকদের জন্য আলোচনা কেন্দ্র নির্মান,বিভিন্ন জাতীয় পালন করেছেন জমকালো ভাবে।যা ইতিপুর্বে গুরুদাসপুর বাসী খুব কমই দেখেছেন। ভোরের কাগজ জাগরন,করতোয়া যায়্যায়দিন দিনসহ দেশের সেরা প্রত্রিকায় এ রকম অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
ইউএনও তমাল হোসেন বলেন, ছাত্রজীবন থেকে মানব সেবার প্রতি দুর্বলতা ছিল। ৩১তম বিসিএসে প্রশাসিক ক্যাডারে যোগদান করি। প্রশাসনিক ক্যাডারে চাকরি করে নিজ দায়িত্ব থেকে মানবসেবা করার আরো বেশি সুযোগ পেয়ে যাই। ভালো কাজ করলে সবাই সহযোগিতা করেন যতটুকু পেরেছি নিজ থেকেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এভাবেই যেন সারা জীবন মানুষের কল্যানে কাজ করে যেতে পারি। সে জন্য সমাজের সকল স্রেনী পেশার মানুষের সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন।
মো,মাজেম আলী মলিন বিভাগীয় প্রধান সমাজবিজ্ঞান রোজী মোজাম্মেল মহিলা অনার্স কলেজ। প্রকাশক ও সম্পাদক দৈনিক বনলতা, চেয়ারম্যান বনলতা টিভি, সভাপতি গুরুদাসপুর মডেল প্রেসক্লাব, গুরুদাসপুর নাটোর।

Tag :

একজন সফল ও মানবিক ইউএনও তমাল হোসেন!

Update Time : ০৯:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০

একজন সফল ও মানবিক ইউএনও তমাল হোসেন
সম্পাদকীয়.
সরকারি আমলাদের জন্য প্রতিবেদন তৈরী করা কারো চোখে বেমানান মনে হলেও প্রকৃত অর্থে কাজের ধারাবাহিক গতি যখন অস্বাভাবিকভাবে ভালো হয়, তখনতো দুই-চার কলম লেখা যেতেই পারে?। কথা বলছিলাম প্রজাতন্ত্রের এক কর্মকর্তার ব্যাপারে। তিনি আর কেউ নন গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো,তমাল হোসেন। কাজে যোগদানের এক বছর পূর্ণ হলো মাত্র। এরই মধ্যে জয় করে নিয়েছেন গুরুদসপুর উপজেলা বাসীর মন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকা কালীন ছুটে বেড়িয়েছেন রাস্তা-ঘাট ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ধরতে। প্রমোশন পেয়ে যোগ দেন এসিল্যান্ড পদে সেখান থেকেই গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার পদে এর পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি । কি শীত, কি গরম আর কি বর্ষা। মাঠ-ঘাট সব এক করে ফেলেছেন তার কর্মজজ্ঞ দিয়ে। কনকনে শীতের ভেতরেই কম্বল নিয়ে দাঁড়িয়েছেন অসহায়ের পাশে। কাক ডাকা ভোরে আর গভীর রাতই কি।সর্বদা ছুটে বেড়ান গুদাসপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন আর পৌরসভা। সব যেন তার নখদর্পনে। ক্লান্তিবোধ হয়তো তাড়া করেনা তাকে।বৈশ্বিক এই মহামারি কালেও বসে নেই তিনি, ত্রাণ হাতে ছুটছেন তার সারা কর্মস্থল।শুধু তাই নয় মহামারির কবলে পড়া করোনা রোগীর কাছে গিয়েছেন উপকরন আর দান নিয়ে । যেখানে অনেক সরকারি কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন দিনের পর দিন।

মৃত্যুর ভয়কে উপেক্ষা করে ছুটে চলছেন দিকবিদিক। এই কর্মকর্তার ঘরে আছে এক অবুঝ শিশু অথচ সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই তার। নিজের কিছু হলে যে ছোট্ট শিশুটি অথবা সহধর্মিনীর কিছু হয়ে যেতে পারে তিনি হয়তো তা মনে করেনই না! করোনা মোকাবিলায় তার কথা করোনাকে জয় করবোই। মানবিক এই কর্মকর্তার স্বভাব-শুলভ যেমন মানবিক, তার বিচার প্রক্রিয়া তেমনই কঠিন। মাদকের করালগ্রাসে হতাশাগ্রস্ত শহর বাসিকে দিয়েছেন একমুঠো শান্তির পশলা। কোথায় মাদক সেবী, কোথায় মাদক ব্যবসায়ী ধরে এনে কিংবা ছুটে গিয়ে করেছেন বিচার। করোনা কালে অনেককেই অর্থদণ্ড গুনতে হয়েছে অনিয়মের দরূণ। ঈভটিজার, পারিবারিক জটিলতায় কিংবা বাল্য বিবাহে ছাড় নেই তার। যেখানে অনেক জনপ্রতিনিধি নিরব কিংবা অসফল সেখানেই ইউএনও তোমাল হোসেনের সফলতার গল্প রচিত। আর হবেই না কেন?। তিনি যে একজন সম্মুখ যোদ্ধার সন্তান। বাবা ছিলেন একজন সফল চিকিসক। সাবেক পরিচালক সাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের। কর্ম জীবনে বাবা ছিলেন যেমন একজন অকুতভয় চৌকস সরকারী কর্মকর্তা, ঠিক তেমনি তার সন্তান ইউএনও এ সময়ের বীর সেনা।

তার সম্বন্ধে বলতে গিয়ে জেলা প্রশাসক জনাব শাহরিয়াজ জানান, তমাল হোসেন একজন করিৎকর্মা সৃজনশীল কর্মকর্তা। ৩১ তম বিসিএসের প্রশাসনিক এই কর্মকর্তা গত ২০১৯ সালের ৬ই আগষ্ট নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদান করেন। তিনি জানান”একদিন ঝড় থেমে যাবে,পৃথিবী আবার শান্ত হবে”। সেদিন তমাল হোসেন গুরুদাসপুরে থাকুক আর নাই থাকুক, তিনি এই এলাকার মানুষকে মনে রাখুক আর নাই রাখুক। গুরুদাসপুরের মানুষ তাকে মনে রাখবে আজীবন।
উপজেলা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ রাস্তা পাকাকরণ, সমাজ সংস্কার, চুরি ছিন্তাই বন্ধে শহরের বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, প্যানেলসহ সোলার লাইট স্থাপন, উপজেলা পুকুরের চারপাশে চলার পথ ও দৃষ্টিনন্দন কাজ বসার জায়গা নির্মাণ এবং নয়নাভিরাম রঙিন বাতি স্থাপন বাহারীসব ফুলের বাগান করে পুরো ক্যাম্পাসকে শরীরচর্চায় প্রাতঃভ্রমণ, বিনোদন ও অবকাশের জন্য একটি আধুনিক ক্যাম্পাসে পরিণত করেছেন।
একজন শিক্ষাবান্ধব ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সময় পরিদর্শন করেন। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীর গুণগত এবং লেখাপড়ার জন্য মানসম্মত বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলার নানা কার্যক্রম শুরু করেছেন ইতোমধ্যে।কখনো কলেজ, মাদ্রাসা,বিদ্যালয়ে ইউএনওর ঝটিকা অভিযানের ফলে নিয়মমাফিক চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম।
এক প্রশ্নের জবাবে বনলতার সম্পাদককে বলেন, প্রশাসন মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, শিক্ষার্থীসহ অসহায় মানুষের বিপদে আপদে মানুষের পাশে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। তিনি দক্ষতা ও সুনামের সাথে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সুযোগ পেলেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। খবরের কাগজ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অসহায় মানুষের খবর আসলে ছুটে গিয়েছেন তাদের বাড়ি থেকে ডেকে এনেছেন তার কার্যালয়ে এবং সমাধান ও করেছেন সাথে সাথেই।
প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি অনেক সময় ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং নিজের অর্থে অনেকের পাশে থেকেছেন। অনেক শিক্ষার্থীকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করে লেখাপড়া করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন তিনি। এসব কল্যায়নকর কাজের জন্য সংবাদ পত্রের শিরো নাম ও হয়েছেন বহুবার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের বৃদ্ধ পিতাকে ১০ বছরের শিকল বন্ধী থেকে মুক্ত করেন। পরিবার অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিল না দুই মেয়ের শিক্ষার ব্যায় বহন করতে পারছিলেন না সাবগাড়ী এলাকার এক অসহায় বৃদ্ধ। উম্মেহানির ঋনের কারনে কিডনি বিক্রির খবরে পাশে দাড়িয়ে ছিলেন। ৪ মাসে ৪০ বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন ইউএন ও, মাদক ছেড়ে খেলার মাঠে ৫ শতাধিক যুবক, কোটি টাকার সরকারী পুকুর উদ্ধার, করোনা কালে চলনবিলে কৃষকের জন্য কৃষি শ্রমিক প্রস্তুত রেখেছেন ইউএন ও, বংগবন্ধু ও মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ে ক্লাস নিলেন ইউএন ও এক দিনে ৪ বাল্য বিয়ে বন্ধ করলো ইউএন ও মুজিব হত্যার প্রতিবাদে জেল খাটা তিন বন্ধুকে পুরুস্কৃত করলেন, অসহায় নারীদের বিনা খচড়ায় নারী সহায়তা সেল , উপজেলায় সেবা কেন্দ্র স্থাপন, কৃষকদের জন্য আলোচনা কেন্দ্র নির্মান,বিভিন্ন জাতীয় পালন করেছেন জমকালো ভাবে।যা ইতিপুর্বে গুরুদাসপুর বাসী খুব কমই দেখেছেন। ভোরের কাগজ জাগরন,করতোয়া যায়্যায়দিন দিনসহ দেশের সেরা প্রত্রিকায় এ রকম অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
ইউএনও তমাল হোসেন বলেন, ছাত্রজীবন থেকে মানব সেবার প্রতি দুর্বলতা ছিল। ৩১তম বিসিএসে প্রশাসিক ক্যাডারে যোগদান করি। প্রশাসনিক ক্যাডারে চাকরি করে নিজ দায়িত্ব থেকে মানবসেবা করার আরো বেশি সুযোগ পেয়ে যাই। ভালো কাজ করলে সবাই সহযোগিতা করেন যতটুকু পেরেছি নিজ থেকেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এভাবেই যেন সারা জীবন মানুষের কল্যানে কাজ করে যেতে পারি। সে জন্য সমাজের সকল স্রেনী পেশার মানুষের সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন।
মো,মাজেম আলী মলিন বিভাগীয় প্রধান সমাজবিজ্ঞান রোজী মোজাম্মেল মহিলা অনার্স কলেজ। প্রকাশক ও সম্পাদক দৈনিক বনলতা, চেয়ারম্যান বনলতা টিভি, সভাপতি গুরুদাসপুর মডেল প্রেসক্লাব, গুরুদাসপুর নাটোর।