গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর শাকিলা আক্তার শারমিন (২৫) নামে বিয়ের এক বছর পুর্ণ না হতেই যৌতুকের কারনে মারপিট করে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলি রাখার হয়েছে। ওই গৃহবধূর স্বামী সোহাগ বাবা নাজিম সরদার ও শাশুড়ী আয়শা বেগমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর গৃহবধূর স্বামী,তার বাবা ও মাকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য রাতেই গুরুদাসপুর থানা পুলিশ আটক করে।
গৃহবধু শাকিলা আক্তার শারমিন উপজেলা ধারাবারিষা ইউনিয়নের পোয়ালশুড়া কান্দিপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম সোহাগ সরকারে স্ত্রী ও একই উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্র নগর গ্রামের ফারুখ ফকিরের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাত সাড়ে ৮ টার সময় গুরুদাসপুর থানা পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানান ওই থানার এস আই আনোয়ার হোসেন।
থানা এবং স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গৃহবধূকে মারপিট করে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে দেখানোর জন্য গলায় ফাঁস লাগিয়ে দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও যৌতুকের জন্য তাকে মারপিট করত বলে জানায় স্থানীয়রা।
জানতে চাইলে মেয়ের বাবা ফারুখ ফকির জানান, এক বছর হলো মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। ইতি মধ্যেই জামাইকে ৪ লক্ষাধিক টাকাও দিয়েছি। কিন্তু ফ্রিজ কিনে দেবার কথা বলে মাঝে মধ্যেই আমার মেয়েকে মারপিট করত ওই জামাইসহ বিয়াই বিয়ান। সর্বশেষ আমি বলেছি সামনে কুরবাণীর ঈদ। গরুটা বিক্রি করেই আমি ফ্রিজ কিনেদিব। কিন্ত এই সময় টুকু না দিয়ে আমার মেয়েকে হত্যা করল। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঘরের তীরের সাথে রশি জড়ানো কিন্ত পা দুটো খাটের বেডের সাথে লাগানো রয়েছে।ওই পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কোন সদত্তোর দিতে পারেননি তারা।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মোজাহারুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়ের পাশে পরে থাকা চিরকুট অনুযায়ী আপাতত আত্বহত্যা প্ররোচনা মামালা নেওয়া হয়েছে। ময়না তদন্তর প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ যেনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।