মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে করোনার মধ্যেও ৪ মাসে ১৪৪ জন দম্পতির বিয়ে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০
  • ৫৯ Time View

গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি.
করোনায় থেমে নেই বিয়ে। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করেই চলছে বিবাহের কার্যক্রম। বিয়েতে অতিথি নেই বললেই চলে। বর-কনে ও দুই পরিবারের ৪-৫ জন সদস্য নিয়ে বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে। কেউ কেউ বিয়ের জন্য লাল বেনারশী শাড়ি না কিনেই মায়ের শাড়ি পড়ে মুখে মাস্ক লাগিয়ে বসছেন বিয়ের পিরিতে । কেননা মহামারি করোনা ভাইরাসে থমকে গেছে পুরো পৃথিবী। পৃথিবী জুড়েই বন্ধ হয়েগেছে সকল ধরনের অনুষ্ঠান। এরপরেও থেমে নেই মানুষের জীবন।
গত ৪ মাসে ১৪৪ জন দম্পতির এই ব্যতিক্রমী বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে । নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন মিলে সরেজমীন করে জানাগেছে মার্চের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৪ মাসে মোট ১৪৪ জন দম্পতির বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে পৌর সদরের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডে ৪টি, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডে ১৮ টি, ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে ২৩টি, ধারাবারিষা ও মশিন্দা ইউনিয়নে ২৫টি, বিয়াঘাট ইউনিয়নে ২৬টি, চাপিলা ইউনিয়নে ১৭ টি, নাজিরপুর ইউনিয়নে ২৭ ও খুবজীপুর ইউনিয়নে ৪টি।
গুরুদাসপুর উপজেলা কাজী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম জানান, করোনার মধ্যে যে সকল বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে সব গুলোই প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করেই এ সকল বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। তারপরও বর-কনে ও দুই পরিবারের ৪-৫ জন সদস্য নিয়ে শুভ বিবাহের কার্যক্রম শেষ হয়। করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত আমাদের কোন কাজী বাল্যবিবাহ রেজিস্ট্রি করেনি। আনুষ্ঠানিক কোন বিয়ের খবর পেলে প্রশাসনের সহযোগিতায় বন্ধ করা হয়। যদি কখনও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ের বিয়ের খবর পাই তৎখনাত প্রশাসনকে অবহিত করি।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমীন জানান, উপজেলা জুড়ে মার্চের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এই ৪ মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেনের নির্দেশে ২০ টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই বিয়ে গুলো বন্ধ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন জানান, বাল্যবিবাহ বন্ধে উপজেলা প্রশাসন সব সময় সোচ্চার। যে কোন জায়গা থেকে খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ের আয়োজন করার অনুমোতি চাইতে আসলে তাদেরকে নিষেধ করা হচ্ছে এবং সচেতনতামুলক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মার্চ থেকে উপজেলা জুড়ে ২০টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। যে সকল বিয়ে হয়েছে এই চার মাসে তা সম্পন্ন ঘরোয়া ভাবে।

Tag :

গুরুদাসপুরে করোনার মধ্যেও ৪ মাসে ১৪৪ জন দম্পতির বিয়ে

Update Time : ০৭:৫৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০

গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি.
করোনায় থেমে নেই বিয়ে। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করেই চলছে বিবাহের কার্যক্রম। বিয়েতে অতিথি নেই বললেই চলে। বর-কনে ও দুই পরিবারের ৪-৫ জন সদস্য নিয়ে বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে। কেউ কেউ বিয়ের জন্য লাল বেনারশী শাড়ি না কিনেই মায়ের শাড়ি পড়ে মুখে মাস্ক লাগিয়ে বসছেন বিয়ের পিরিতে । কেননা মহামারি করোনা ভাইরাসে থমকে গেছে পুরো পৃথিবী। পৃথিবী জুড়েই বন্ধ হয়েগেছে সকল ধরনের অনুষ্ঠান। এরপরেও থেমে নেই মানুষের জীবন।
গত ৪ মাসে ১৪৪ জন দম্পতির এই ব্যতিক্রমী বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে । নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন মিলে সরেজমীন করে জানাগেছে মার্চের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৪ মাসে মোট ১৪৪ জন দম্পতির বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে পৌর সদরের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডে ৪টি, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডে ১৮ টি, ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে ২৩টি, ধারাবারিষা ও মশিন্দা ইউনিয়নে ২৫টি, বিয়াঘাট ইউনিয়নে ২৬টি, চাপিলা ইউনিয়নে ১৭ টি, নাজিরপুর ইউনিয়নে ২৭ ও খুবজীপুর ইউনিয়নে ৪টি।
গুরুদাসপুর উপজেলা কাজী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম জানান, করোনার মধ্যে যে সকল বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে সব গুলোই প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করেই এ সকল বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। তারপরও বর-কনে ও দুই পরিবারের ৪-৫ জন সদস্য নিয়ে শুভ বিবাহের কার্যক্রম শেষ হয়। করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত আমাদের কোন কাজী বাল্যবিবাহ রেজিস্ট্রি করেনি। আনুষ্ঠানিক কোন বিয়ের খবর পেলে প্রশাসনের সহযোগিতায় বন্ধ করা হয়। যদি কখনও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ের বিয়ের খবর পাই তৎখনাত প্রশাসনকে অবহিত করি।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমীন জানান, উপজেলা জুড়ে মার্চের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এই ৪ মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেনের নির্দেশে ২০ টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই বিয়ে গুলো বন্ধ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন জানান, বাল্যবিবাহ বন্ধে উপজেলা প্রশাসন সব সময় সোচ্চার। যে কোন জায়গা থেকে খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ের আয়োজন করার অনুমোতি চাইতে আসলে তাদেরকে নিষেধ করা হচ্ছে এবং সচেতনতামুলক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মার্চ থেকে উপজেলা জুড়ে ২০টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। যে সকল বিয়ে হয়েছে এই চার মাসে তা সম্পন্ন ঘরোয়া ভাবে।