বনলতা নিউজ ডেস্ক.
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অনলাইনের পাশাপাশি খামারভিত্তিক গরু বেচা-কেনার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন। বিশেষ করে গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ৩৫০টি খামার। একই সঙ্গে অনুমোদিত হাটগুলোতে ব্যাংক বুথ বসানোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
প্রতি বছর কোরবানির ঈদে চট্টগ্রামে চার লাখের বেশি পশু কোরবানি হয়। আর এসব পশুর জোগান আসে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নওগাঁসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে। কিন্তু এবার করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা গরু বাজার নিয়ে দোটানায় প্রশাসন।
বাজারের অনুমোদন দিলেও অনলাইন এবং খামারভিত্তিক বেচা-কেনায় জোর দিচ্ছে প্রশাসন।
সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান বলেন, সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ করেছি অনলাইনভিত্তিক বিক্রিকে প্রাধান্য দিতে। যাতে গরুর হাটে ভিড় না হয়।
গরু বাজার কেন্দ্রিক সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, অনলাইনে বেচাকেনার পাশাপাশি যদি টাকা লেনদেনটাও অনলাইনে করা যায় এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, আগে খামারিদের বড় একটা অংশ বাজারে আসতো। আমরা চাচ্ছি সেটা আবার না হোক।
বিগত বছরগুলোতে কোরবানির আগ মুহূর্তে ভারত থেকে গরু আসায় খামারিদের ক্ষতির মুখে পড়তে হতো। এবার খামারিরা ভালো দামে বিক্রির আশা করলেও, করোনার কারণে দেখা দিয়েছে নানা অনিশ্চয়তা।
সঠিক ব্যবস্থাপনায় অনলাইন ভিত্তিক বেচাকেনায় লগ্নি বাঁচানোর আশা খামারিদের।