শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঈদে কোলাকুলি নয় সেলফিতেই শুভেচ্ছা বিনিময়!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৩৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অগাস্ট ২০২০
  • ১৭৩ Time View

প্রভাষক মো.মাজেম আলী মলিন.
বছরজুড়েই কোনো না কোনো আয়োজন লেগেই থাকে। ঈদে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঘরে ফেরা, টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা, বাইরে খাওয়া,বিভিন্ন ঘরোয়া, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অনেকে মজেন সেলফিতে। আবার অনেকেই সেলফিতে অংশ নেন দল বেঁধে কেউবা একক ভাবে।

অবশ্য সবাই সেলফি-ভক্ত নন। সেলফি তোলা নিয়ে বিরক্তও হন অনেকেই। তবে হাজারও প্রতিবাদ করেও অনেক সময় সেলফি তোলা বন্ধ করা যায় না। বসে আছেন সেলফি, খাচ্ছেন তার সেলফি, নতুন পোশাক সেলফি, আপনজনদের সঙ্গে সেলফি, ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুকে নিয়ে সেলফি; এমনকি কেউ মারা গেছেন সেখানেও সেলফি। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কথা আছেই।
সেরকমটাই দেখা গেলো ১ আগষ্ট শনিবার মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহাতে। নামাজ শেষে নাটোরের গুরুদাসপুরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সেলফি প্রেমীদের পাল্লায় পরে যান গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো,তমাল হোসেন।
ইউএনও তমাল হোসেন জানান,সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কোন ধরনের কোলাকুলি না করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে উৎসব পালন এবং কুরবাণীর পশুর বর্জ্র নির্ধারিত জায়গায় ফেলে পরিস্কারের আহবান জানান তিনি।
আজ ঈদুল আজহা। ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে সব শ্রেণির মানুষ ঈদগাহে এক কাতারে মিলিত হয়েছেন। ঈদের নামাজ শেষে সেখানেই বন্ধু, প্রিয়জনদের নিজের ক্যামরায় বন্দি করার জন্য সেলফি তুলতে ব্যস্ত হতে দেখা গেছে অনেককেই। তাদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা বেশি হলেও, ছিলেন নানা বয়সের মানুষেরা।

গুরুদাসপুর কেন্দ্রিয়ী মসজিদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার পরই ইউএনওকে ঘিরে সেলফি তোলার হিড়িক পরে যায় ভক্তদের মধ্যে।

ঈদের প্রধান জামাতে ইউএনও, গুরুদাসপুর থানার ওসিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মুসল্লী বৃন্দ।
ঈদের নামাজ শেষে খুৎবা পাঠ করার পর বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মানুষের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং মঙ্গল কামনা করে বৈশ্বিক সমস্যা করোনা থেকে মুক্তি পেতে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ ও মোনাজাত শেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলির পরিবর্তে সেলফি ও কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আগত মুসল্লিরা।

Tag :

ঈদে কোলাকুলি নয় সেলফিতেই শুভেচ্ছা বিনিময়!

Update Time : ০৫:৩৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অগাস্ট ২০২০

প্রভাষক মো.মাজেম আলী মলিন.
বছরজুড়েই কোনো না কোনো আয়োজন লেগেই থাকে। ঈদে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঘরে ফেরা, টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা, বাইরে খাওয়া,বিভিন্ন ঘরোয়া, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অনেকে মজেন সেলফিতে। আবার অনেকেই সেলফিতে অংশ নেন দল বেঁধে কেউবা একক ভাবে।

অবশ্য সবাই সেলফি-ভক্ত নন। সেলফি তোলা নিয়ে বিরক্তও হন অনেকেই। তবে হাজারও প্রতিবাদ করেও অনেক সময় সেলফি তোলা বন্ধ করা যায় না। বসে আছেন সেলফি, খাচ্ছেন তার সেলফি, নতুন পোশাক সেলফি, আপনজনদের সঙ্গে সেলফি, ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুকে নিয়ে সেলফি; এমনকি কেউ মারা গেছেন সেখানেও সেলফি। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কথা আছেই।
সেরকমটাই দেখা গেলো ১ আগষ্ট শনিবার মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহাতে। নামাজ শেষে নাটোরের গুরুদাসপুরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সেলফি প্রেমীদের পাল্লায় পরে যান গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো,তমাল হোসেন।
ইউএনও তমাল হোসেন জানান,সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কোন ধরনের কোলাকুলি না করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে উৎসব পালন এবং কুরবাণীর পশুর বর্জ্র নির্ধারিত জায়গায় ফেলে পরিস্কারের আহবান জানান তিনি।
আজ ঈদুল আজহা। ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে সব শ্রেণির মানুষ ঈদগাহে এক কাতারে মিলিত হয়েছেন। ঈদের নামাজ শেষে সেখানেই বন্ধু, প্রিয়জনদের নিজের ক্যামরায় বন্দি করার জন্য সেলফি তুলতে ব্যস্ত হতে দেখা গেছে অনেককেই। তাদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা বেশি হলেও, ছিলেন নানা বয়সের মানুষেরা।

গুরুদাসপুর কেন্দ্রিয়ী মসজিদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার পরই ইউএনওকে ঘিরে সেলফি তোলার হিড়িক পরে যায় ভক্তদের মধ্যে।

ঈদের প্রধান জামাতে ইউএনও, গুরুদাসপুর থানার ওসিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মুসল্লী বৃন্দ।
ঈদের নামাজ শেষে খুৎবা পাঠ করার পর বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মানুষের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং মঙ্গল কামনা করে বৈশ্বিক সমস্যা করোনা থেকে মুক্তি পেতে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ ও মোনাজাত শেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলির পরিবর্তে সেলফি ও কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আগত মুসল্লিরা।