শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি রাস্তাটি পাকা হবে!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:২২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ অগাস্ট ২০২০
  • ১৩৯ Time View

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের চকআদালৎ খাঁ হতে পাঁচপুরুলিয়া গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি কাঁচা। এটি পাকা করার দাবি ৪৫ বছরের। বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ হাজার মানুষের গ্রামটি নাজিরপুরের ব্যবসা-বাণিজ্যের মেইন রাস্তার সাথে যুক্ত হয়েছে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ৪ কিলোমিটার। এ গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করতে গ্রামের ছেলেমেয়েরা কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করে যাতায়াত করে আসছে। দুই কিলোমিটার দূরে যেতে কাঁদাযুক্ত রাস্তা ব্যবহার করতে হচ্ছে। গ্রামটির অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করেন। রাস্তা না হওয়ায় পুকুরের মাছ বিক্রি করতেও বিরম্ভনায় পড়তে হয়।
গ্রামের বাসিন্দা মাজিদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাঁদাপানি জমে থাকে। তখন রাস্তায় যাতায়াত করাটাই বিপদজনক। ভ্যান, অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। ৪৫ বছর ধরে এ রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রæতি দিয়ে আসছেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনো হয়নি।
স্থানীয় যুবক হাফিজুর রহমান বলেন, ছোট বেলা থেকে শুনেই আসছি রাস্তা হবে। কিন্তু এখনো আমাদের এই রাস্তাটি করা হয়নি। তিনি দ্রæত রাস্তাটি করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শওকত রানা লাবু বলেন, ‘এ গ্রামের বাসিন্দারা পাকা সড়কের অভাবে দুর্ভোগে আছেন। আমি এ সড়ক পাকা করার জন্য এলজিইডির অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করবো।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশলী অ.ন.ম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে স্থানীয় সংসদ সদস্য মহাদয়ের সাথে আলোচনা করে অবশ্যই সড়কটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।#প্রভাষক মো,মাজেম আলী মলিন

Tag :

ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি রাস্তাটি পাকা হবে!

Update Time : ০৯:২২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ অগাস্ট ২০২০

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের চকআদালৎ খাঁ হতে পাঁচপুরুলিয়া গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি কাঁচা। এটি পাকা করার দাবি ৪৫ বছরের। বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ হাজার মানুষের গ্রামটি নাজিরপুরের ব্যবসা-বাণিজ্যের মেইন রাস্তার সাথে যুক্ত হয়েছে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ৪ কিলোমিটার। এ গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করতে গ্রামের ছেলেমেয়েরা কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করে যাতায়াত করে আসছে। দুই কিলোমিটার দূরে যেতে কাঁদাযুক্ত রাস্তা ব্যবহার করতে হচ্ছে। গ্রামটির অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করেন। রাস্তা না হওয়ায় পুকুরের মাছ বিক্রি করতেও বিরম্ভনায় পড়তে হয়।
গ্রামের বাসিন্দা মাজিদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাঁদাপানি জমে থাকে। তখন রাস্তায় যাতায়াত করাটাই বিপদজনক। ভ্যান, অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। ৪৫ বছর ধরে এ রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রæতি দিয়ে আসছেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনো হয়নি।
স্থানীয় যুবক হাফিজুর রহমান বলেন, ছোট বেলা থেকে শুনেই আসছি রাস্তা হবে। কিন্তু এখনো আমাদের এই রাস্তাটি করা হয়নি। তিনি দ্রæত রাস্তাটি করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শওকত রানা লাবু বলেন, ‘এ গ্রামের বাসিন্দারা পাকা সড়কের অভাবে দুর্ভোগে আছেন। আমি এ সড়ক পাকা করার জন্য এলজিইডির অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করবো।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশলী অ.ন.ম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে স্থানীয় সংসদ সদস্য মহাদয়ের সাথে আলোচনা করে অবশ্যই সড়কটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।#প্রভাষক মো,মাজেম আলী মলিন