-সাইফুল ইসলাম খান।
দৈনিক বনলতা.
কি হবে এতো অর্থ সম্পদ?
আজরাইল তো খায় না ঘুষ!
সব আস্ফালনই হবে বৃথা,
যখন জীবন বাতি, নিভে যাবে ফুস।
বাঁচার কি যে করুণ আকুতি-
আহা রে! কন্ঠ থেকে ঝরে পড়ে!
বাঁচান ডাক্তার, বাঁচান মোরে,
সবকিছু লিখে দিবো, আপনার তরে।
সম্পদের পাহাড় গড়তে গিয়ে,
এতটাই হয়ে পড়লে মোহাবিষ্ট।
ভেবেও দেখলে না, সেই সম্পদের চাপায়,
হতে পারে, কেউ না কেউ পিষ্ট।
গুটিকয় মানুষের মুখে, ফোটাতে হাসি,
ঝরিয়েছো কত জনের অশ্রু!
জীবনের শেষ মূহুর্তে, কেউ পাশে নাই,
হায়! সবাই আজ হয়ে গেছে শত্রু।
প্রভাব-প্রতিপত্তি আর ক্ষমতার অপব্যবহার,
সবই কি তাহলে, অাজ যাবে বৃথা!
সকল ক্ষমতার উৎসের মূলে তুমিই
হে আল্লাহ্, করো মোরে কৃপা।
আর কিছুদিন যদি তুমি, দাও মোরে হায়াত,
করিব তোমার তরে, কোরআন তেলাওয়াত।
তোমার বন্দেগি ছাড়া, বলো হে মহান আল্লাহ্,
কেমনে মিলিবে আখেরাতে নাজাত?
আজরাইল বললেন, না রে হতভাগা না,
তুই করে ফেলেছিস অনেক দেরি।
মহান সৃষ্টিকর্তার আদেশে তোর আত্মা-
কবজ করে, নিয়ে যেতে হবে তাড়াতাড়ি।
এভাবেই যদি জীবনের হয় যবনিকাপাত,
তবে কেন করিস এতো বাড়াবাড়ি?
সময় থাকতে ক্ষণিকের তরেও দেখিসনি ভেবে,
ধন-সম্পদ রেখে, যেতে হবে দুনিয়া ছাড়ি।
সাড়ে তিন হাত মাটির গোরই যে হবে-
সকল মানুষের শেষ ঠিকানা।
আত্মা চলে যাবে দুরে বহুদূরে,
শেষ বিচারের দিনে,যেখানে চলবে না বাহানা।
সেখানে পূণ্যবানদের জন্য রয়েছে জান্নাত,
আর পাপীদের জন্য জাহান্নাম।
জান্নাত নাকি জাহান্নাম, কোথায় হবে স্থান?
দুনিয়ার কর্ম দ্বারাই, নির্ধারিত হবে পরিনাম।