নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বৈশ্বিক মহামারী করোনা কালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মামুনুর রশিদ মামুন নামে এক সাংবাদিকের ওপর।
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে নলডাঙ্গা উপজেলায় কর্মরত ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগসূত্রে জানাযায়, করোনাকালীন সময়ে এডিপির বিশেষ বরাদ্দের সাংবাদিকদের দেয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী আত্মসাত করেছে নলডাঙ্গার খোলাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে লেবাসধারী হলুদ সাংবাদিক হিসেবে খ্যাত মামুনুর রশিদ মামুন।
এ বিষয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমি আপনাদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর নিকট তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।
নলডাঙ্গা উপজেলার প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, এডিপির বরাদ্দের পিপিই ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার সাংবাদিকদের দেওয়ার কথা বলে সাংবাদিক মামুন অফিস থেকে নিয়ে যায়। কিন্তু ৩/৪ মাস পার হয়ে গেলেও সামগ্রীগুলো সাংবাদিকদের না দেওয়ার ঘটনা অত্যান্ত দুঃখজনক।
সাংবাদিকদের পক্ষে লিখিত অভিযোগ করেন, চ্যানেল টি-ওয়ান প্রতিনিধি আরিফ হোসেন, ৭১টিভি ও যায়যায়দিন নলডাঙ্গা প্রতিনিধি রানা আহমেদ, দৈনিক সানশাইন ও পদ্মাটাইমসের প্রতিনিধি নলডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জহুরুল ইসলাম, দৈনিক জনতার প্রতিনিধি রেজাউল করিম, নারদ বার্তার সুরজিত সরকার, সজাগ নিউজের ফজলে রাব্বি, অভিযাত্রার সত্যজিত দেবনাথ, দৈনিক বিশ্ব মানচিত্রর ইউসুফ জুয়েল, শিক্ষাবার্তা ডটকমের মাহমুদুল হাসান, দৈনিক চলনবিলের খবরের ফরহাদ হোসেন সহ আরো অনেক সাংবাদিকবৃন্দ।
দৈনিক ভোরের কাগজের নলডাঙ্গা প্রতিনিধি ও নলডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফকরুদ্দিন ফুটু, দৈনিক প্রতিবাদী কন্ঠের প্রতিনিধি বাবলুর রহমান, সাংবাদিক রবিউল ইসলাম সহ অনেকেই দাবী করেন, সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কোথায় গেল, তা খুজে বের করে আত্মসাতকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
প্রশাসন আত্মসাতকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে সাংবাদিকবৃন্দ আশাবাদী।