বিশেষ প্রতিবেদক.
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার তালতলায় ধলেশ্বরীর শাখা নদীতে ৬০ নৌকার বেদে বহর। এই বহরে রয়েছে স্কুলগামী ৫০ শিশু। এই শিশুদের পড়াশোনা করাচ্ছে আলোকিত শিশু স্কুল। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ। অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল পড়াশোনা করলেও বেদে শিশুদের সেই সুযোগ নেই। তাই স্কুলটির দুই শিক্ষক ভোরে নৌকায় নৌকায় গিয়ে শিশুদের পড়াশোনা করাচ্ছেন।
ফাহিমা আক্তার। আলোকিত শিশু স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। নৌকায় বসবাস হলেও বড় হয়ে বাবা মায়ের মত সাপের খেলা, সিঙ্গা লাগানো, মাছ ধরা, চুড়ি বিক্রি না করে শিক্ষক হয়ে নিজে এবং সমাজকে আলোকিত করতে চায়।
ফাহিমার মতো বেদে বহরে আরও ৪৯ শিশুর স্বপ্ন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজের জন্য কিছু করার। অভিভাবকরাও মনে করেন শিক্ষার বিকল্প নেই।
করোনায় স্কুল বন্ধ এবং ভার্চ্যুয়াল সুবিধা না থাকলেও থেমে নেই পড়াশুনা। স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষকরা ভোরে নৌকায় এসেই পড়াচ্ছেন।
আলোকিত শিশু স্কুলের ইনচার্জ পারভেজ হাসান বলেন, ৫০ জনকে পড়াচ্ছি এরমধ্যে ৫ জনও যদি শিক্ষিত হয়ে গড়ে ওঠে তাহলে আমরাও সাকক্সেসফুল হব।
ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রয়োজনে আমরা শিশুদের খাবারের ব্যবস্থা করব, এছাড়া যা যা প্রয়োজন সব করব।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুল প্লেগ্রুপ থেকে পঞ্চম শ্রেণির। এখান থেকে আটটি শিশু উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়ে পাশের স্কুলে ভর্তি হয়েছে।