শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে বসত বাড়িতে আগুন অর্ধালক্ষাধিক টাকার ক্ষতি গৃহবধু অগ্নিদগ্ধ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০
  • ১০৭ Time View

গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার যোগেন্দ্র নগর গ্রামের রাবারড্যাম সংলঘ্ন এলাকায় আগুন লেগে কৃষক আব্দুল খালেকের দুটি ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। সেই সাথে তার স্ত্রীর মুখ ও শরীর পুড়ে ঝলসে গেছে। স্থানীয় ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় ঘরের বেছানায় কাঁতরাচ্ছেন তিনি।
গত কাল বুধবার মধ্য রাতে চুলার আগুন থেকে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান। এ সময় ঘর দুটিতে রক্ষিত অর্ধালক্ষাধিক টাকার আসবাবপত্রও মালামাল পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল খালেক জানান, আমি একজন দরিদ্র কৃষক। বাড়ীর সাথেই রয়েছে সামন্য একটা মুদি দোকান। চোরে ভয়ে রাতে মালামাল গুলো ঘরে তুলে রাখি। তাছাড়া আমার স্ত্রী দর্জির কাজ করে আমাকে সাংসারিক কাজে সহযোগিতা করে থাকে। কিন্তু রান্না ঘর থেকে হঠাৎ আগুন লেগে আমার স্ত্রীর সেলাই মেসিনসহ বিক্রয়ের জন্য রাখা কাপর পুরে নিমিশেই ছাঁই হয়ে যায়। সেই সাথে আমার দোকানের মালামাল ও আসবাবপত্রসহ অন্তত অর্ধ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, আগুন নেভাতে যাবার আগেই প্রতিবেশীরা আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে যার কারনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও কম হয়েছে।
এ পর্যন্ত ক্ষতি গ্রস্ত পরিবারের পাসে কোন জন প্রতিনিধি তাঁর দাঁড়াননি বলে অভিযোগ করেন আ: খালেক। তিনি আরো বলেন বিয়াঘাট ইউপি চেয়ারম্যানকে মুঠোফোনে ঘঁনাটি জানালে তিনি ঘরের ছবি তুলে রাখতে বলেন। বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে ঘটনাটি জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তার স্ত্রীর মুখসহ কয়েকটি স্থান আগুনে ঝলছে গেছে। আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার জিনিসপত্র পড়ে গেছে। আমি এমপি দয়ের কাছ থেকে এবং আমার পরিষদের পক্ষ থেকে কিছুটা ক্ষতি পুরনের আস্বাস দিয়েছি।

Tag :

গুরুদাসপুরে বসত বাড়িতে আগুন অর্ধালক্ষাধিক টাকার ক্ষতি গৃহবধু অগ্নিদগ্ধ

Update Time : ০৮:৩৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০

গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার যোগেন্দ্র নগর গ্রামের রাবারড্যাম সংলঘ্ন এলাকায় আগুন লেগে কৃষক আব্দুল খালেকের দুটি ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। সেই সাথে তার স্ত্রীর মুখ ও শরীর পুড়ে ঝলসে গেছে। স্থানীয় ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় ঘরের বেছানায় কাঁতরাচ্ছেন তিনি।
গত কাল বুধবার মধ্য রাতে চুলার আগুন থেকে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান। এ সময় ঘর দুটিতে রক্ষিত অর্ধালক্ষাধিক টাকার আসবাবপত্রও মালামাল পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল খালেক জানান, আমি একজন দরিদ্র কৃষক। বাড়ীর সাথেই রয়েছে সামন্য একটা মুদি দোকান। চোরে ভয়ে রাতে মালামাল গুলো ঘরে তুলে রাখি। তাছাড়া আমার স্ত্রী দর্জির কাজ করে আমাকে সাংসারিক কাজে সহযোগিতা করে থাকে। কিন্তু রান্না ঘর থেকে হঠাৎ আগুন লেগে আমার স্ত্রীর সেলাই মেসিনসহ বিক্রয়ের জন্য রাখা কাপর পুরে নিমিশেই ছাঁই হয়ে যায়। সেই সাথে আমার দোকানের মালামাল ও আসবাবপত্রসহ অন্তত অর্ধ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, আগুন নেভাতে যাবার আগেই প্রতিবেশীরা আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে যার কারনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও কম হয়েছে।
এ পর্যন্ত ক্ষতি গ্রস্ত পরিবারের পাসে কোন জন প্রতিনিধি তাঁর দাঁড়াননি বলে অভিযোগ করেন আ: খালেক। তিনি আরো বলেন বিয়াঘাট ইউপি চেয়ারম্যানকে মুঠোফোনে ঘঁনাটি জানালে তিনি ঘরের ছবি তুলে রাখতে বলেন। বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে ঘটনাটি জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তার স্ত্রীর মুখসহ কয়েকটি স্থান আগুনে ঝলছে গেছে। আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার জিনিসপত্র পড়ে গেছে। আমি এমপি দয়ের কাছ থেকে এবং আমার পরিষদের পক্ষ থেকে কিছুটা ক্ষতি পুরনের আস্বাস দিয়েছি।