বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষা ব্যবস্থায় আসছে ব্যাপক পরিবির্তন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৩০:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
  • ১০২ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক.

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গতানুগতিক চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় আনন্দ নিয়ে আসতে চাই। সংখ্যায় নয়, শিক্ষায় গুণে ও মানের দিকে নজর দিতে হবে।

শনিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শেখ রাসেল জিমনেশিয়ামের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক শ্রম বাজারে ক্রমশ প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কারণে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও সানুগ্রহ নির্দেশনায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। এ কাজগুলোর জন্য গতানুগতিক চিন্তা বা শিক্ষা ব্যবস্থায় হবে না। সব জায়গায় আমাদের একটু ‘আউট অব বক্স’ চিন্তা করতে হবে। সে জন্য আমাদের জগতে পরিবর্তন আনার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র পড়াশোনা করাচ্ছি, পরীক্ষা দিচ্ছি ও সনদ দিচ্ছি। এমনিতেই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা পরীক্ষা নির্ভর এবং সনদ সর্বস্ব। একইসঙ্গে আনন্দহীন। সেটি প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় আনন্দ নিয়ে আসতে চাই। আনন্দ নিয়ে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করবে। তারমধ্যে অনুসন্ধিৎসার জাগ্রত হবে। সে জ্ঞান অর্জনের আনন্দেই জ্ঞান অর্জন করবে, বাধ্য হয়ে নয়। শিক্ষা ব্যবস্থার ক্রুটি খুঁজে বের করতে হবে।’

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষায় সবচেয়ে বড় হাতিয়ার উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্বে যোগ্যতায় টিকে থাকার একমাত্র মানদন্ড। সময়ের প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি হলে উন্নয়নের বাহন। কাজেই নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দিকে মনোযোগী হতে হবে। শুধু উদ্ভাবন করলেই হবে না, এটার যেন সঠিক প্রয়োগ হয়, সেটাও আমাদের দেখতে হবে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে এবং এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ঘটাব।’

যবিপ্রবির ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. নাসিম রেজার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, পরিচালক (শরীর চর্চা শিক্ষা দফতর) ড. মোহাম্মদ তোফায়েল আহম্মেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেনসহ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

শিক্ষা ব্যবস্থায় আসছে ব্যাপক পরিবির্তন

Update Time : ০৪:৩০:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক.

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গতানুগতিক চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় আনন্দ নিয়ে আসতে চাই। সংখ্যায় নয়, শিক্ষায় গুণে ও মানের দিকে নজর দিতে হবে।

শনিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শেখ রাসেল জিমনেশিয়ামের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক শ্রম বাজারে ক্রমশ প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কারণে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও সানুগ্রহ নির্দেশনায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। এ কাজগুলোর জন্য গতানুগতিক চিন্তা বা শিক্ষা ব্যবস্থায় হবে না। সব জায়গায় আমাদের একটু ‘আউট অব বক্স’ চিন্তা করতে হবে। সে জন্য আমাদের জগতে পরিবর্তন আনার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র পড়াশোনা করাচ্ছি, পরীক্ষা দিচ্ছি ও সনদ দিচ্ছি। এমনিতেই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা পরীক্ষা নির্ভর এবং সনদ সর্বস্ব। একইসঙ্গে আনন্দহীন। সেটি প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় আনন্দ নিয়ে আসতে চাই। আনন্দ নিয়ে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করবে। তারমধ্যে অনুসন্ধিৎসার জাগ্রত হবে। সে জ্ঞান অর্জনের আনন্দেই জ্ঞান অর্জন করবে, বাধ্য হয়ে নয়। শিক্ষা ব্যবস্থার ক্রুটি খুঁজে বের করতে হবে।’

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষায় সবচেয়ে বড় হাতিয়ার উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্বে যোগ্যতায় টিকে থাকার একমাত্র মানদন্ড। সময়ের প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি হলে উন্নয়নের বাহন। কাজেই নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দিকে মনোযোগী হতে হবে। শুধু উদ্ভাবন করলেই হবে না, এটার যেন সঠিক প্রয়োগ হয়, সেটাও আমাদের দেখতে হবে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে এবং এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ঘটাব।’

যবিপ্রবির ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. নাসিম রেজার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, পরিচালক (শরীর চর্চা শিক্ষা দফতর) ড. মোহাম্মদ তোফায়েল আহম্মেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেনসহ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।