শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুধু নালিশ না করে সমাধান খুঁজতে হবে-সজিব ওয়াজেদ জয়

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
  • ১৮১ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক.

প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষ ও সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই তিন মূলনীতিকে মাথায় রেখে কাজ করতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শুধু নালিশ না করে বরং সমাধান খোঁজা উচিত।

মঙ্গলবার রাতে ইয়াং বাংলা আয়োজিত ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের’ চতুর্থ আসরের বিজয়ীদের নাম ঘোষণার পর বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন সিআরআইয়ের চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয়। আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের তরুণদের উইং হল ইয়াং বাংলা।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, যে কয়েকটি মূলনীতি নিয়ে বাংলাদেশ গঠন হয়েছিল- গণতন্ত্র, যে দেশ চলবে মানুষের অধিকারের উপর, মানুষের ভোটের উপর। দেশের মানুষ নিশ্চিৎ করবে- বাংলাদেশের নেতৃত্বে কে, বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে। সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার, মানুষের সেবা করতে হবে। শুধু এক শ্রেণিকে ভালো রাখলে হবে না। দেশের ১৬ কোটি মানুষ যাতে ভালো থাকে, সেটা নিশ্চিৎ করতে হবে। এটা ছিল বঙ্গবন্ধুর একটি মূলনীতি।

আর ধর্মনিরপেক্ষতা, যে আমরা সবাই বাঙালি। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান, নাস্তিক আমরা সবাই বাঙালি, আমরা সবাই সমান। এ তিনটি মূলনীতি নিয়েই কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। এ তিনটি ছিল বঙ্গবন্ধুর মূলনীতি, যোগ করেন জয়।

পুরস্কার পাওয়ার ১৬ সংগঠনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তারা আমাদের অনুপ্রেরণা। কারণ আমরা দেখতে চাই কারা সমস্যর সমাধান করতে চায়। যারা শুধু নালিশ করতে যায় না। যারা শুধু নালিশ করে, নালিশ শুনতে শুনতে কান ব্যাথা হয়ে যায়। আমি চাই যোগ্য নেতৃত্ব। আর সেটা শুধু সরকারি পর্যায়ে নয়। এই যে ১৬জন ১৬টি প্রতিষ্ঠান দেখে। তারা কিন্তু নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। তারা কিন্তু তাদের সমাজ, গ্রাম ও শহরে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। কেউ কিন্তু ক্ষমতা তাদের হাতে তুলে দেয়নি। ক্ষমতা ছাড়াই তারা পাশের মানুষকে সাহায্য করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি এটাই হচ্ছে আমার প্রত্যাশা। আপনারা অন্যদের দিকে হাত পেতে রাখবেন না। দেশের সমস্যা সমাধান করতে নেমে যান। আমাদের দেশের মানুষের মেধা আছে। আমরা আমাদের মেধা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

কোভিড-১৯ এর মধ্যে ভার্চুয়ালি এই সভা আয়োজনে প্রসঙ্গ তুলে ধরে জয় বলেন, আমি সেই মার্চ মাস থেকে দেশে আসতে পারছি না। কারণ এখানে কোভিডের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। কিন্তু আমাদের দেশে কিন্তু কোনও কিছু থেমে নেই। সরকার ভার্চুয়ালি সকল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ১০ বছর আগে কী কেউ কল্পনা করতে পেরেছে বাংলাদেশে এটা সম্ভব। কেউ পারেনি। আমি গর্বিত যে ডিজিটাল বাংলাদেশের এটাই লাভ ও ফলাফল। আজ যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকতো কোভিড-১৯ এ কিন্তু অর্থনীতি শেষ হয়ে যেতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার এটার (ডিজিটাল বাংলাদেশ) পরিকল্পনা করি, ১০ বছর ধরে বাস্তবায়ন করেছি। এটা নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করেছে। অনেকে টিটকারি করেছে। কিন্তু এটার লাভ আজকে পাচ্ছি। এই বছরে পাচ্ছি। আর এটা কিন্তু আমরা বাঙালিরা নিজেরাই বাস্তবায়ন করেছি। এটা কিন্তু কোনও বিদেশি কোম্পানি বা বিশ্বব্যাংক এসে করে দেয়নি। এটার সম্পূর্ণ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন আমাদের নিজস্ব চিন্তা-ধারায় করা। আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকবো। এর আগে বক্তব্যের শুরুতে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন সজীব ওয়াজেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ট্রাস্টি নসরুল হামিদ।

সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তরুণদের সংগঠন ইয়াং বাংলা ২০১৪ সালে আত্মপ্রকাশের পর মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্লোগান ‘জয় বাংলা’র নামে চালু করে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। দেশ গঠনে ও নিজ সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া তরুণদের কাজের স্বীকৃতি দিতে চালু করা হয় এই অ্যাওয়ার্ডের। ২০১৫ সালে থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইয়াং বাংলা তরুণদের ১৩০ সংগঠনকে নিজ সমাজের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রদান করে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। তাদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন থেকে তাদের কাজের জন্য অর্জন করেছে পুরস্কার।

এবার জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে আবেদন করে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের ৬০০ সংগঠন। নারী ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন, দরিদ্রদের উন্নয়ন, মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখা, পরিবেশ সুরক্ষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনসহ আরো বেশ কিছু ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই সংগঠনগুলো থেকে বাছাই করে ৫০ সংগঠনকে রাখা হয়েছিল প্রাথমিক জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২০ বিজয়ীর তালিকায়। সেখান থেকে ১৬টি সংগঠনকে পুরস্কার দেয়া হয়।

Tag :

শুধু নালিশ না করে সমাধান খুঁজতে হবে-সজিব ওয়াজেদ জয়

Update Time : ০৫:০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক.

প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষ ও সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই তিন মূলনীতিকে মাথায় রেখে কাজ করতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শুধু নালিশ না করে বরং সমাধান খোঁজা উচিত।

মঙ্গলবার রাতে ইয়াং বাংলা আয়োজিত ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের’ চতুর্থ আসরের বিজয়ীদের নাম ঘোষণার পর বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন সিআরআইয়ের চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয়। আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের তরুণদের উইং হল ইয়াং বাংলা।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, যে কয়েকটি মূলনীতি নিয়ে বাংলাদেশ গঠন হয়েছিল- গণতন্ত্র, যে দেশ চলবে মানুষের অধিকারের উপর, মানুষের ভোটের উপর। দেশের মানুষ নিশ্চিৎ করবে- বাংলাদেশের নেতৃত্বে কে, বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে। সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার, মানুষের সেবা করতে হবে। শুধু এক শ্রেণিকে ভালো রাখলে হবে না। দেশের ১৬ কোটি মানুষ যাতে ভালো থাকে, সেটা নিশ্চিৎ করতে হবে। এটা ছিল বঙ্গবন্ধুর একটি মূলনীতি।

আর ধর্মনিরপেক্ষতা, যে আমরা সবাই বাঙালি। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান, নাস্তিক আমরা সবাই বাঙালি, আমরা সবাই সমান। এ তিনটি মূলনীতি নিয়েই কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। এ তিনটি ছিল বঙ্গবন্ধুর মূলনীতি, যোগ করেন জয়।

পুরস্কার পাওয়ার ১৬ সংগঠনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তারা আমাদের অনুপ্রেরণা। কারণ আমরা দেখতে চাই কারা সমস্যর সমাধান করতে চায়। যারা শুধু নালিশ করতে যায় না। যারা শুধু নালিশ করে, নালিশ শুনতে শুনতে কান ব্যাথা হয়ে যায়। আমি চাই যোগ্য নেতৃত্ব। আর সেটা শুধু সরকারি পর্যায়ে নয়। এই যে ১৬জন ১৬টি প্রতিষ্ঠান দেখে। তারা কিন্তু নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। তারা কিন্তু তাদের সমাজ, গ্রাম ও শহরে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। কেউ কিন্তু ক্ষমতা তাদের হাতে তুলে দেয়নি। ক্ষমতা ছাড়াই তারা পাশের মানুষকে সাহায্য করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি এটাই হচ্ছে আমার প্রত্যাশা। আপনারা অন্যদের দিকে হাত পেতে রাখবেন না। দেশের সমস্যা সমাধান করতে নেমে যান। আমাদের দেশের মানুষের মেধা আছে। আমরা আমাদের মেধা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

কোভিড-১৯ এর মধ্যে ভার্চুয়ালি এই সভা আয়োজনে প্রসঙ্গ তুলে ধরে জয় বলেন, আমি সেই মার্চ মাস থেকে দেশে আসতে পারছি না। কারণ এখানে কোভিডের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। কিন্তু আমাদের দেশে কিন্তু কোনও কিছু থেমে নেই। সরকার ভার্চুয়ালি সকল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ১০ বছর আগে কী কেউ কল্পনা করতে পেরেছে বাংলাদেশে এটা সম্ভব। কেউ পারেনি। আমি গর্বিত যে ডিজিটাল বাংলাদেশের এটাই লাভ ও ফলাফল। আজ যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকতো কোভিড-১৯ এ কিন্তু অর্থনীতি শেষ হয়ে যেতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার এটার (ডিজিটাল বাংলাদেশ) পরিকল্পনা করি, ১০ বছর ধরে বাস্তবায়ন করেছি। এটা নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করেছে। অনেকে টিটকারি করেছে। কিন্তু এটার লাভ আজকে পাচ্ছি। এই বছরে পাচ্ছি। আর এটা কিন্তু আমরা বাঙালিরা নিজেরাই বাস্তবায়ন করেছি। এটা কিন্তু কোনও বিদেশি কোম্পানি বা বিশ্বব্যাংক এসে করে দেয়নি। এটার সম্পূর্ণ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন আমাদের নিজস্ব চিন্তা-ধারায় করা। আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকবো। এর আগে বক্তব্যের শুরুতে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন সজীব ওয়াজেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ট্রাস্টি নসরুল হামিদ।

সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তরুণদের সংগঠন ইয়াং বাংলা ২০১৪ সালে আত্মপ্রকাশের পর মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্লোগান ‘জয় বাংলা’র নামে চালু করে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। দেশ গঠনে ও নিজ সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া তরুণদের কাজের স্বীকৃতি দিতে চালু করা হয় এই অ্যাওয়ার্ডের। ২০১৫ সালে থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইয়াং বাংলা তরুণদের ১৩০ সংগঠনকে নিজ সমাজের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রদান করে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। তাদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন থেকে তাদের কাজের জন্য অর্জন করেছে পুরস্কার।

এবার জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে আবেদন করে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের ৬০০ সংগঠন। নারী ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন, দরিদ্রদের উন্নয়ন, মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখা, পরিবেশ সুরক্ষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনসহ আরো বেশ কিছু ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই সংগঠনগুলো থেকে বাছাই করে ৫০ সংগঠনকে রাখা হয়েছিল প্রাথমিক জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২০ বিজয়ীর তালিকায়। সেখান থেকে ১৬টি সংগঠনকে পুরস্কার দেয়া হয়।