বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রলার ডুবিতে নব্বধু ও শিশুসহ ৭ জনের মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:২৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৪২ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক.
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বর-কনে ট্রলারডুবির ঘটনায় নববধূ ও শিশুসহ ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৪০জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো ১২জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার টাংকিরখাল-ঘাসিয়ারচর এলাকার মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
উদ্ধারকৃত নিহতরা হলো- নববধু হাতিয়া চানন্দী ইউনিয়নের ইব্রাহীমের মেয়ে তাছলিমা আকতার (১৮), শিশু আফরিনা আকতার লামিয়া(২), আসমা বেগম (১৯), লিলি আকতার (৮), হোসনেআরা রুপা (৫), রাহেনা বেগম (৩০) ও নুরজাহান বেগম (৬৫)।
বরের খালাতো ভাই আকবর হোসেন জানান, বর শরীফ উদ্দিনকে (২৫) মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
তবে ট্রলারে থাকা যাত্রীদের বাড়ি হাতিয়ার নলেরচর ও ভোলার মনপুরায় বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পযন্ত সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত স্থানীয় লোকজন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় সূত্র ও হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস জানান, হাতিয়ার নলেরচর থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে বিকালে ভোলার মনপুরার উদ্দেশে বর ও কনেসহ ৭৫-৮০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার রওনা দেয়। ট্রলারটি টাংকিরখাল-ঘাসিয়ারচর এলাকার মেঘনা নদীতে পৌঁছলে জোয়ারের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে ট্রলারে থাকা সকল যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। এদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতার দিয়ে কূলে উঠে আসলেও বেশির ভাগ যাত্রী নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা অন্তত ৪০জনকে জীবিত এবং ৭জনের লাশ উদ্ধার করে।
হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, প্রচণ্ড স্রোতের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে গেলে অনেকে সাঁতার কেটে নদীর তীরে উঠে আসে। বাকীদেরকে স্থানীয়জনতা, পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার করেছে। এখনো উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরান হোসেন জানান, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকৃত জীবিত যাত্রীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং মৃত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে সাহায্য প্রদান করা হবে।

Tag :

ট্রলার ডুবিতে নব্বধু ও শিশুসহ ৭ জনের মৃত্যু

Update Time : ০৪:২৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

বিশেষ প্রতিবেদক.
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বর-কনে ট্রলারডুবির ঘটনায় নববধূ ও শিশুসহ ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৪০জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো ১২জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার টাংকিরখাল-ঘাসিয়ারচর এলাকার মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
উদ্ধারকৃত নিহতরা হলো- নববধু হাতিয়া চানন্দী ইউনিয়নের ইব্রাহীমের মেয়ে তাছলিমা আকতার (১৮), শিশু আফরিনা আকতার লামিয়া(২), আসমা বেগম (১৯), লিলি আকতার (৮), হোসনেআরা রুপা (৫), রাহেনা বেগম (৩০) ও নুরজাহান বেগম (৬৫)।
বরের খালাতো ভাই আকবর হোসেন জানান, বর শরীফ উদ্দিনকে (২৫) মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
তবে ট্রলারে থাকা যাত্রীদের বাড়ি হাতিয়ার নলেরচর ও ভোলার মনপুরায় বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পযন্ত সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত স্থানীয় লোকজন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় সূত্র ও হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস জানান, হাতিয়ার নলেরচর থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে বিকালে ভোলার মনপুরার উদ্দেশে বর ও কনেসহ ৭৫-৮০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার রওনা দেয়। ট্রলারটি টাংকিরখাল-ঘাসিয়ারচর এলাকার মেঘনা নদীতে পৌঁছলে জোয়ারের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে ট্রলারে থাকা সকল যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। এদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতার দিয়ে কূলে উঠে আসলেও বেশির ভাগ যাত্রী নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা অন্তত ৪০জনকে জীবিত এবং ৭জনের লাশ উদ্ধার করে।
হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, প্রচণ্ড স্রোতের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে গেলে অনেকে সাঁতার কেটে নদীর তীরে উঠে আসে। বাকীদেরকে স্থানীয়জনতা, পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার করেছে। এখনো উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরান হোসেন জানান, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকৃত জীবিত যাত্রীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং মৃত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে সাহায্য প্রদান করা হবে।