শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নদীতে ভেসে আসছে সোনা রুপার গহনা সাগর তীরের ছোট্ট গ্রামে হুলস্থুল

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৪৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৪৫ Time View

বনলতা ডেস্ক.
নদীতে সোনা-রূপার গয়না ভেসে আসার সংবাদে হুলস্থূল পড়ে গিয়েছে ভেনেজুয়েলার গুয়েকা নামের একটি ছোট্ট গ্রামে। গত তিন মাস ধরে নাকি সেখানকার নদী দিয়ে ভেসে আসছে সোনা-রূপার অলংকার। আর এই সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর আজব এই কাণ্ড দেখতে ক্যারিবীয় সাগরতীরের ছোট্ট এই জেলেপল্লীটিতে এখন অনেকেই ভিড় করছেন।

ঘটনার শুরু গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমদিকে। ইয়লমান লারেন (২৫) নামে ওই গ্রামের এক তরুণী প্রথম নদী থেকে একটি সোনার মেডেলের মতো জিনিস পান, যাতে ছিল ‘কুমারী মাতা’ মেরির প্রতিকৃতি খোদাই করা। নিজের ভাগ্যকে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না লারেন। সোনার এই মেডেলটি পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন লারেন। পরে মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, জীবনে এই প্রথম তার সঙ্গে এত ভাল কিছু ঘটল।

সংবাদপত্রে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই হুলস্থুল বেঁধে যায়। ওই গ্রামে আগমনকারী লোকেদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেই সাথে গুয়েকা গ্রামের বাসিন্দারাও গয়না সংগ্রহে নেমে পড়েন নদীতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টার নদীতে দাঁড়িয়ে অনেকেই নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করতে শুরু করেন। আর আশেপাশের উৎসুক জনতাও ভিড় করেন এই আজ কাণ্ডকারখানা দেখতে। অন্তত ডজনখানেক গ্রামবাসীর দাবি, নদী থেকে মূল্যবান গহনা পেয়ে বিপুল দামে বিক্রি করেছেন তারা।

তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, কোথা থেকেই এইসব সোনা-রুপার অলংকার নদী দিয়ে ভেসে আসছে তা এখনো অজানা। এ সম্বন্ধে গ্রামবাসীদের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদেরও কোনো ধারণা নেই!

Tag :

নদীতে ভেসে আসছে সোনা রুপার গহনা সাগর তীরের ছোট্ট গ্রামে হুলস্থুল

Update Time : ০৮:৪৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

বনলতা ডেস্ক.
নদীতে সোনা-রূপার গয়না ভেসে আসার সংবাদে হুলস্থূল পড়ে গিয়েছে ভেনেজুয়েলার গুয়েকা নামের একটি ছোট্ট গ্রামে। গত তিন মাস ধরে নাকি সেখানকার নদী দিয়ে ভেসে আসছে সোনা-রূপার অলংকার। আর এই সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর আজব এই কাণ্ড দেখতে ক্যারিবীয় সাগরতীরের ছোট্ট এই জেলেপল্লীটিতে এখন অনেকেই ভিড় করছেন।

ঘটনার শুরু গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমদিকে। ইয়লমান লারেন (২৫) নামে ওই গ্রামের এক তরুণী প্রথম নদী থেকে একটি সোনার মেডেলের মতো জিনিস পান, যাতে ছিল ‘কুমারী মাতা’ মেরির প্রতিকৃতি খোদাই করা। নিজের ভাগ্যকে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না লারেন। সোনার এই মেডেলটি পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন লারেন। পরে মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, জীবনে এই প্রথম তার সঙ্গে এত ভাল কিছু ঘটল।

সংবাদপত্রে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই হুলস্থুল বেঁধে যায়। ওই গ্রামে আগমনকারী লোকেদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেই সাথে গুয়েকা গ্রামের বাসিন্দারাও গয়না সংগ্রহে নেমে পড়েন নদীতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টার নদীতে দাঁড়িয়ে অনেকেই নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করতে শুরু করেন। আর আশেপাশের উৎসুক জনতাও ভিড় করেন এই আজ কাণ্ডকারখানা দেখতে। অন্তত ডজনখানেক গ্রামবাসীর দাবি, নদী থেকে মূল্যবান গহনা পেয়ে বিপুল দামে বিক্রি করেছেন তারা।

তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, কোথা থেকেই এইসব সোনা-রুপার অলংকার নদী দিয়ে ভেসে আসছে তা এখনো অজানা। এ সম্বন্ধে গ্রামবাসীদের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদেরও কোনো ধারণা নেই!