বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হামলার পর ওয়াশিংটনজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৫১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী ২০২১
  • ৭৫ Time View
আন্তর্জাতিক ডেস্ক.

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে কারফিউ চলছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে পুরো নগরী পুলিশ আর ন্যাশনাল গার্ডের লোকজন ঘিরে রেখেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপসারণের জন্য অভিশংসন প্রস্তাবের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০ জানুয়ারি জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের আগ পর্যন্ত কড়া নজরে রাখা হচ্ছে ট্রাম্পকে।

রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির রাজপথ এখন শান্ত। পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি। আশপাশের ছয়টি রাজ্য থেকে ন্যাশনাল গার্ড তলব করা হয়েছে। প্রতি সাত ফুট পরপর ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা ক্যাপিটল হিলের স্থাপনা ঘিরে রেখেছেন।

মার্কিন সংবিধানের ২৫ তম সংশোধনী চালু করে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনে ব্যর্থ ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়েছে। স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং সিনেটে ডেমোক্র্যাট দলের নেতা চার্লস শুমার এই আহ্বান জানিয়েছেন। সংবিধানের এই প্রক্রিয়ার জন্য ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রশাসনের আরও কমপক্ষে আটজনকে এগিয়ে আসতে হবে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার আমেরিকার সর্বত্র মানুষের মধ্যে একধরনের স্বস্তি দেখা গেছে। ৬ জানুয়ারির ঘটনাকে আমেরিকার গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি কালো দিন বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। অধিকাংশ মানুষ একবাক্যে বলেছেন, নানা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আমেরিকার গণতন্ত্র আজ এ পর্যায়ে এসেছে। গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার পক্ষে মত দেননি কেউই। রিপাবলিকান দলের অনেক সমর্থকও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

সামনের কয়েক দিন আর কোনো অঘটন যাতে না ঘটতে পারে, সে জন্য আমেরিকায় ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। ট্রাম্পের সঙ্গে কার্যত এখন কেউ নেই। ৬ জানুয়ারি সহিংসতার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। এ তদন্তে উসকানিদাতা হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প পরিস্থিতি হালকা করার চেষ্টা করছেন। তবে আইন বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের হাতে কোনো কিছু নিয়েই আর সময় নেই। তাঁর পরিণতি দেখার অপেক্ষায় এখন সবাই।

শুধু বুধবারের রাতের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬৮ জনসহ ৮০ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ক্যাপিটল পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র একজন ওয়াশিংটন ডিসির বাসিন্দা। ট্রাম্পের আহ্বানে আমেরিকার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লোকজনের সমাবেশ ঘটেছিল। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চারজন নিহত হওয়া এবং ব্যাপক ভাঙচুর নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

Tag :

হামলার পর ওয়াশিংটনজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার

Update Time : ০৬:৫১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক.

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে কারফিউ চলছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে পুরো নগরী পুলিশ আর ন্যাশনাল গার্ডের লোকজন ঘিরে রেখেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপসারণের জন্য অভিশংসন প্রস্তাবের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০ জানুয়ারি জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের আগ পর্যন্ত কড়া নজরে রাখা হচ্ছে ট্রাম্পকে।

রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির রাজপথ এখন শান্ত। পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি। আশপাশের ছয়টি রাজ্য থেকে ন্যাশনাল গার্ড তলব করা হয়েছে। প্রতি সাত ফুট পরপর ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা ক্যাপিটল হিলের স্থাপনা ঘিরে রেখেছেন।

মার্কিন সংবিধানের ২৫ তম সংশোধনী চালু করে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনে ব্যর্থ ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়েছে। স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং সিনেটে ডেমোক্র্যাট দলের নেতা চার্লস শুমার এই আহ্বান জানিয়েছেন। সংবিধানের এই প্রক্রিয়ার জন্য ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রশাসনের আরও কমপক্ষে আটজনকে এগিয়ে আসতে হবে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার আমেরিকার সর্বত্র মানুষের মধ্যে একধরনের স্বস্তি দেখা গেছে। ৬ জানুয়ারির ঘটনাকে আমেরিকার গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি কালো দিন বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। অধিকাংশ মানুষ একবাক্যে বলেছেন, নানা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আমেরিকার গণতন্ত্র আজ এ পর্যায়ে এসেছে। গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার পক্ষে মত দেননি কেউই। রিপাবলিকান দলের অনেক সমর্থকও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

সামনের কয়েক দিন আর কোনো অঘটন যাতে না ঘটতে পারে, সে জন্য আমেরিকায় ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। ট্রাম্পের সঙ্গে কার্যত এখন কেউ নেই। ৬ জানুয়ারি সহিংসতার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। এ তদন্তে উসকানিদাতা হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প পরিস্থিতি হালকা করার চেষ্টা করছেন। তবে আইন বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের হাতে কোনো কিছু নিয়েই আর সময় নেই। তাঁর পরিণতি দেখার অপেক্ষায় এখন সবাই।

শুধু বুধবারের রাতের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬৮ জনসহ ৮০ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ক্যাপিটল পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র একজন ওয়াশিংটন ডিসির বাসিন্দা। ট্রাম্পের আহ্বানে আমেরিকার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লোকজনের সমাবেশ ঘটেছিল। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চারজন নিহত হওয়া এবং ব্যাপক ভাঙচুর নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।