গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৭) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধ ইউনুছ আলীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার সকাল দশটার দিকে ভুক্তভুগি ওই শিশুটির বাড়িতেই বৃদ্ধ ইউনুছ আলী (৬৮) ধর্ষণচেষ্টা চালান। এঘটনায় শিশুটির বাবা বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত বৃদ্ধ ইউনুছ আলীর বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে। শিশুটির বাড়িও একই গ্রামে।
ভুক্তভুগি শিশু জানায়, রোববার সকালে তার বাবা-মা কৃষি কাজের জন্য বাড়িতে ছিলেন না। সকাল দশটার দিকে প্রতিবেশি ইউনুছ আলী বাড়িতে ঢুকে তার পড়নের পাজামা খুলে ফেলেন। চিৎকার করলে খুন করার ভয়ও দেখান।
প্রত্যক্ষদর্শি প্রতিবেশি গৃহবধূ চায়না জানান, পান খাওয়ার জন্য তিনি ওই বাড়িতেই যাচ্ছিলেন। গেটের কাছে গিয়ে কান্নার আওয়াজ পান। ভেতরে ঢুকে দেখেন উলঙ্গ শিশুটিকে ধর্ষণচেষ্টা করছেন ইউনুছ আলী। এসময় তিনি ডাক-চিৎকার দিলে অভিযুক্ত ইউনুছ পালিয়ে যান।
ধর্ষণচেষ্টার সত্যতা নিশ্চিত করে নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত রানা লাবু বলেন, অভিযুক্ত ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত ইউনুছ আলী বলেন, তিনি গাছ বিক্রির জন্য ওই শিশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। শিশুটির সাথে তিনি খারাপ ব্যবহার করেননি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শিশু ধর্ষণচেষ্টার খবর পেয়ে রোববার বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্ত ইউনুছ আলীকে তার বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। এঘটনায় শিশুটির পিতা বাদি হয়ে ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। রোববার দুপুরে ওই বৃদ্ধকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।