এস এম সাইফুল ইসলাম.
সম্প্রতি মোদিবিরোধী আন্দোলনসহ যেসব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা হয়েছে, তা ‘কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের গঠনতন্ত্রের বিরোধী’ বলে মন্তব্য করেছেন কওমী মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট দেশের শীর্ষ স্থানীয় আলেম মাওলানা ড. মুশতাক আহমদ।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর তেঁজগাওয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কওমী মাদ্রাসা প্রধানদের অংশগ্রহণে তাহাফফুজে মাদারিসে কওমিয়া বাংলাদেশ এর পরামর্শ সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় সংগঠনের অন্যতম আহ্বায়ক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর মাওলানা ড. মুশতাক আহমদ বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার আদর্শ ও ঐতিহ্যের সাথে সাংঘর্ষিক। সম্প্রতি মোদিবিরোধী আন্দোলনসহ যেসব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা হয়েছে, তা কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের গঠনতন্ত্রের বিরোধী।
অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র শিবিরের অনুপ্রবেশের ফলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে কওমী মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঠে নামানো হয়েছে।
এছাড়া সভায় দেশের সকল কওমী মাদ্রাসা অবিলম্বে খুলে দেয়ার দাবিও জানায় কওমী মাদরাসা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এ সংগঠনটি।
তবে সভার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি নিয়ে সমালোচনা করেছেন কওমী মাদরাসার বিভিন্ন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তারা সংগঠনটির এসব বক্তব্যকে মিথ্যা ও উদ্দেশমূলক মনে করছেন।
মঞ্জুরুল ইসলাম নাদীম নামে এক মাদরাসা শিক্ষক বলেন, সংগঠনটির উদ্যোগ সাধুবাদ পাবার যোগ্য হলেও তাদের বক্তব্য উদ্দেশমূলক। কওমী মাদ্রাসায় জামাত-শিবির আছে এমন কথা বলে মূলত কওমী মাদ্রাসায় সরকারি হস্তক্ষেপের দ্বার উন্মুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গুলি করে শিক্ষার্থী হত্যা করার পরে তাদেরকে শিবির ট্যাগ দিয়ে এই হত্যাকে বৈধ করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আমজাদ আফসারী নামের অপর একজন বলেন, কওমি মাদ্রাসায় জামাত শিবির প্রবেশ করেনি বরং হিন্দুত্ববাদী ভারতের দালাল কিছু মৌলভী অবশ্যই অনুপ্রবেশ করেছে। এরা কওমি অঙ্গনের নেতৃত্ব দখলের অপচেষ্টায় আমাদের বিরুদ্ধে এসব অপবাদ রটাচ্ছে।
সভায় বক্তব্য প্রদান করেন মাওলানা ড. মুশতাক আহমদ, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মুফতী মোহাম্মদ আলী, মাও. মুজিবুর রহমান ফয়জী প্রমুখ।