শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিরাপদ মাতৃত্ব সম্পর্কে জানতে হবে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:১০:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১
  • ২৩০ Time View

অহনা আনজুম , ঢাকা.

নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে মা হওয়ার সঠিক বয়স তথা প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এ ব্যাপারে হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় ডা. ফারজানা জাফরীনের। তিনি মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটালের সহযোগী অধ্যাপক।

কথায় কথায় তিনি বলেন, “নিরাপদ মাতৃত্বের সঠিক বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর। ১৮ বছরের কম অথবা ৩৫ বছরের বেশি বয়সে গর্ভধারণ করলে মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। অপুষ্টিতে ভোগা, বাচ্চা প্রসবের সময় নানা জটিলতা দেখা দেয়া এমনকি প্রসবকালীন মৃত্যুও হতে পারে।“এছাড়া প্রসব পরবর্তী কিছু সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যেমন, রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি, গর্ভকালীন জটিলতা।”

তিনি আরও বলেন, “অনিরাপদ মাতৃত্বে শুধু যে মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে তা নয় সন্তানেরও ঝুঁকি রয়েছে। সময়ের আগে জন্ম নেওয়া, কম ওজনের শিশুর জন্ম হওয়া, এমনকি গর্ভাবস্থায় শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।”

করোনাভাইরাস মহামারিতে নিরাপদ মাতৃত্ব কতটা নিশ্চিত হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অনেকেই ভয়ে হাসপাতলে আসতে চাচ্ছে না।”

নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে করণীয় সম্পর্কে ডা. জাফরীন বলেন, “আসলে সচেতনতার শুরুটা হতে হবে পরিবার থেকে। প্রত্যেকটি পরিবারকে নিরাপদ মাতৃত্বের সঠিক বয়স সম্পর্কে জানতে হবে। অনিরাপদ মাতৃত্বের কুফল সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।”

তিনি যোগ করেন, “মাতৃমৃত্যুর ৫৫ শতাংশই প্রসবের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হয়ে থাকে। তাই প্রসব-পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা মাকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। কোনো জটিলতা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।”

নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে প্রতি বছর ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয়। প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করা হয় দিবসটির মাধ্যমে।

Tag :

নিরাপদ মাতৃত্ব সম্পর্কে জানতে হবে

Update Time : ০৭:১০:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১

অহনা আনজুম , ঢাকা.

নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে মা হওয়ার সঠিক বয়স তথা প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এ ব্যাপারে হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় ডা. ফারজানা জাফরীনের। তিনি মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটালের সহযোগী অধ্যাপক।

কথায় কথায় তিনি বলেন, “নিরাপদ মাতৃত্বের সঠিক বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর। ১৮ বছরের কম অথবা ৩৫ বছরের বেশি বয়সে গর্ভধারণ করলে মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। অপুষ্টিতে ভোগা, বাচ্চা প্রসবের সময় নানা জটিলতা দেখা দেয়া এমনকি প্রসবকালীন মৃত্যুও হতে পারে।“এছাড়া প্রসব পরবর্তী কিছু সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যেমন, রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি, গর্ভকালীন জটিলতা।”

তিনি আরও বলেন, “অনিরাপদ মাতৃত্বে শুধু যে মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে তা নয় সন্তানেরও ঝুঁকি রয়েছে। সময়ের আগে জন্ম নেওয়া, কম ওজনের শিশুর জন্ম হওয়া, এমনকি গর্ভাবস্থায় শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।”

করোনাভাইরাস মহামারিতে নিরাপদ মাতৃত্ব কতটা নিশ্চিত হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অনেকেই ভয়ে হাসপাতলে আসতে চাচ্ছে না।”

নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে করণীয় সম্পর্কে ডা. জাফরীন বলেন, “আসলে সচেতনতার শুরুটা হতে হবে পরিবার থেকে। প্রত্যেকটি পরিবারকে নিরাপদ মাতৃত্বের সঠিক বয়স সম্পর্কে জানতে হবে। অনিরাপদ মাতৃত্বের কুফল সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।”

তিনি যোগ করেন, “মাতৃমৃত্যুর ৫৫ শতাংশই প্রসবের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হয়ে থাকে। তাই প্রসব-পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা মাকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। কোনো জটিলতা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।”

নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে প্রতি বছর ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয়। প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করা হয় দিবসটির মাধ্যমে।