শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকার কলাবাগানে নিজের বাসায় নারী চিকিৎসকের মরদেহ : চারজন ডিবি হেফাজতে

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১
  • ৪৮ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক,

রাজধানীর কলাবাগান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে হেফাজতে নিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সোমবার (৩১ মে) বিকেলে ডিবি রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সাবলেটে থাকা এক শিক্ষার্থী, তার এক বন্ধু, বাড়ির দারোয়ান রমজান ও কাজের একজন মেয়েকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’

ডিবি সূত্র জানায়, ডা. সাবিরা দুটি বিয়ে করেছিলেন। তার প্রথম স্বামী চিকিৎসক ছিলেন। তিনি একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। পরে সাবিরা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সাবিরার দ্বিতীয় স্বামী সামসুদ্দিন আজাদ একটি বেসরকারি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তবে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও বনিবনা ছিল না তার। সাবিরার আগের স্বামীর ঘরে ২১ বছরের এক ছেলে এবং দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে ১০ বছরের এক মেয়ে রয়েছে।

সাবিরার মামাতো ভাই মো. রেজাউল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। বিষয়টিকে অন্যদিকে ডাইভার্ট করার জন্য আগুনের ঘটনা সাজানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনো কাউকে সন্দেহ করছি না। তদন্তের পর পুলিশ বিস্তারিত বলতে পারবে।’

নিহত চিকিৎসকের খালাতো বোন জাকিয়া খন্দকার মমি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সে আমার মেজো খালার মেয়ে। বয়স ৪৭ এর মতো। গ্রিন লাইফ হাসপাতালে বেশ কয়েক বছর ধরে চাকরি করছেন। তার স্বামী সাবেক ব্যাংকার। ন্যাশনাল ব্যাংকে ছিলেন। আজকে সাবিরার অফিস ছিল এবং বেশ কয়েকজনের সঙ্গে বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। আমার মনে হয় আশেপাশের কেউ শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করেছে।’

Tag :

ঢাকার কলাবাগানে নিজের বাসায় নারী চিকিৎসকের মরদেহ : চারজন ডিবি হেফাজতে

Update Time : ১২:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

বিশেষ প্রতিবেদক,

রাজধানীর কলাবাগান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে হেফাজতে নিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সোমবার (৩১ মে) বিকেলে ডিবি রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সাবলেটে থাকা এক শিক্ষার্থী, তার এক বন্ধু, বাড়ির দারোয়ান রমজান ও কাজের একজন মেয়েকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’

ডিবি সূত্র জানায়, ডা. সাবিরা দুটি বিয়ে করেছিলেন। তার প্রথম স্বামী চিকিৎসক ছিলেন। তিনি একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। পরে সাবিরা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সাবিরার দ্বিতীয় স্বামী সামসুদ্দিন আজাদ একটি বেসরকারি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তবে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও বনিবনা ছিল না তার। সাবিরার আগের স্বামীর ঘরে ২১ বছরের এক ছেলে এবং দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে ১০ বছরের এক মেয়ে রয়েছে।

সাবিরার মামাতো ভাই মো. রেজাউল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। বিষয়টিকে অন্যদিকে ডাইভার্ট করার জন্য আগুনের ঘটনা সাজানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনো কাউকে সন্দেহ করছি না। তদন্তের পর পুলিশ বিস্তারিত বলতে পারবে।’

নিহত চিকিৎসকের খালাতো বোন জাকিয়া খন্দকার মমি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সে আমার মেজো খালার মেয়ে। বয়স ৪৭ এর মতো। গ্রিন লাইফ হাসপাতালে বেশ কয়েক বছর ধরে চাকরি করছেন। তার স্বামী সাবেক ব্যাংকার। ন্যাশনাল ব্যাংকে ছিলেন। আজকে সাবিরার অফিস ছিল এবং বেশ কয়েকজনের সঙ্গে বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। আমার মনে হয় আশেপাশের কেউ শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করেছে।’