শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা মহামারিতে ঘরে বসেই নিরাপদে আয় করছেন ফ্রিল্যান্সাররা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২১:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১
  • ৫৪ Time View

স্টাফ রিপোর্টার
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার নাছিয়ারকান্দী গ্রামের মোস্তাকিম জনি। তাঁর ভাষ্য, বর্তমানে তিনি মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন , ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও ভিডিও এডিটিং নিয়ে কাজ করছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার কাজদাতাদেরও বিভিন্ন কাজ করছেন তিনি।

মোস্তাকিম জনি বলেন, ‘ঘরে বসে আয় করতে পারছি। তাই নিজ এলাকা ছেড়ে কাজের সন্ধানে অন্য কোথাও যেতে হয়নি। প্রযুক্তিতে দক্ষতা, ধৈর্য আর ইংরেজি জানার ফলে এ সাফল্য এসেছে। বর্তমানে তিনি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেস , আপওয়ার্ক ও ফাইবারে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে আমরা হয়তো অনেকেই কিছুটা পরিচিত। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বাজারে একটি বড় অংশ দখল করে আছে এই ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি।

এর একটি বড় করণ হলো আমাদের দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরকারি ও বেসরকারি চাকরি নেই। আমরা এতো কষ্ট করে ১৫-২০ বছর পড়াশোনা করেছি। পড়াশোনা শেষ করে যখন চাকরি নিতে যাই তখনই শুরু হয় নানা সমস্যা।

আমাদের দেশে পর্যাপ্ত চাকরির না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষিত যুবকরাই বেকার হয়ে তারা বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে।

আর এ সমস্যার সমাধানই হলো ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি। ফ্রিল্যান্সিং এ যেকেউ তার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনেক ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। একারণেই বর্তমান তরুণ সমাজের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশায় পরিণত হয়েছে।

আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি জনপ্রিয় হওয়ার আরেকটি বড় কারণ হলো, এই পেশায় আপনি মুক্ত ভাবে কাজ করতে পারেন, কেউ আপনার উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না।

অর্থাৎ সাধারণ চাকরিতে যেমন আপনি কোনো একটি কোম্পানি বা সরকারের আন্ডারে কাজ করেন। আপনার বস থাকে, ফ্রিল্যান্সিং এ কিন্তু তেমনটি নেই। আপনি নিজেই আপনার বস!

আবার সাধারণ চাকরিতে আপনাকে সময়মতো কর্মোস্থলে পৌছাতে হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে আপনাকে আপনার কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এর বিনিময়ে আপনি মাস শেষে একটি নির্দিষ্ট টাকা পান।

ফ্রিল্যান্সিং এ এমন কোনো সমস্যাই নেই। আপনার যখন ইচ্ছা কাজ করতে পারেন। আর আপনি যত কাজ করবেন তত টাকা পাবেন। মাস শেষে কোনো নির্দিষ্ট টাকার পেছনে আপনাকে আর ভাগতে হয়না।

এ বিষয়ে আইসিটি মন্ত্রাণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের ডিজিটাল আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেন তারা তাদের পরিচয় দিতে পারেন। পাশিাপাশি অন্যান্য অর্থনৈতিক সাপোর্ট পেতে পারেন যেমন ব্যাংক এবং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট থেকে সাহায্য পেতে পারেন। আর দক্ষতা বাড়ানোর জন্য একটা কোর্স ডিজাইন করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশের সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সারদের ডিজিটাল আইডি কার্ড প্রদান করবে আইসিটি মন্ত্রণালয়।

Tag :

করোনা মহামারিতে ঘরে বসেই নিরাপদে আয় করছেন ফ্রিল্যান্সাররা

Update Time : ১০:২১:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার নাছিয়ারকান্দী গ্রামের মোস্তাকিম জনি। তাঁর ভাষ্য, বর্তমানে তিনি মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন , ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও ভিডিও এডিটিং নিয়ে কাজ করছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার কাজদাতাদেরও বিভিন্ন কাজ করছেন তিনি।

মোস্তাকিম জনি বলেন, ‘ঘরে বসে আয় করতে পারছি। তাই নিজ এলাকা ছেড়ে কাজের সন্ধানে অন্য কোথাও যেতে হয়নি। প্রযুক্তিতে দক্ষতা, ধৈর্য আর ইংরেজি জানার ফলে এ সাফল্য এসেছে। বর্তমানে তিনি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেস , আপওয়ার্ক ও ফাইবারে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে আমরা হয়তো অনেকেই কিছুটা পরিচিত। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বাজারে একটি বড় অংশ দখল করে আছে এই ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি।

এর একটি বড় করণ হলো আমাদের দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরকারি ও বেসরকারি চাকরি নেই। আমরা এতো কষ্ট করে ১৫-২০ বছর পড়াশোনা করেছি। পড়াশোনা শেষ করে যখন চাকরি নিতে যাই তখনই শুরু হয় নানা সমস্যা।

আমাদের দেশে পর্যাপ্ত চাকরির না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষিত যুবকরাই বেকার হয়ে তারা বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে।

আর এ সমস্যার সমাধানই হলো ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি। ফ্রিল্যান্সিং এ যেকেউ তার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনেক ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। একারণেই বর্তমান তরুণ সমাজের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশায় পরিণত হয়েছে।

আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি জনপ্রিয় হওয়ার আরেকটি বড় কারণ হলো, এই পেশায় আপনি মুক্ত ভাবে কাজ করতে পারেন, কেউ আপনার উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না।

অর্থাৎ সাধারণ চাকরিতে যেমন আপনি কোনো একটি কোম্পানি বা সরকারের আন্ডারে কাজ করেন। আপনার বস থাকে, ফ্রিল্যান্সিং এ কিন্তু তেমনটি নেই। আপনি নিজেই আপনার বস!

আবার সাধারণ চাকরিতে আপনাকে সময়মতো কর্মোস্থলে পৌছাতে হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে আপনাকে আপনার কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এর বিনিময়ে আপনি মাস শেষে একটি নির্দিষ্ট টাকা পান।

ফ্রিল্যান্সিং এ এমন কোনো সমস্যাই নেই। আপনার যখন ইচ্ছা কাজ করতে পারেন। আর আপনি যত কাজ করবেন তত টাকা পাবেন। মাস শেষে কোনো নির্দিষ্ট টাকার পেছনে আপনাকে আর ভাগতে হয়না।

এ বিষয়ে আইসিটি মন্ত্রাণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের ডিজিটাল আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেন তারা তাদের পরিচয় দিতে পারেন। পাশিাপাশি অন্যান্য অর্থনৈতিক সাপোর্ট পেতে পারেন যেমন ব্যাংক এবং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট থেকে সাহায্য পেতে পারেন। আর দক্ষতা বাড়ানোর জন্য একটা কোর্স ডিজাইন করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশের সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সারদের ডিজিটাল আইডি কার্ড প্রদান করবে আইসিটি মন্ত্রণালয়।