শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

উদ্বোধনের আগেই নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ গুরুদাসপুর সাব-ষ্টেশনের সীমানা প্রাচীরে ধ্বস!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:১৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
  • ৬৬ Time View

গুরুদাসপুর( নাটোর)  প্রতিনিধি.
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর গুরুদাসপুর সাব-ষ্টেশনের সীমানা প্রাচীর উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়েছে। উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের নয়াবাজারে নির্মিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পুর্বপাশ বরাবর নির্মিত ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফিট প্রস্থ্যের এই প্রাচীরটি  ধসে পড়ে। নির্মাণ কাজ যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় এই ধসের ঘটনা ঘটেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গুরুদাসপুর অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. আব্দুর রশিদ তথ্যটি নিশ্চিত করে জানান। ‘সাব-ষ্টেশনটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৬ কোটি ৬৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০টাকা।  টি এস ট্রান্সফরমেশন লিঃ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পান।

২০১৮ সালের ২৪ জুলাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এক বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার চুক্তি ছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে। তবে, মূল ঠিকাদার কাজটি না করে ‘এস হক কন্স্ট্র্রাকশন’ নামে একজন সাব-ঠিকাদার দিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্মাণ কাজ শেষ করে। তড়িঘড়ি করে কাজটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দেয়ালটি ধ্বসে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকেই নির্মাণ কাজে নানা অসঙ্গতি দেখা দিয়েছিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে। স্থানীয়ভাবে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের  সাথে সাব-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিশেষ সম্পর্ক রাখার কারনে প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি কেউ। এখন সীমানা প্রাচীরটি ভেঙ্গে পড়ায় অনিয়মের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

সাব ঠিকাদার এস হক কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধীকারী তানিম আহম্মেদ মোবাইল ফোনে জানান, ‘মুল ঠিকাদারের সাথে কাজ বাস্তবায়নে ‘সমঝোতা’র অভাবে কিছু ক্ষেত্রে অসঙ্গতি রয়েছে। পরে তাঁদের মত কাজগুলো বাস্তবায়ন করেছেন।’ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী রবিউল হাসান দাবি করেন ‘সম্প্রতি   প্রবল বৃষ্টি পাতের  কারনে সীমানা প্রাচীরটি ভেঙ্গে পড়েছে।
মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী সনজিদ সেন ‘দাবী করেন সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব অবহেলার কারনেই সীমানা প্রাচীরটি ভেঙ্গে পড়েছে। তবে নতুন করে আবারও সীমানা প্রাচীর নির্মানের কাজ দ্রুতই শুরু হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর ডিজিএম মোঃ হারুনুর রশিদদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়ভার। উক্ত কাজ আমরা এখনও বুঝে পাই নাই। বুঝে পাওয়ার পর কোনো ত্রুটি পেলে তা অবশ্যই আমাদের দায়-দায়িত্বের উপর পড়বে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

উদ্বোধনের আগেই নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ গুরুদাসপুর সাব-ষ্টেশনের সীমানা প্রাচীরে ধ্বস!

Update Time : ০৭:১৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

গুরুদাসপুর( নাটোর)  প্রতিনিধি.
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর গুরুদাসপুর সাব-ষ্টেশনের সীমানা প্রাচীর উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়েছে। উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের নয়াবাজারে নির্মিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পুর্বপাশ বরাবর নির্মিত ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফিট প্রস্থ্যের এই প্রাচীরটি  ধসে পড়ে। নির্মাণ কাজ যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় এই ধসের ঘটনা ঘটেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গুরুদাসপুর অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. আব্দুর রশিদ তথ্যটি নিশ্চিত করে জানান। ‘সাব-ষ্টেশনটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৬ কোটি ৬৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০টাকা।  টি এস ট্রান্সফরমেশন লিঃ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পান।

২০১৮ সালের ২৪ জুলাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এক বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার চুক্তি ছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে। তবে, মূল ঠিকাদার কাজটি না করে ‘এস হক কন্স্ট্র্রাকশন’ নামে একজন সাব-ঠিকাদার দিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্মাণ কাজ শেষ করে। তড়িঘড়ি করে কাজটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দেয়ালটি ধ্বসে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকেই নির্মাণ কাজে নানা অসঙ্গতি দেখা দিয়েছিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে। স্থানীয়ভাবে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের  সাথে সাব-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিশেষ সম্পর্ক রাখার কারনে প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি কেউ। এখন সীমানা প্রাচীরটি ভেঙ্গে পড়ায় অনিয়মের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

সাব ঠিকাদার এস হক কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধীকারী তানিম আহম্মেদ মোবাইল ফোনে জানান, ‘মুল ঠিকাদারের সাথে কাজ বাস্তবায়নে ‘সমঝোতা’র অভাবে কিছু ক্ষেত্রে অসঙ্গতি রয়েছে। পরে তাঁদের মত কাজগুলো বাস্তবায়ন করেছেন।’ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী রবিউল হাসান দাবি করেন ‘সম্প্রতি   প্রবল বৃষ্টি পাতের  কারনে সীমানা প্রাচীরটি ভেঙ্গে পড়েছে।
মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী সনজিদ সেন ‘দাবী করেন সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব অবহেলার কারনেই সীমানা প্রাচীরটি ভেঙ্গে পড়েছে। তবে নতুন করে আবারও সীমানা প্রাচীর নির্মানের কাজ দ্রুতই শুরু হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর ডিজিএম মোঃ হারুনুর রশিদদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়ভার। উক্ত কাজ আমরা এখনও বুঝে পাই নাই। বুঝে পাওয়ার পর কোনো ত্রুটি পেলে তা অবশ্যই আমাদের দায়-দায়িত্বের উপর পড়বে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।