শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ কার্ডে ব্যবহৃত ছবির জন্য দুই প্রতিবন্ধী শিশু পাচ্ছে ২ লাখ টাকা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১
  • ৩৪ Time View

বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
মোঃহৃদয় মিয়া (১৪) ও রুপা খাতুন (১২)। ওদের বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলায়। দুজনই মানসিক প্রতিবন্ধী। মাসুমদিয়া ইউনিয়নের নতুনমীরপুর গ্রামের সুপ্ত শিখা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এই দুই শিশুর আঁকা ছবি ব্যবহৃত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা কার্ডে। আর সেই ছবির সম্মানী বাবদ তারা দুজন পাচ্ছে ২ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সম্মানী ঘোষণার চিঠি পেয়েছে তারা। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হৃদয় মিয়া বেড়া উপজেলার রতনগঞ্জ গ্রামের সাঈদ মিয়ার ছেলে। রুপা খাতুন মাশুমদিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের মো. আলিম খানের মেয়ে। তারা দুজনই ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা কার্ডে ব্যবহৃত হয় হৃদয় ও রুপার আঁকা ছবি। সেই ছবির সম্মানী বাবদ দুজনকে ১ লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে সম্মানীর চেক ইস্যু করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার আফরোজা বিনতে মনসুর গাজী লিপি স্বাক্ষরিত ওই চিঠি গত বুধবার হাতে পান বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটি।

এ বিষয়ে সুপ্ত শিখা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন দাতা সদস্য মাশুমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজ হোসেন বলেন, ‘এটি একটি অনন্য অর্জন। আমাদের জন্য এ বিষয়টি মাইলফলক হয়ে থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সম্মানী ঘোষণার চিঠি পেয়েছি। দু-একদিনের মধ্যেই দুই শিক্ষার্থী ও তাদের বাবাকে নিয়ে আমরা ঢাকায় যাব সম্মানীর চেক আনতে। দেশব্যাপী লকডাউন চললেও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ঢাকায় যাতায়াতের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।
সুপ্ত শিখা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা. সবুর আলী বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত। সবাই আজ মিষ্টি মুখ করেছি। একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের এই প্রতিভা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’

দুই শিক্ষার্থীর বাবা আলিম খান ও সাঈদ মিয়া জানান, তারা তাদের সন্তানের এমন অর্জনে খুবই খুশি। সবাই খুব প্রশংসা করছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তাদের সন্তানকে এভাবে সম্মান দেওয়ার জন্য।

Tag :

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ কার্ডে ব্যবহৃত ছবির জন্য দুই প্রতিবন্ধী শিশু পাচ্ছে ২ লাখ টাকা

Update Time : ০৫:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১

বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
মোঃহৃদয় মিয়া (১৪) ও রুপা খাতুন (১২)। ওদের বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলায়। দুজনই মানসিক প্রতিবন্ধী। মাসুমদিয়া ইউনিয়নের নতুনমীরপুর গ্রামের সুপ্ত শিখা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এই দুই শিশুর আঁকা ছবি ব্যবহৃত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা কার্ডে। আর সেই ছবির সম্মানী বাবদ তারা দুজন পাচ্ছে ২ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সম্মানী ঘোষণার চিঠি পেয়েছে তারা। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হৃদয় মিয়া বেড়া উপজেলার রতনগঞ্জ গ্রামের সাঈদ মিয়ার ছেলে। রুপা খাতুন মাশুমদিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের মো. আলিম খানের মেয়ে। তারা দুজনই ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা কার্ডে ব্যবহৃত হয় হৃদয় ও রুপার আঁকা ছবি। সেই ছবির সম্মানী বাবদ দুজনকে ১ লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে সম্মানীর চেক ইস্যু করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার আফরোজা বিনতে মনসুর গাজী লিপি স্বাক্ষরিত ওই চিঠি গত বুধবার হাতে পান বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটি।

এ বিষয়ে সুপ্ত শিখা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন দাতা সদস্য মাশুমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজ হোসেন বলেন, ‘এটি একটি অনন্য অর্জন। আমাদের জন্য এ বিষয়টি মাইলফলক হয়ে থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সম্মানী ঘোষণার চিঠি পেয়েছি। দু-একদিনের মধ্যেই দুই শিক্ষার্থী ও তাদের বাবাকে নিয়ে আমরা ঢাকায় যাব সম্মানীর চেক আনতে। দেশব্যাপী লকডাউন চললেও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ঢাকায় যাতায়াতের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।
সুপ্ত শিখা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা. সবুর আলী বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত। সবাই আজ মিষ্টি মুখ করেছি। একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের এই প্রতিভা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’

দুই শিক্ষার্থীর বাবা আলিম খান ও সাঈদ মিয়া জানান, তারা তাদের সন্তানের এমন অর্জনে খুবই খুশি। সবাই খুব প্রশংসা করছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তাদের সন্তানকে এভাবে সম্মান দেওয়ার জন্য।