সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৫ বছরে পদাপর্ণ করল বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১১৮ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়).

দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্লবন্দর বাংলাবান্ধা ২৫ বছরে পদার্পন করল। বাংলাবান্ধা  স্থলবন্দর উদ্বোধনের ২৪ বছর পূর্ণ হয় গতকাল ১ সেপ্টেম্বর বুধবার। ১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্লবন্দরের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

সে থেকেই এ স্থলবন্দর  দিয়ে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের যাত্রা। প্রথমদিকে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি রফতানি শুরু হলেও পরবর্তীতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য ঘাটতি পুরণ, বাণিজ্যের সহজিকরণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে ২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের ভারতের (তৎকালীন অর্থমন্ত্রী) সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জি এবং বাংলাদেশের তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী যৌথভাবে ঘোষণা দেন। এর পরই বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয় ভূটানের সাথেও । বাংলাবান্ধা স্লবন্দরে সিএন্ডএফ এজেন্ট এর সভাপতি রেজাউল করিম রেজা ও ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, শুরু থেকে বাংলাবান্ধা স্লবন্দরে কার্যক্রম সুন্দর ভাবে পরিচালনা হয়ে আসছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারত, নেপাল ও ভূটারের সাথে সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য ঘাটতি পুরণ, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সহজিকরণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে এ বন্দর চালু করা হয়। ইতিমধ্যে এই বন্দরের কার্যক্রম সুন্দর ভাবে পরিচালনা হয়ে আসছে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে রেল পথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল লাইন করার প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত এই রেল লাইন বাস্তবায়ন হলে বন্দরের কার্যক্রম অনেকটাই এগিয়ে যাবে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার মবিন-উল-ইসলাম জানান, স্লবন্দরটি করোনাকালীন সময় গত ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩৩ কোটি টাকা। আমরা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছি ৬১ কোটি টাকা। এসময় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮৩%। তিনি আরো জানান, স্থলবন্দর কর্মকতার্-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দিগুন রাজস্ব আদায়ের সম্ভব হয়েছে।

Tag :
About Author Information

Daily Banalata

২৫ বছরে পদাপর্ণ করল বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর

Update Time : ০৭:২৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিশেষ প্রতিবেদক, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়).

দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্লবন্দর বাংলাবান্ধা ২৫ বছরে পদার্পন করল। বাংলাবান্ধা  স্থলবন্দর উদ্বোধনের ২৪ বছর পূর্ণ হয় গতকাল ১ সেপ্টেম্বর বুধবার। ১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্লবন্দরের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

সে থেকেই এ স্থলবন্দর  দিয়ে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের যাত্রা। প্রথমদিকে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি রফতানি শুরু হলেও পরবর্তীতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য ঘাটতি পুরণ, বাণিজ্যের সহজিকরণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে ২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের ভারতের (তৎকালীন অর্থমন্ত্রী) সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জি এবং বাংলাদেশের তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী যৌথভাবে ঘোষণা দেন। এর পরই বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয় ভূটানের সাথেও । বাংলাবান্ধা স্লবন্দরে সিএন্ডএফ এজেন্ট এর সভাপতি রেজাউল করিম রেজা ও ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, শুরু থেকে বাংলাবান্ধা স্লবন্দরে কার্যক্রম সুন্দর ভাবে পরিচালনা হয়ে আসছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারত, নেপাল ও ভূটারের সাথে সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য ঘাটতি পুরণ, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সহজিকরণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে এ বন্দর চালু করা হয়। ইতিমধ্যে এই বন্দরের কার্যক্রম সুন্দর ভাবে পরিচালনা হয়ে আসছে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে রেল পথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল লাইন করার প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত এই রেল লাইন বাস্তবায়ন হলে বন্দরের কার্যক্রম অনেকটাই এগিয়ে যাবে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার মবিন-উল-ইসলাম জানান, স্লবন্দরটি করোনাকালীন সময় গত ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩৩ কোটি টাকা। আমরা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছি ৬১ কোটি টাকা। এসময় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮৩%। তিনি আরো জানান, স্থলবন্দর কর্মকতার্-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দিগুন রাজস্ব আদায়ের সম্ভব হয়েছে।