মোঃ মিজানুর রহমান পলাশ গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুরে পাগল খেতাব দিয়ে লিটন (২৮) নামের এক যুবককে বেধরক পিটিয়ে যখম করা মামলার ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।
গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধার পর উপজেলার মশিন্দার বামনকোলা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো উপজেলার বামনকোলা গ্রামের মৃত শাহ মাহমুদ সরকারের ছেলে আব্দুস সামাদ সরকার .(৬৫) মোঃ শাহিন সরকার (৩৫) ও মোঃ স্বাধীন সরকার(২১) উভয়ের পিতা আব্দুস সামাদ সরকার ।
আহত ওই যুবককে প্রথমে গুরুদাসপুর হাসপাতাল ভর্তি করা হলেও রোগী অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় প্রথমে রামেক হাসপাতাল অতপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় যুবকের মা বেবি বেগম বাদি হয়ে প্রতিবেশি চারজনকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই যুবকের মা বেবি বেগম অভিযোগ করেন, তার ছেলে কথা বেশি বললেও পাগল নয়। অথচ পাগল খেতাব দিয়ে এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে যখম করা হয়েছে। এসময় লিটনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড, মোটরসাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রতিবেশি আব্দুস সামাদ সরকারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধের সূত্র ধরে এরআগেও বেশ কয়েকবার লিটনকে মারপিট করা হয়। প্রতিবাদ করতে গেলে লিটনকে পাগল আখ্যা দেওয়া হয়। সবশেষ জমি মাপযোগের জন্য সোমবার চাচা আব্দুস সামাদের কাছে যান। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুস সামাদ ও তার সন্তানেরা লিটনকে বেদরক পিটিয় যখম করেন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আব্দুল মতিন বলেন, এঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলার ৩ আসামীসহ বিভিন্ন মামলার মোট ৮ জন আসামীকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।