গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি.
গুরুদাসপুরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বিকাল তিনটার দিকে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ওই ক্যাম্প উদ্বোধন করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদ। এসময় জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে সনদ গ্রহণকারী বাবা-মাকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
এরআগে সিধুলী গ্রামে বাল্যবিয়ে নিয়ে নারীদের সাথে উঠোন বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক। এরপর সিধুলী, খুবজিপুর, জোহা কলেজ মাঠসহ বেশ কয়েকটি মাঠে ক্রিড়া সামগ্রী বিতরণ করেন।
এসব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন, চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন প্রমূখ।
্উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন বলেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে ব্যাপক প্রচারণা প্রয়োজন। নিকাহ রেজিস্ট্রার ও ইমামদের দায়িত্ব অনেক। বর্তমান আইনের আওতায় অভিভাবকসহ প্রতিটি ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কমিটি করতে হবে। ওয়ার্ড পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের আহ্বায়ক করে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি করতে হবে।
নাটোর জেলা প্রশাসক শামীম আহেম্মদ বলেন, বাল্যবিয়ে সুস্পষ্টভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। নারীর উন্নয়নে একটি বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা। এটি একটি সামাজিক অন্যায়। অশিক্ষা, দারিদ্র্য, কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে বাল্যবিবাহ হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে কন্যাশিশুদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। কন্যাশিশুদের সুশিক্ষিত করে মানবসম্পদে পরিণত করতে পারলে মানবাধিকার ও নারী–পুরুষের সমানাধিকার নিশ্চিত হবে।