গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর আহত পাঁচজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকালে ঘটা এই এঘটনায় মামলা দায়ের হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মূলত হালখাতার কার্ডে এক ব্যাক্তির নামের আগে আলহাজ¦ না লেখায় ওই চারজনকে কুপিয়ে যখম করা হয়। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দাদুয়া গ্রামে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেশি আমিনুল ইসলাম আমানত ও তার লোকজনদের হামলায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন আবু জাফর আলী (৬৫) তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫৫), দুই ছেলে জহুরুল ইসলাম, সাহাবুল ইসলাম ও স্বজন আনোয়ার হোসেন। আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রামেকে পাঠানো হয়েছে। আহতরা পরস্পর আত্মীয়।
আহতদের মধ্যে জহুরুল বাদি হয়ে একই গ্রামের আমিনুল আমানত, জিয়ারুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, কামাল হোসেন, রঞ্জু ইসলাম, স্বপন আলীসহ ৮জনের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদি আহত জহুরুল জানান, দাদুয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের সিট কাপরের দোকানে বকেয়া ছিলো প্রতিবেশি আমিনুল হকের। কিন্তু হালখাতার কার্ডে প্রতিবেশি আমানত হোসেনের নামের আগে আলহাজ্ব লেখা হয়নি একারণ দেখিয়ে হালখাতায় উপস্থিত হননি আমানত। একপর্যায়ে দোকানী বাঁকি টাকা চাইলে দোকানি আনোয়ারকে দেখে নেবার হুমকি দেন। আর নামের আগে আলহাজ¦ না লেখায় কটুক্তি করেন হাজি আমানত।
সবশেষ বুধবার সকালে প্রায় ১৫ জনের একটি দল ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আনোয়ারের দোকানে হামলা চালায়। একপর্যায়ে দোকান ভাংচুর করে টাকাসহ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিলে জহুরুলদের এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে যখম করে প্রতিপক্ষ। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হামলাকারী জিয়ারুলরা পলাতাক থাকায় তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।