মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে পাহারাদার খুনের রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৪

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০৯:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৩৮ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক, রাজশাহী:
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুকুরের পাহারাদারকে খুন করে মাছ চুরির রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। খুনের ২৪ দিন পর নেপথ্যের বিষয়টি সামনে এসেছে। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে। এদের মধ্যে তিনজনই খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভোলার পালশা গ্রামের মো. মতিনের ছেলে মো. লতিব (৪০), সদর উপজেলার ফারাদপুর গ্রামের মৃত মো. মন্টুর ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫০), একই উপজেলার চকদেব ডাক্তারপাড়া গ্রামের ফসির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল করিম ওরফে জনি (২৫) এবং নাপিতপাড়া গ্রামের মৃত দুলালের ছেলে মো. শাহীন (৩৪)।

পুলিশ জানায়, গত ৩০ আগস্ট রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়ক সংলগ্ন গোদাগাড়ীর গোগ্রাম ইউনিয়নের লালাদিঘি এলাকার এক পুকুরে মাছ চুরি করতে এসে পাহারাদার মাসুদ রানাকে খুন করে কয়েকজন মাছ চোর। পরে থানায় মামলা হলে শুরু হয় তদন্ত।
জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের দিকনির্দেশনায় বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা গোদাগাড়ী থানার এসআই আজিজুল হকসহ জেলা ডিবির একটি টিম কাজ করতে থাকে বিষয়টি উদঘাটনে। এরপরই অপরাধীদের অবস্থান শনাক্ত করে বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নওগাঁর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. ইফতে খায়ের আলম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আসামীদের ভাষ্যমতে, তারা পেশাদার মাছ চোর। রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন পুকুরে মাছ চুরি করা তাদের পেশা। ছোট ট্রাক নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ায় এবং সুবিধামতো স্থানে মাছ চুরি করে থাকে।

তিনি জানান, ঘটনার রাতে চোরেরা নয়জন একটা মিনি ট্রাকে করে নওগাঁর ফারাদপুর এলাকা থেকে প্রায় আশি কিলোমিটার দূরে আসে মাছ চুরি করতে। এসময় মাসুদ রানা ও লিটন নামে দুই পাহারাদার তাদের দেখে ফেলেন। ফলে চোরেরা ওই দুইজনকে বেঁধে ফেলে। তবে মাসুদ রানা মারা যান। আটজনই ধরা-বাধার কাজে অংশ নেয়। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে তোলা হয়েছে এবং বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছেন ইফতে খায়ের আলম।

Tag :

রাজশাহীতে পাহারাদার খুনের রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৪

Update Time : ০৬:০৯:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিশেষ প্রতিবেদক, রাজশাহী:
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুকুরের পাহারাদারকে খুন করে মাছ চুরির রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। খুনের ২৪ দিন পর নেপথ্যের বিষয়টি সামনে এসেছে। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে। এদের মধ্যে তিনজনই খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভোলার পালশা গ্রামের মো. মতিনের ছেলে মো. লতিব (৪০), সদর উপজেলার ফারাদপুর গ্রামের মৃত মো. মন্টুর ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫০), একই উপজেলার চকদেব ডাক্তারপাড়া গ্রামের ফসির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল করিম ওরফে জনি (২৫) এবং নাপিতপাড়া গ্রামের মৃত দুলালের ছেলে মো. শাহীন (৩৪)।

পুলিশ জানায়, গত ৩০ আগস্ট রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়ক সংলগ্ন গোদাগাড়ীর গোগ্রাম ইউনিয়নের লালাদিঘি এলাকার এক পুকুরে মাছ চুরি করতে এসে পাহারাদার মাসুদ রানাকে খুন করে কয়েকজন মাছ চোর। পরে থানায় মামলা হলে শুরু হয় তদন্ত।
জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের দিকনির্দেশনায় বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা গোদাগাড়ী থানার এসআই আজিজুল হকসহ জেলা ডিবির একটি টিম কাজ করতে থাকে বিষয়টি উদঘাটনে। এরপরই অপরাধীদের অবস্থান শনাক্ত করে বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নওগাঁর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. ইফতে খায়ের আলম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আসামীদের ভাষ্যমতে, তারা পেশাদার মাছ চোর। রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন পুকুরে মাছ চুরি করা তাদের পেশা। ছোট ট্রাক নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ায় এবং সুবিধামতো স্থানে মাছ চুরি করে থাকে।

তিনি জানান, ঘটনার রাতে চোরেরা নয়জন একটা মিনি ট্রাকে করে নওগাঁর ফারাদপুর এলাকা থেকে প্রায় আশি কিলোমিটার দূরে আসে মাছ চুরি করতে। এসময় মাসুদ রানা ও লিটন নামে দুই পাহারাদার তাদের দেখে ফেলেন। ফলে চোরেরা ওই দুইজনকে বেঁধে ফেলে। তবে মাসুদ রানা মারা যান। আটজনই ধরা-বাধার কাজে অংশ নেয়। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে তোলা হয়েছে এবং বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছেন ইফতে খায়ের আলম।