শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধীদের বিমা আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১
  • ২৬৮ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক.

স্বাস্থ্য ও জীবনঝুঁকির ক্ষতি মোকাবিলায় অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধীদের (এনডিডি) বিমা আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। এই বিমা পরিকল্প চালু করতে এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সাধারণ বিমা করপোরেশন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধীদের স্বাস্থ্যবিমা পরিকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সাধারণ বিমা করপোরেশনের একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) করতে হবে। এরইমধ্যে এই সমঝোতা চুক্তির একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এতে দুই পক্ষ সই করলেই বিমা পরিকল্প চালু হয়ে যাবে।

স্বাস্থ্য ও জীবনঝুঁকির ক্ষতি মোকাবিলায় অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধীদের বিমার আওতায় আনতে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে উদ্যোগ নেয় সরকার। এই বিমা পরিকল্পটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এবং সাধারণ বিমা করপোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে বিমা পরিকল্পটি চালুতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। অবশ্য সব বাধা পেরিয়ে এখন পরিকল্পটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথমিকভাবে এনডিডি স্বাস্থ্যবিমা পরীক্ষামূলকভাবে এক বছরের জন্য চালু করা হবে। এই বিমার পলিসি ইস্যু সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে সাধারণ বিমা করপোরেশন। দাবি উত্থাপাতি হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে সাধারণ বিমা করপোরেশন বিমা দাবির অর্থ সরাসরি বিমাগ্রহীতাদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে পাঠাবে।

কোনো কারণে মোট বিমা দাবির পরিমাণ মোট প্রিমিয়াম আয়ের থেকে বেশি হলে বা অতিক্রম করলে সাধারণ বিমা করপোরেশন মোট প্রিমিয়ামের ১১০ শতাংশ ঝুঁকি গ্রহণ করবে। একইভাবে যদি মোট দাবির পরিমাণ মোট প্রিমিয়াম আয়ের থেকে কম হয় তাহলে সাধারণ বিমা করপোরেশন লভ্যাংশ থেকে প্রশাসনিক খরচ বাবদ ১৫ শতাংশ রেখে বাকি ৮৫ শতাংশ এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টকে ফেরত দেবে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, সাধারণ বিমা করপোরেশন, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের সমন্বয়ে প্রথমিকভাবে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো এবং সিলেটের কয়েকটি এলাকায় বিমা পরিকল্পটির কার্যক্রম শুরু করা হবে। পরবর্তীতে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী স্বাস্থ্যবিমা পরিকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে এমন এলাকায় এর প্রসার করা হবে।

এনডিডি স্বাস্থ্যবিমার আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে তিন থেকে ২৫ বছর বয়সের সব বিমা গ্রাহকদের (নিউরো-ডেভলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী) জন্য একই প্রিমিয়াম হার ব্যবহার করা হবে। তবে বিমার আওতা বাড়ানোর জন্য বয়সসীমা শিথিল করা যাবে। নিউরো-ডেভলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী অটিজম, ডাউন সিনড্রোম, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও সেরিব্রাল পালসি এই চার ধরনের নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের একই ধরনের বিমা সুবিধা দেওয়া হবে।

নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে ইস্যুরেন্স পূর্ব কোনো ডাক্তারি পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নিউরো ডেভলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এ স্বাস্থ্যবিমার আওতাভুক্ত হবেন। এনডিডি স্বাস্থ্যবিমার মাধ্যমে বিমাগ্রহীতার যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের ওপিডি চিকিৎসার ব্যয় বহন করা হবে। নির্ধারিত সীমার মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির পূর্ব ও পরবর্তী ব্যয় সর্বোচ্চ বিমা অঙ্ক পরিমাণ বিমা দাবি পরিশোধ করা হবে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধীদের অনুকূলে বিমা পলিসি ইস্যু করার জন্য এনডিডি ট্রাস্ট গ্রাহকের (এনডিডি-এর আইন সম্মত অভিভাবক) কাছ থেকে লিখিত সম্মতি নিশ্চিত করার পর যাচাই বাছাই করে তালিকাভুক্ত করবে এবং একটি এমআইএস (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) প্রস্তুত করবে। সে মোতাবেক সাধারণ বিমা করপোরেশনকে তথ্য সরবরাহ করবে। বিমা গ্রহীতার কেওয়াইসি এনডিডি ট্রাস্ট থেকে সাধারণ বিমা করপোরেশনকে দিতে হবে। যা যাচাই-বাছাই করার পর চূড়ান্ত দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং বিমাকারী (সাধারণ বিমা করপোরেশন) এটিকে বিমা কভারের প্রতিশ্রুতি হিসেবে বিবেচনা করবে।

প্রত্যেক বিমা গ্রহীতাকে তালিকাভুক্তি বা রেজিস্ট্রি করার জন্য অনুমোদিত বা রেজিস্টার্ড প্রতিষ্ঠানকে এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট থেকে ২৫ টাকা করে দেওয়া হবে এবং প্রতিটি প্রিমিয়াম সংগ্রহ বা আদায়ের জন্য অনুমোদিত রেজিস্টার্ড প্রতিষ্ঠানকে প্রতিটি প্রিমিয়ামের আয় থেকে ৪০ টাকা করে সম্মানি দেওয়া হবে।

সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইডিআরএ, এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট, সাধারণ বিমা করপোরেশনসহ নন-লাইফের আরও একটি বা দু’টি কোম্পানির প্রতিনিধির সমন্বয়ে সাত সদস্যের একটি ‘বাস্তবায়ন ও তদারকি’ কমিটি থাকবে। এই কমিটি সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী প্রস্তাবিত এনডিডি স্বাস্থ্যবিমার বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কে মূল্যায়ন করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সুপারিশ বা পরামর্শ দেবে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাধারণ বিমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান জাগো নিউজকে বলেন, এনডিডি স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে আমরা সব ধরনের কার্যক্রম সম্পন্ন করে রেখেছি। আইডিআরএ থেকে অনুমোদন পেলেই আমরা বিমা পরিকল্পটি চালু করে দিতে পারবো। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এই বিমা পরিকল্পটি চালু করে দেব। করোনা না হলে এই বিমা পরিকল্প আরও আগেই চালু হয়ে যেত।

তিনি বলেন, আমরা চাই এই ক্লাসটা (নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী) যাতে অবহেলিত না থাকে। আমরা চাই তারা যেন তাদের কোনো অসুবিধায় তাদের অধিকার হিসেবে এই জিনিটা (বিমা দাবির টাকা) পায়। তার মানে তারা যেন করুণার পাত্র হয়ে না থাকে। তারা স্বাভাবিক মানুষ, তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে।

Tag :

অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধীদের বিমা আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে

Update Time : ১২:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১

বিশেষ প্রতিবেদক.

স্বাস্থ্য ও জীবনঝুঁকির ক্ষতি মোকাবিলায় অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধীদের (এনডিডি) বিমা আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। এই বিমা পরিকল্প চালু করতে এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সাধারণ বিমা করপোরেশন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধীদের স্বাস্থ্যবিমা পরিকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সাধারণ বিমা করপোরেশনের একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) করতে হবে। এরইমধ্যে এই সমঝোতা চুক্তির একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এতে দুই পক্ষ সই করলেই বিমা পরিকল্প চালু হয়ে যাবে।

স্বাস্থ্য ও জীবনঝুঁকির ক্ষতি মোকাবিলায় অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধীদের বিমার আওতায় আনতে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে উদ্যোগ নেয় সরকার। এই বিমা পরিকল্পটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এবং সাধারণ বিমা করপোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে বিমা পরিকল্পটি চালুতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। অবশ্য সব বাধা পেরিয়ে এখন পরিকল্পটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথমিকভাবে এনডিডি স্বাস্থ্যবিমা পরীক্ষামূলকভাবে এক বছরের জন্য চালু করা হবে। এই বিমার পলিসি ইস্যু সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে সাধারণ বিমা করপোরেশন। দাবি উত্থাপাতি হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে সাধারণ বিমা করপোরেশন বিমা দাবির অর্থ সরাসরি বিমাগ্রহীতাদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে পাঠাবে।

কোনো কারণে মোট বিমা দাবির পরিমাণ মোট প্রিমিয়াম আয়ের থেকে বেশি হলে বা অতিক্রম করলে সাধারণ বিমা করপোরেশন মোট প্রিমিয়ামের ১১০ শতাংশ ঝুঁকি গ্রহণ করবে। একইভাবে যদি মোট দাবির পরিমাণ মোট প্রিমিয়াম আয়ের থেকে কম হয় তাহলে সাধারণ বিমা করপোরেশন লভ্যাংশ থেকে প্রশাসনিক খরচ বাবদ ১৫ শতাংশ রেখে বাকি ৮৫ শতাংশ এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টকে ফেরত দেবে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, সাধারণ বিমা করপোরেশন, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের সমন্বয়ে প্রথমিকভাবে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো এবং সিলেটের কয়েকটি এলাকায় বিমা পরিকল্পটির কার্যক্রম শুরু করা হবে। পরবর্তীতে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী স্বাস্থ্যবিমা পরিকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে এমন এলাকায় এর প্রসার করা হবে।

এনডিডি স্বাস্থ্যবিমার আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে তিন থেকে ২৫ বছর বয়সের সব বিমা গ্রাহকদের (নিউরো-ডেভলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী) জন্য একই প্রিমিয়াম হার ব্যবহার করা হবে। তবে বিমার আওতা বাড়ানোর জন্য বয়সসীমা শিথিল করা যাবে। নিউরো-ডেভলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী অটিজম, ডাউন সিনড্রোম, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও সেরিব্রাল পালসি এই চার ধরনের নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের একই ধরনের বিমা সুবিধা দেওয়া হবে।

নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে ইস্যুরেন্স পূর্ব কোনো ডাক্তারি পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নিউরো ডেভলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এ স্বাস্থ্যবিমার আওতাভুক্ত হবেন। এনডিডি স্বাস্থ্যবিমার মাধ্যমে বিমাগ্রহীতার যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের ওপিডি চিকিৎসার ব্যয় বহন করা হবে। নির্ধারিত সীমার মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির পূর্ব ও পরবর্তী ব্যয় সর্বোচ্চ বিমা অঙ্ক পরিমাণ বিমা দাবি পরিশোধ করা হবে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধীদের অনুকূলে বিমা পলিসি ইস্যু করার জন্য এনডিডি ট্রাস্ট গ্রাহকের (এনডিডি-এর আইন সম্মত অভিভাবক) কাছ থেকে লিখিত সম্মতি নিশ্চিত করার পর যাচাই বাছাই করে তালিকাভুক্ত করবে এবং একটি এমআইএস (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) প্রস্তুত করবে। সে মোতাবেক সাধারণ বিমা করপোরেশনকে তথ্য সরবরাহ করবে। বিমা গ্রহীতার কেওয়াইসি এনডিডি ট্রাস্ট থেকে সাধারণ বিমা করপোরেশনকে দিতে হবে। যা যাচাই-বাছাই করার পর চূড়ান্ত দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং বিমাকারী (সাধারণ বিমা করপোরেশন) এটিকে বিমা কভারের প্রতিশ্রুতি হিসেবে বিবেচনা করবে।

প্রত্যেক বিমা গ্রহীতাকে তালিকাভুক্তি বা রেজিস্ট্রি করার জন্য অনুমোদিত বা রেজিস্টার্ড প্রতিষ্ঠানকে এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট থেকে ২৫ টাকা করে দেওয়া হবে এবং প্রতিটি প্রিমিয়াম সংগ্রহ বা আদায়ের জন্য অনুমোদিত রেজিস্টার্ড প্রতিষ্ঠানকে প্রতিটি প্রিমিয়ামের আয় থেকে ৪০ টাকা করে সম্মানি দেওয়া হবে।

সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইডিআরএ, এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট, সাধারণ বিমা করপোরেশনসহ নন-লাইফের আরও একটি বা দু’টি কোম্পানির প্রতিনিধির সমন্বয়ে সাত সদস্যের একটি ‘বাস্তবায়ন ও তদারকি’ কমিটি থাকবে। এই কমিটি সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী প্রস্তাবিত এনডিডি স্বাস্থ্যবিমার বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কে মূল্যায়ন করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সুপারিশ বা পরামর্শ দেবে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাধারণ বিমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান জাগো নিউজকে বলেন, এনডিডি স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে আমরা সব ধরনের কার্যক্রম সম্পন্ন করে রেখেছি। আইডিআরএ থেকে অনুমোদন পেলেই আমরা বিমা পরিকল্পটি চালু করে দিতে পারবো। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এই বিমা পরিকল্পটি চালু করে দেব। করোনা না হলে এই বিমা পরিকল্প আরও আগেই চালু হয়ে যেত।

তিনি বলেন, আমরা চাই এই ক্লাসটা (নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী) যাতে অবহেলিত না থাকে। আমরা চাই তারা যেন তাদের কোনো অসুবিধায় তাদের অধিকার হিসেবে এই জিনিটা (বিমা দাবির টাকা) পায়। তার মানে তারা যেন করুণার পাত্র হয়ে না থাকে। তারা স্বাভাবিক মানুষ, তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে।