শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চান মোঃ সাখাওয়াত হোসেন মোল্লা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:১১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অক্টোবর ২০২১
  • ২০৫ Time View

মোঃ মাজেম আলী মলিন.গুরুদাসপুর (নাটোর) থেকে..

২০২১ সালের চতুর্থ ধাপে গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করতে চান মোঃ সাখাওয়াত হোসেন মোল্লা। তিনি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকান্ড এবং বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে সরব রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে।

উন্নয়নের প্রতিশ্রæতি দিয়ে গণসংযোগ করছেন তিনি। সাখাওয়াত মোল্লা বলেন, ‘আমাদের মোল্লা পরিবার ৬০ বছর ধরে নাজিরপুর ইউনিয়নের মানুষের সেবা করে আসছেন। জন্মসুত্রে আওয়ামী পরিবারের সন্তান তিনি।তার বাবা মরহুম আলহাজ¦ করিম বক্স মোল্লা ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ৭১ সালে স্বাধিনতা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতিসহ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। স্বাধিনতার পর পরবর্তীতে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত গুরুদাসপুর আ.লীগের সি.সহ সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর আমার সহদর মুরহুম সুলতান আহম্মেদ ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ঐতিহ্যবাহী ওই আওয়ামী পরিবার সফলতার সঙ্গে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন।

সাখাওয়াত মোল্লা জানান, তিনি ১৯৮৭ সাল থেকে ৯৬ পর্যন্ত ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসাবে শৈরাচার এরশাদ বিরোধী আনন্দোলন ১৯৮৬,৯১,৯৬,২০০১,২০০৮.২০১৩ এবং ২০১৮সহ সকল জাতীয় নির্বাচনে নাজিরপুর ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব অত্যান্ত দক্ষতার সাথে পালন করেন তিনি। ২০০২ সালে ১৫ আগষ্টে বিএনপি জামায়াতের হাতে নির্যাতনে শিকার হন। এছাড়া ২০০৪ সালে সিংড়ায় গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের সাংসদ নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসকে রক্ষা করতে গিয়ে মারাত্বক ভাবে আহত হয়েছিলাম। সেই সমস্যাগুলো নিয়ে এখনো সুখে-দুঃখে এলাকার মানুষের পাশে রয়েছি।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়-বর্তমানে তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান.ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সামাজসেবামুলক প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। আমি পরিবার ও এলাকার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ইউনিয়নের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান এমপি আব্দুল কুদ্দসের একজন একনিষ্ঠ কর্মী।

তার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন, সাধারণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘তারা স্বাধিনতার পর থেকে বিগত ৫০ বছর ধরে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। দল আমাকে নৌকা মার্কা দিলে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হব। নাজিরপুরকে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব।’

Tag :

আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চান মোঃ সাখাওয়াত হোসেন মোল্লা

Update Time : ১২:১১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অক্টোবর ২০২১

মোঃ মাজেম আলী মলিন.গুরুদাসপুর (নাটোর) থেকে..

২০২১ সালের চতুর্থ ধাপে গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করতে চান মোঃ সাখাওয়াত হোসেন মোল্লা। তিনি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকান্ড এবং বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে সরব রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে।

উন্নয়নের প্রতিশ্রæতি দিয়ে গণসংযোগ করছেন তিনি। সাখাওয়াত মোল্লা বলেন, ‘আমাদের মোল্লা পরিবার ৬০ বছর ধরে নাজিরপুর ইউনিয়নের মানুষের সেবা করে আসছেন। জন্মসুত্রে আওয়ামী পরিবারের সন্তান তিনি।তার বাবা মরহুম আলহাজ¦ করিম বক্স মোল্লা ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ৭১ সালে স্বাধিনতা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতিসহ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। স্বাধিনতার পর পরবর্তীতে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত গুরুদাসপুর আ.লীগের সি.সহ সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর আমার সহদর মুরহুম সুলতান আহম্মেদ ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ঐতিহ্যবাহী ওই আওয়ামী পরিবার সফলতার সঙ্গে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন।

সাখাওয়াত মোল্লা জানান, তিনি ১৯৮৭ সাল থেকে ৯৬ পর্যন্ত ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসাবে শৈরাচার এরশাদ বিরোধী আনন্দোলন ১৯৮৬,৯১,৯৬,২০০১,২০০৮.২০১৩ এবং ২০১৮সহ সকল জাতীয় নির্বাচনে নাজিরপুর ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব অত্যান্ত দক্ষতার সাথে পালন করেন তিনি। ২০০২ সালে ১৫ আগষ্টে বিএনপি জামায়াতের হাতে নির্যাতনে শিকার হন। এছাড়া ২০০৪ সালে সিংড়ায় গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের সাংসদ নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসকে রক্ষা করতে গিয়ে মারাত্বক ভাবে আহত হয়েছিলাম। সেই সমস্যাগুলো নিয়ে এখনো সুখে-দুঃখে এলাকার মানুষের পাশে রয়েছি।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়-বর্তমানে তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান.ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সামাজসেবামুলক প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। আমি পরিবার ও এলাকার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ইউনিয়নের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান এমপি আব্দুল কুদ্দসের একজন একনিষ্ঠ কর্মী।

তার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন, সাধারণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘তারা স্বাধিনতার পর থেকে বিগত ৫০ বছর ধরে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। দল আমাকে নৌকা মার্কা দিলে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হব। নাজিরপুরকে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব।’