শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১
  • ৩৯ Time View

বনলতা ডেস্ক.

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইয়ে আজ আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ৮৪ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

ম্যাচটিতে ২০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে পাপুয়া নিউগিনি ১৯.৩ ওভারে ৯৭ রান করতে সমর্থ হয়। ম্যাচ সেরা পুরস্কার জিতেছেন সাকিব আল হাসান।

এই জয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়ের নতুন রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা। আগে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জয়ের রেকর্ড ছিল ৭১। ২০১২ সালে বেলফাস্টে সেবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড গড়েছিল টাইগাররা। এবার মাসকাটে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে তারা গড়ল নতুন রেকর্ড।

তাছাড়া বড় ব্যবধানের জয় তুলে নিয়ে বাংলাদেশ রান রেটেও এগিয়ে গেল। এখন আজ রাত ৮টায় একই মাঠে খেলতে নামবে স্বাগতিক ওমান ও স্কটল্যান্ড। এ ম্যাচটিতে যদি স্কটল্যান্ড ওমানের বিপক্ষে জয় তুলে নিতে পারে তাহলে বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড যাবে সুপার টুয়েলভে। কিন্তু যদি ওমান জয় তুলে নেয় তখন তিন দলই সমান দুটি করে ম্যাচে জয় পাবে। তখন দেখা হবে রান রেটে এগিয়ে আছে কোন দুই দল।

ম্যাচটিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। মাত্র ৯ রান খরচ করে এ উইকেগুলো তুলে নেন তিনি। এটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার। এই চারটি উইকেট তুলে নেয়ার মাধ্যমে বিশ্বকাপের ইতিহাসে শহিদ আফ্রিদির সঙ্গে এখন যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছেন। বিশ্বকাপে এখন সাকিবের উইকেট সংখ্যা হলো ৩৯টি।

এর আগে আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে বড় সংগ্রহ পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে হাফসেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি তার হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ২৭ বল খেলে। মাহমুদউল্লাহর ঝড়ো গতির ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করতে সমর্থ হয় টাইগাররা। এর আগে সাকিব আল হাসান ৩৭ বল খেলে ৪৬ রান করেন। এ দুজনের ব্যাট থেকেই আসে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই বিপদে পরে বাংলাদেশ। ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের নায়ক নাঈম শেখ প্রথম ওভারেই দুই বল খেলে কোন রান না করে আউট হন। এরপরই ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে ভালো করতে না পারা লিটন দাসকে নিয়ে শুরুর চাপ সামলে পাওয়ার প্লেতে দুইজন মিলে দলকে এনে দেন ৪৫ রান। তবে দলীয় ৫০ রানে ব্যক্তিগত ২৯ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান লিটন দাস। তিনি ২৩ বল খেলে ২৯ রান করেন। এরপর দলের হাল ধরতে নামেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ হন। ৮ বল খেলে মাত্র ৫ রান করে সিমোন আটাইয়ের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি।

মুশফিক আউট হওয়ার পরই ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আউট হওয়ার আগে তিনি ২৮ বল খেলে ৫০ রানই করতে সমর্থ হন। তিনি আউট হন ড্যামিয়েন রাভুর বলে। যদিও তাকে ক্যাচ আউট দেয়ার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। কারণ মাহমুদউল্লাহ দাবী করছিলেন তিনি যে বলটি মেরেছেন তা তার কোমড়ের উপরে ছিল। ফলে থার্ড আম্পায়ার এটি চেক করেন। থার্ড আম্পায়ার একবার নট আউট দিলেও পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আউট দেন। এরপর ব্যাট করতে নামা নুরুল হাসান সোহান প্রথম বলেই সেই রাভুর বলে ক্যাচ আউট হয়ে যান। অপর প্রান্তে থাকা আফিফ হোসেনও খেলতে থাকেন মেরে। তবে তিনি ১৪ বল খেলে ২১ রান করে ক্যাচ আউট হন কাবুয়া মোরিয়ার বলে।

Tag :

সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ

Update Time : ০৭:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১

বনলতা ডেস্ক.

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইয়ে আজ আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ৮৪ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

ম্যাচটিতে ২০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে পাপুয়া নিউগিনি ১৯.৩ ওভারে ৯৭ রান করতে সমর্থ হয়। ম্যাচ সেরা পুরস্কার জিতেছেন সাকিব আল হাসান।

এই জয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়ের নতুন রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা। আগে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জয়ের রেকর্ড ছিল ৭১। ২০১২ সালে বেলফাস্টে সেবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড গড়েছিল টাইগাররা। এবার মাসকাটে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে তারা গড়ল নতুন রেকর্ড।

তাছাড়া বড় ব্যবধানের জয় তুলে নিয়ে বাংলাদেশ রান রেটেও এগিয়ে গেল। এখন আজ রাত ৮টায় একই মাঠে খেলতে নামবে স্বাগতিক ওমান ও স্কটল্যান্ড। এ ম্যাচটিতে যদি স্কটল্যান্ড ওমানের বিপক্ষে জয় তুলে নিতে পারে তাহলে বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড যাবে সুপার টুয়েলভে। কিন্তু যদি ওমান জয় তুলে নেয় তখন তিন দলই সমান দুটি করে ম্যাচে জয় পাবে। তখন দেখা হবে রান রেটে এগিয়ে আছে কোন দুই দল।

ম্যাচটিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। মাত্র ৯ রান খরচ করে এ উইকেগুলো তুলে নেন তিনি। এটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার। এই চারটি উইকেট তুলে নেয়ার মাধ্যমে বিশ্বকাপের ইতিহাসে শহিদ আফ্রিদির সঙ্গে এখন যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছেন। বিশ্বকাপে এখন সাকিবের উইকেট সংখ্যা হলো ৩৯টি।

এর আগে আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে বড় সংগ্রহ পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে হাফসেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি তার হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ২৭ বল খেলে। মাহমুদউল্লাহর ঝড়ো গতির ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করতে সমর্থ হয় টাইগাররা। এর আগে সাকিব আল হাসান ৩৭ বল খেলে ৪৬ রান করেন। এ দুজনের ব্যাট থেকেই আসে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই বিপদে পরে বাংলাদেশ। ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের নায়ক নাঈম শেখ প্রথম ওভারেই দুই বল খেলে কোন রান না করে আউট হন। এরপরই ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে ভালো করতে না পারা লিটন দাসকে নিয়ে শুরুর চাপ সামলে পাওয়ার প্লেতে দুইজন মিলে দলকে এনে দেন ৪৫ রান। তবে দলীয় ৫০ রানে ব্যক্তিগত ২৯ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান লিটন দাস। তিনি ২৩ বল খেলে ২৯ রান করেন। এরপর দলের হাল ধরতে নামেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ হন। ৮ বল খেলে মাত্র ৫ রান করে সিমোন আটাইয়ের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি।

মুশফিক আউট হওয়ার পরই ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আউট হওয়ার আগে তিনি ২৮ বল খেলে ৫০ রানই করতে সমর্থ হন। তিনি আউট হন ড্যামিয়েন রাভুর বলে। যদিও তাকে ক্যাচ আউট দেয়ার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। কারণ মাহমুদউল্লাহ দাবী করছিলেন তিনি যে বলটি মেরেছেন তা তার কোমড়ের উপরে ছিল। ফলে থার্ড আম্পায়ার এটি চেক করেন। থার্ড আম্পায়ার একবার নট আউট দিলেও পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আউট দেন। এরপর ব্যাট করতে নামা নুরুল হাসান সোহান প্রথম বলেই সেই রাভুর বলে ক্যাচ আউট হয়ে যান। অপর প্রান্তে থাকা আফিফ হোসেনও খেলতে থাকেন মেরে। তবে তিনি ১৪ বল খেলে ২১ রান করে ক্যাচ আউট হন কাবুয়া মোরিয়ার বলে।