মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে মাথার খুলিবিহীন শিশুর জন্ম!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:২৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
  • ৬৯ Time View

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.

নাটোরের গুরুদাসপুরে মাথার খুলিবিহীন এক নবজাতকের জন্ম হয়েছে। ৫ নভেম্বর শুক্রবার রাতে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর বাজারে অবস্থিত আনোয়ার ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টি সেন্টার নামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ওই শিশুর জন্ম হয়।

খুলিবিহীন জন্মগ্রহণ করা শিশুর বাড়ি নাজিরপুর ইউনিয়নের বৃ-কাশো গ্রামে। হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, বৃ-কাশো গ্রামের কৃষক এমদাদুল হকের স্ত্রী নাসরিন বেগম তার দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের জন্য ওই ক্লিনিকে আসেন।

শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.মো.আমিনুল ইসলাম সোহেল সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ওই শিশুর জন্ম হয়। শিশুটি জন্মগ্রহণের পরেই দেখাযায়, মাথার খুলি ও মস্তিষ্ক নেই। তবে শিশুটির মা ও শিশু সুস্থ্যভাবে এখনও বেঁচে আছেন। শিশুটির কৃষক বাবা এমদাদুল হক জানান, তিনি পেশায় কৃষক। তার স্ত্রীর এর আগে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি করিয়েছিলেন।

অভাব অনটনের সংসার। দিনমজুরী করে নিজের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। সদ্য জন্মগ্রহণ করা দ্বিতীয় পুত্র সন্তানের নাম এখনও রাখা হয়নি। তার মাথার খুলি ও মস্তিষ্ক নেই। উন্নত চিকিৎসা করলে হয়তো তার শিশু বাচ্চা এই পৃথীবিতে বেঁচে থাকবে। কিন্তু উন্নত চিকিৎসা করার মত তার সামথ্য নেই। তাই সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে ডা.মো.আমিনুল ইসলাম সোহেল জানান, মাথার খুলি ও মস্তিষ্কবিহীন যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করেছে সেটি একটি রোগ।

তার অপারেশন জীবনে তিনি এমন অনেক শিশু দেখেছেন। এটি মুলত জীন ও হরমোনের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। তবে এই শিশুগুলো বেঁচে থাকে না। তারপরও অনেক চেষ্টা করা হয় শিশুকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। বাকিটুকু মহান আল্লাহ পাকের ইচ্ছা। তবে উন্নত চিকিৎসা করালে বাঁচানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

Tag :

গুরুদাসপুরে মাথার খুলিবিহীন শিশুর জন্ম!

Update Time : ০৬:২৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.

নাটোরের গুরুদাসপুরে মাথার খুলিবিহীন এক নবজাতকের জন্ম হয়েছে। ৫ নভেম্বর শুক্রবার রাতে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর বাজারে অবস্থিত আনোয়ার ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টি সেন্টার নামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ওই শিশুর জন্ম হয়।

খুলিবিহীন জন্মগ্রহণ করা শিশুর বাড়ি নাজিরপুর ইউনিয়নের বৃ-কাশো গ্রামে। হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, বৃ-কাশো গ্রামের কৃষক এমদাদুল হকের স্ত্রী নাসরিন বেগম তার দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের জন্য ওই ক্লিনিকে আসেন।

শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.মো.আমিনুল ইসলাম সোহেল সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ওই শিশুর জন্ম হয়। শিশুটি জন্মগ্রহণের পরেই দেখাযায়, মাথার খুলি ও মস্তিষ্ক নেই। তবে শিশুটির মা ও শিশু সুস্থ্যভাবে এখনও বেঁচে আছেন। শিশুটির কৃষক বাবা এমদাদুল হক জানান, তিনি পেশায় কৃষক। তার স্ত্রীর এর আগে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি করিয়েছিলেন।

অভাব অনটনের সংসার। দিনমজুরী করে নিজের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। সদ্য জন্মগ্রহণ করা দ্বিতীয় পুত্র সন্তানের নাম এখনও রাখা হয়নি। তার মাথার খুলি ও মস্তিষ্ক নেই। উন্নত চিকিৎসা করলে হয়তো তার শিশু বাচ্চা এই পৃথীবিতে বেঁচে থাকবে। কিন্তু উন্নত চিকিৎসা করার মত তার সামথ্য নেই। তাই সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে ডা.মো.আমিনুল ইসলাম সোহেল জানান, মাথার খুলি ও মস্তিষ্কবিহীন যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করেছে সেটি একটি রোগ।

তার অপারেশন জীবনে তিনি এমন অনেক শিশু দেখেছেন। এটি মুলত জীন ও হরমোনের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। তবে এই শিশুগুলো বেঁচে থাকে না। তারপরও অনেক চেষ্টা করা হয় শিশুকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। বাকিটুকু মহান আল্লাহ পাকের ইচ্ছা। তবে উন্নত চিকিৎসা করালে বাঁচানোর সম্ভাবনা রয়েছে।