রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি.
রৌমারী ও চিলমারী হয়ে কুড়িগ্রাম জেলা সদরে ব্যবসা,চাকরি কিংবা বিভিন্ন কাজের জন্য যাতায়াতের একমাত্র মাধ্য হচ্ছে নৌকা। আর এই নৌকা দিয়ে কুড়িগ্রাম যেতে সময় লাগে প্রায় ৪ ঘণ্টা। এই দুর্ভোগ লাঘোবে এই অঞ্চলের মানুষ র্দীঘদিন থেকে দাবি করে আসছেন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হোক। রবিবার( ৭ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ব্রিজ নির্মানের যায়গা নির্ধারণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী‘র নির্দেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি ও পিএনডি পরিচালক প্লানিং এন্ড ডেভলোপমেন্ট বাংলাদেশ ব্রীজ অথরিটি কর্মকর্তাগণ পরিদর্শনে আসেন।
রৌমারী থেকে সাহেবের আলগা ২০০ বিঘা জমির মাথা নামক হইতে উলিপুরের বোনগ্রাম পর্যন্ত একটি ব্রিজ হলে রংপুর অঞ্চল থেকে কুড়িগ্রাম, চিলমারী, ভুরুঙ্গামারী,ফুলবাড়ি অঞ্চলের মানুষ ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম, সিলেটে যাতায়াতে ব্যবসায়ীকসহ নানা প্রায়োজনে সুযোগ সুবিধা বিদ্ধৃ পাবে। সেই সাথে বাংলাদেশ ভারতের আসাম, মেঘালয় রাজে¦র সাথে একটি ব্যবসায়ীক সু-সম্পক গঠিত হবে। এই ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম হবে একটি দৃষ্টি নান্দনিক স্থান। অপর দিকে সরকার করবে রাজস্ব আয়।
পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন, ড. মনিরুজ্জামান (পিএনডি) পরিচালক প্লানিং এন্ড ডেভলোপমেন্ট বাংলাদেশ ব্রিজ অথরিটি, লিয়াকত হোসেন প্রজেক্ট ডিরেক্টর বিবিএ মাষ্টার প্লান্ট, আবুল হাসান ডেপুটি সেক্রেটারী বাংলাদেশ ব্রিজ অথরিটি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্ল্যাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমেদ, রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোন্তাছের বিল্লাহসহ আরো অনেকে। এ বিষয়ে অনেকে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি একটি ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে আমাদের উত্তরাণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী উন্নতি সাধিত হবে। এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে ড. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা ব্রহ্মপুত্র নদের ব্রিজ নির্মানের জন্য পুরো এলাকাটি ঘুরে দেখলাম। কোন স্থানে ব্রিজ নির্মাণ করলে ভালো হবে তার প্রতিবেদন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাছে পাঠানো হবে।
ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ব্রিজ নির্মাণের (স্থান নির্ধারন) মাষ্টার প্লান পরিদর্শনে জাকির হোসেন-এমপি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশে উন্নয়ন হয়। রৌমারী থেকে কুড়িগ্রামসহ রংপুর বিভাগে যেতে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। ব্রিজ নির্মাণ হলে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক ব্যবস্থায় সল্প সময়ে নিরাপদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ব্রিজ দিয়ে পৌঁছানো যাবে। ব্রিজ নির্মাণে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার এ উন্নয়নে রৌমারী,রাজিবপুর,চিলমারী,কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে।