শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈশ্বরদীসহ উত্তরাঞ্চলে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিসহ শীতের আভাস

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
  • ৪১ Time View

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধিঃ

শীতের শুরুতে ১৩ নভেম্বর শনিবার থেকে ঈশ্বরদীসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে ঈশ্বরদী উপজেলায় শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের কষ্টও বেড়েছে।

সকাল থেকে ঈশ্বরদীতে সূর্যের দেখা মেলেনি। বেলা ১১টার পর থেকে শুরু হয় হালকা গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। এতে জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বেশি বিপাকে পড়েন দিনমজুরেরা।

গতকাল দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরজমিন ঘুরে সাধারণ মানুষের তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল। দুপুর গড়িয়ে গেলেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসের কারণে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুেষর বেশির ভাগই ঘরে ছিলেন। বৃষ্টির পাশাপাশি উত্তরের ঠান্ডা বাতাসে বিকেলের মধ্যেই শীতের প্রকোপ বেড়ে যায়। আর সন্ধ্যার আগেই ঠান্ডায় কাতর দরিদ্র মানুষেরা বাড়িঘরে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, উপজেলায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শীতার্ত মানুষের কষ্ট নিবারণে ইতিমধ্যে কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

উপজেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টি থেমে গেলে শীত জেঁকে বসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Tag :

ঈশ্বরদীসহ উত্তরাঞ্চলে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিসহ শীতের আভাস

Update Time : ০৬:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধিঃ

শীতের শুরুতে ১৩ নভেম্বর শনিবার থেকে ঈশ্বরদীসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে ঈশ্বরদী উপজেলায় শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের কষ্টও বেড়েছে।

সকাল থেকে ঈশ্বরদীতে সূর্যের দেখা মেলেনি। বেলা ১১টার পর থেকে শুরু হয় হালকা গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। এতে জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বেশি বিপাকে পড়েন দিনমজুরেরা।

গতকাল দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরজমিন ঘুরে সাধারণ মানুষের তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল। দুপুর গড়িয়ে গেলেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসের কারণে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুেষর বেশির ভাগই ঘরে ছিলেন। বৃষ্টির পাশাপাশি উত্তরের ঠান্ডা বাতাসে বিকেলের মধ্যেই শীতের প্রকোপ বেড়ে যায়। আর সন্ধ্যার আগেই ঠান্ডায় কাতর দরিদ্র মানুষেরা বাড়িঘরে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, উপজেলায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শীতার্ত মানুষের কষ্ট নিবারণে ইতিমধ্যে কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

উপজেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টি থেমে গেলে শীত জেঁকে বসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।