শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি সোহেল সম্পাদক নাজমুল

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
  • ৩২ Time View

গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় ‘গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি‘ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। ১৯ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধায় গুরুদাসপুর থানা চত্বরের অস্থায়ী কার্যালয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ও পরিবেশপ্রেমী এ্যাডভোকেট এস.এম শহিদুল ইসলাম(সোহেল) কে সভাপতি ও গণমাধ্যমকর্মী এবং পরিবেশকর্মী নাজমুল হাসান কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তাছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ মো.মিজানুর রহমান। ২১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে রয়েছেন রোজী মোজাম্মেল মহিলা অনার্স কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান প্রভাষক মো.মাজেম আলী মলিন, সহ-সভাপতি প্রভাষক মো.জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সভাপতি গণমাধ্যমকর্মী মো.জালাল উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমকর্মী মেহেদী হাসান তানিম, কোষাধক্ষ্য ক্রীড়াবিদ মো.সোহেল রানা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সিনিয়র স্কাউট সদস্য মো.রাসেল আহমেদ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক স্কাউট সদস্য সাদেক আলী, নির্বাহী সদস্য সঙ্গিত শিল্পী মঈনুল হোসেন। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সুশিল সমাজের ব্যক্তিবর্গসহ রয়েছেন স্কাউট সদস্য মনির হোসেন, আশিকুর রহমান, জিসান আল শাহরিয়ার, মকুল হোসেন,ফিরোজ আলী।

গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি এ্যাড.এস.এম শহিদুল ইসলাম (সোহেল) জানান, প্রাথমিক ভাবে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুর উপজেলায় পাখি শিকার বন্ধে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অনেক আগে থেকেই উপজেলার বিভিন্ন মাঠে পরিবেশকর্মীদের অভিযান চলমান রয়েছে। চলনবিলসহ আশপাশের বিলে যখন পানি কমতে শুরু করে ঠিক তখনি অতিথি পাখিদের আগমণ ঘটে। আর কিছু অসাধু ব্যক্তি লোহার ফাঁদ, বিভিন্ন কৌশলে তৈরি ঘর ও জাল দিয়ে পাখি শিকার কার্যক্রম করতে থাকে। গত অক্টোবর মাসের শুরু থেকে প্রায় দেড় হাজার পাখি শিকারীদের ফাঁদ থেকে উদ্ধার করে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়াও দুই জন শিকারীকে প্রশাসনের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান জানান, তারা প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন মাঠে অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। গত দেড় মাসে প্রায় ১৮০টি পাখি শিকার করা ফাঁদ কিল্লা ঘর ধ্বংস করা হয়েছে এবং দেড় হাজার পাখি উদ্ধার করে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Tag :

গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি সোহেল সম্পাদক নাজমুল

Update Time : ০৩:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় ‘গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি‘ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। ১৯ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধায় গুরুদাসপুর থানা চত্বরের অস্থায়ী কার্যালয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ও পরিবেশপ্রেমী এ্যাডভোকেট এস.এম শহিদুল ইসলাম(সোহেল) কে সভাপতি ও গণমাধ্যমকর্মী এবং পরিবেশকর্মী নাজমুল হাসান কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তাছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ মো.মিজানুর রহমান। ২১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে রয়েছেন রোজী মোজাম্মেল মহিলা অনার্স কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান প্রভাষক মো.মাজেম আলী মলিন, সহ-সভাপতি প্রভাষক মো.জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সভাপতি গণমাধ্যমকর্মী মো.জালাল উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমকর্মী মেহেদী হাসান তানিম, কোষাধক্ষ্য ক্রীড়াবিদ মো.সোহেল রানা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সিনিয়র স্কাউট সদস্য মো.রাসেল আহমেদ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক স্কাউট সদস্য সাদেক আলী, নির্বাহী সদস্য সঙ্গিত শিল্পী মঈনুল হোসেন। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সুশিল সমাজের ব্যক্তিবর্গসহ রয়েছেন স্কাউট সদস্য মনির হোসেন, আশিকুর রহমান, জিসান আল শাহরিয়ার, মকুল হোসেন,ফিরোজ আলী।

গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি এ্যাড.এস.এম শহিদুল ইসলাম (সোহেল) জানান, প্রাথমিক ভাবে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুর উপজেলায় পাখি শিকার বন্ধে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অনেক আগে থেকেই উপজেলার বিভিন্ন মাঠে পরিবেশকর্মীদের অভিযান চলমান রয়েছে। চলনবিলসহ আশপাশের বিলে যখন পানি কমতে শুরু করে ঠিক তখনি অতিথি পাখিদের আগমণ ঘটে। আর কিছু অসাধু ব্যক্তি লোহার ফাঁদ, বিভিন্ন কৌশলে তৈরি ঘর ও জাল দিয়ে পাখি শিকার কার্যক্রম করতে থাকে। গত অক্টোবর মাসের শুরু থেকে প্রায় দেড় হাজার পাখি শিকারীদের ফাঁদ থেকে উদ্ধার করে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়াও দুই জন শিকারীকে প্রশাসনের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান জানান, তারা প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন মাঠে অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। গত দেড় মাসে প্রায় ১৮০টি পাখি শিকার করা ফাঁদ কিল্লা ঘর ধ্বংস করা হয়েছে এবং দেড় হাজার পাখি উদ্ধার করে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।