শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্ত আকাশে উড়লো আবারো ১২০টি বক পাখি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
  • ৩০ Time View

গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি.
চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুরে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত হলো শিকারীর ফাঁদ থেকে উদ্ধার হওয়া ১২০টি বক পাখি। শনিবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত উপজেলার প্রায় ৮টি মাঠে পরিবেশকর্মীরা ওই অভিযান পরিচলনা করেন। গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের খুবজীপুর উত্তরপাড়া মাঠ, ত্রিমোহনী, কালিবাড়ি, ব্রামনবাড়িয়া, চরপিপলা, যোগেন্দ্রনগর, শ্রীপুর ও কালাকান্দর মাঠে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১২টি পাখি শিকার করা ফাঁদ (কিল্লা ঘর) ধ্বংস করা হয়। এসময় শিকারীদের ফাঁদ থেকে ১২টি শিকারী বক ও খাঁচাবন্দি ১০৮টি বুনো বক উদ্ধার করা হয়। কাঁদা পানি পেরিয়ে শিকারীদের কাছে পৌছানোর আগেই শিকারীরা পালিয়ে যায়। এ কারণে শিকারীদের ধরা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার হওয়া পাখিগুলো স্থানীয় এলাকাবাসীদের নিয়ে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করেন পরিবেশকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র রক্ষা কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তানিম, সদস্য মনির হোসেন ও সাদেক আলী।
গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান জানান, চলনবিল অধ্যুষিত আমাদের গুরুদাসপুর উপজেলা। এই মৌসুমে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার অতিথি পাখি চলনবিলসহ আশপাশের উপজেলায় আসে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রতিদিন পরিবেশকর্মীদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। পাখি শিকার বন্ধে প্রতিটি এলাকায় বিভিন্ন ভাবে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Tag :

মুক্ত আকাশে উড়লো আবারো ১২০টি বক পাখি

Update Time : ০৩:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি.
চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুরে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত হলো শিকারীর ফাঁদ থেকে উদ্ধার হওয়া ১২০টি বক পাখি। শনিবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত উপজেলার প্রায় ৮টি মাঠে পরিবেশকর্মীরা ওই অভিযান পরিচলনা করেন। গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের খুবজীপুর উত্তরপাড়া মাঠ, ত্রিমোহনী, কালিবাড়ি, ব্রামনবাড়িয়া, চরপিপলা, যোগেন্দ্রনগর, শ্রীপুর ও কালাকান্দর মাঠে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১২টি পাখি শিকার করা ফাঁদ (কিল্লা ঘর) ধ্বংস করা হয়। এসময় শিকারীদের ফাঁদ থেকে ১২টি শিকারী বক ও খাঁচাবন্দি ১০৮টি বুনো বক উদ্ধার করা হয়। কাঁদা পানি পেরিয়ে শিকারীদের কাছে পৌছানোর আগেই শিকারীরা পালিয়ে যায়। এ কারণে শিকারীদের ধরা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার হওয়া পাখিগুলো স্থানীয় এলাকাবাসীদের নিয়ে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করেন পরিবেশকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র রক্ষা কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তানিম, সদস্য মনির হোসেন ও সাদেক আলী।
গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান জানান, চলনবিল অধ্যুষিত আমাদের গুরুদাসপুর উপজেলা। এই মৌসুমে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার অতিথি পাখি চলনবিলসহ আশপাশের উপজেলায় আসে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রতিদিন পরিবেশকর্মীদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। পাখি শিকার বন্ধে প্রতিটি এলাকায় বিভিন্ন ভাবে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।