মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অসহায় নারীর পাশে সমাজ সেবক সাগর

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:২৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
  • ৪৬ Time View

গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি.
রোজিনা বেগম (৪৫)। স্বামী থেকেও নেই। বাড়ি উপজেলা পৌর সদরে। সংসারে ছিলো একটি ছেলে ও মেয়ে। ছেলে বিয়ে করে বাড়ি থেকে চলে গেছে মায়ের খোজ রাখেনা। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন অনেকদুর।

নিজের সংসার জীবন চালানোর জন্য বেছে নিয়েছেন পিঠা বিক্রির ব্যবসা। ভ্রাম্যমান একটি দোকান থাকলেও সেখানে ছিলোনা কোন আসবাবপত্র। সেই অসহায় নারীর পাশে দাড়িয়েছেন মানবিক মানুষ আমিরুল ইসলাম সাগর। করেছেন রোজিনা বেগমের ইচ্ছে পূরণ।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, রোজিনা বেগম গুরুদাসপুর থানা চত্বরের পাশে পলিথিন টাঙিয়ে একটি ভ্রাম্যমান পিঠার দোকান দিয়েছেন। সেখানে পিঠা বিক্রি হয়। আর সেই টাকাতেই চলে তার সংসার। তবে দোকান থাকলেও সেখানে ক্রেতা বা তার কোন বসার বেঞ্চ-টুল ছিলো না। ছিলোনা ক্রেতাদের পিঠা তুলে দেওয়ার মত কোন প্লেট-চামচ কিংবা গ্লাস। অসহায় হত দরিদ্র এই নারী এভাবেই সংগ্রাম করে তার জীবন পার করছিলেন। হঠাত করেই তার দোকানে পিঠা খেতে আসেন চাঁচকৈড় হাজেরা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.আমিরুল ইসলাম সাগর। পিঠা খেতে এসে তিনি ওই নারীর জীবনের গল্প শোনেন। এক পর্যায়ে ওই নারীকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় আপনার কিছু লাগবে কিনা। সেই নারী বলে বাবা একটা বসার ব্রেঞ্চ দিলেই হবে। এ কথা শোনার পরেই আমিরুল ইসলাম সাগর স্থানীয় বাজারে গিয়ে সুকজান বেওয়ার জন্য দুইটা ব্রেঞ্চ, ত্রিপল, প্লেট, গ্লাস, বসার টুল, কয়েক প্রকার ঝাকা থেকে শুরু করে পিঠা বিক্রি করার যাবতীয় সামগ্রী ক্রয় করে তার দোকান সাজিয়ে দিয়েছেন।

রোজিনা বেগম জানান, তিনি অনেক কষ্ট করে তার জীবন-জীবিকা পরিচালনা করছেন। জীবনে অনেক চড়াই উত্তাই পাড়ি দিয়েছেন তিনি। তার এই সময়ে আমিরুল ইসলাম সাগর পাশে দাড়ানোর জন্য আবেক আপ্লুত হয়ে পরেন। তিনি ভাবতেই পারেননি তাকে কেউ এভাবে সহযোগিতা করবে। তিনি আমিরুল ইসলাম সাগরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আমিরুল ইসলাম সাগর জানান, তিনি প্রতি মাসে একটি করে ইচ্ছে পূরণ করেন। এবার চতুর্থ ইচ্ছে পূরণ ইভেন্ট চলছে। সমাজের অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের খুজে খুজে তাদের ছোট ছোট ইচ্ছে পূরণ করেন তিনি। তেমনি রোজিনা বেগমকেও তিনি তার ছোট ইচ্ছা ছিলো তার কর্মসংস্থান করে দেওয়ার। এ জন্য তার সাধ্যমত চেষ্টা করে রোজিনা বেগমের পাশে দাড়িয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এভাবেই সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন এবং ইচ্ছে পূরণের ইভেন্ট আরো বেশি বেশি করার যেন তৌফিক দান করেন মহান আল্লাহ পাক। আসুন সমাজের সকল বৃত্তবানরা হত দরিদ্র অসহায়দের পাশে দাড়াই। এছাড়াও প্রায় শতাধিক অসহায় মানুষকে কর্মসংস্থান করে দেওয়া হয়েছে।

Tag :

অসহায় নারীর পাশে সমাজ সেবক সাগর

Update Time : ০৯:২৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি.
রোজিনা বেগম (৪৫)। স্বামী থেকেও নেই। বাড়ি উপজেলা পৌর সদরে। সংসারে ছিলো একটি ছেলে ও মেয়ে। ছেলে বিয়ে করে বাড়ি থেকে চলে গেছে মায়ের খোজ রাখেনা। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন অনেকদুর।

নিজের সংসার জীবন চালানোর জন্য বেছে নিয়েছেন পিঠা বিক্রির ব্যবসা। ভ্রাম্যমান একটি দোকান থাকলেও সেখানে ছিলোনা কোন আসবাবপত্র। সেই অসহায় নারীর পাশে দাড়িয়েছেন মানবিক মানুষ আমিরুল ইসলাম সাগর। করেছেন রোজিনা বেগমের ইচ্ছে পূরণ।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, রোজিনা বেগম গুরুদাসপুর থানা চত্বরের পাশে পলিথিন টাঙিয়ে একটি ভ্রাম্যমান পিঠার দোকান দিয়েছেন। সেখানে পিঠা বিক্রি হয়। আর সেই টাকাতেই চলে তার সংসার। তবে দোকান থাকলেও সেখানে ক্রেতা বা তার কোন বসার বেঞ্চ-টুল ছিলো না। ছিলোনা ক্রেতাদের পিঠা তুলে দেওয়ার মত কোন প্লেট-চামচ কিংবা গ্লাস। অসহায় হত দরিদ্র এই নারী এভাবেই সংগ্রাম করে তার জীবন পার করছিলেন। হঠাত করেই তার দোকানে পিঠা খেতে আসেন চাঁচকৈড় হাজেরা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.আমিরুল ইসলাম সাগর। পিঠা খেতে এসে তিনি ওই নারীর জীবনের গল্প শোনেন। এক পর্যায়ে ওই নারীকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় আপনার কিছু লাগবে কিনা। সেই নারী বলে বাবা একটা বসার ব্রেঞ্চ দিলেই হবে। এ কথা শোনার পরেই আমিরুল ইসলাম সাগর স্থানীয় বাজারে গিয়ে সুকজান বেওয়ার জন্য দুইটা ব্রেঞ্চ, ত্রিপল, প্লেট, গ্লাস, বসার টুল, কয়েক প্রকার ঝাকা থেকে শুরু করে পিঠা বিক্রি করার যাবতীয় সামগ্রী ক্রয় করে তার দোকান সাজিয়ে দিয়েছেন।

রোজিনা বেগম জানান, তিনি অনেক কষ্ট করে তার জীবন-জীবিকা পরিচালনা করছেন। জীবনে অনেক চড়াই উত্তাই পাড়ি দিয়েছেন তিনি। তার এই সময়ে আমিরুল ইসলাম সাগর পাশে দাড়ানোর জন্য আবেক আপ্লুত হয়ে পরেন। তিনি ভাবতেই পারেননি তাকে কেউ এভাবে সহযোগিতা করবে। তিনি আমিরুল ইসলাম সাগরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আমিরুল ইসলাম সাগর জানান, তিনি প্রতি মাসে একটি করে ইচ্ছে পূরণ করেন। এবার চতুর্থ ইচ্ছে পূরণ ইভেন্ট চলছে। সমাজের অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের খুজে খুজে তাদের ছোট ছোট ইচ্ছে পূরণ করেন তিনি। তেমনি রোজিনা বেগমকেও তিনি তার ছোট ইচ্ছা ছিলো তার কর্মসংস্থান করে দেওয়ার। এ জন্য তার সাধ্যমত চেষ্টা করে রোজিনা বেগমের পাশে দাড়িয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এভাবেই সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন এবং ইচ্ছে পূরণের ইভেন্ট আরো বেশি বেশি করার যেন তৌফিক দান করেন মহান আল্লাহ পাক। আসুন সমাজের সকল বৃত্তবানরা হত দরিদ্র অসহায়দের পাশে দাড়াই। এছাড়াও প্রায় শতাধিক অসহায় মানুষকে কর্মসংস্থান করে দেওয়া হয়েছে।