সাদুল্লাপুর(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বোয়ালীদহ গ্রামের মৃত. তছির উদ্দিনের মেয়ে তসলিমা বেগম (২২)। মানষিক ও শারিরীক নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে স্বামী মাদক মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আলিম উদ্দিনকে গত ৫ বছর আগে ডির্ভোস দিয়ে এখন তার গোটা পরিবার চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। গতকাল মঙ্গলবার সাদুল্লাপুর প্রেসক্লাব মিলানায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তসলিমা বেগম এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, বিগত ২০১০ সালে পলাশবাড়ী উপজেলার সাতারপাড়া নজলার রহমানের ছেলে যাত্রীবাহী বাসের সুপার ভাইজার আলিম উদ্দিনের সাথে তসলিমার বিয়ে হয়। কিন্তু আলিম উদ্দিনের মূল পেশা মাদক ব্যবসা ও তিনি একাধিক মাদক, নারী নির্যাতন ও হত্যা মামলার আসামী এই বিষয়টি বিয়ের পর জানতে পারেন তসলিমা। তখন তিনি মাদক ব্যবসা থেকে সরে আসার জন্য আলিম উদ্দিনকে চাপ দেন। এতে তার উপর মানষিক ও শারিরীক নির্যাতন শুরু করে আলিম উদ্দিন। এক পর্যায়ে গত ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল ২৭ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আলিম উদ্দিনসহ তার ৩ সহযোগী পুলিশের হাতে আটক হয়। তসলিমা একই বছরের ১৯ নভেম্বর আলিম উদ্দিনকে ডির্ভোস দেয়।
তিনি আরও জানান, ওই মাদক মামলায় আলিম উদ্দিনসহ তার ৩ সহযোগির ১০ বছর করে সাজা হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আলিম উদ্দিন ওই মামলায় আনুমানিক ৫ বছর সাজা খেটে উচ্চ আদালতে অপিল করে গত ২৪ নভেম্বর জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে আসে। এরপর থেকে তার ৪ বোন ও মা সহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের মোবাইলে তাকে এবং তার আত্মীয় স্বজনদের প্রাণনাশসহ নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকি দিচ্ছে। এনিয়ে সাদুল্লাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আলিম উদ্দিন জানান, তিনি কখনও তাদেরকে কোন প্রকার হুমকি প্রদান করেননি।