শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মার খাওয়াকে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন “হাসান রেজা”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৩৮ Time View

বনলতা ডেস্ক.

তুরস্কের ইস্তাম্বুলের বাসিন্দা হাসান রেজা গনি মানুষের কাছে মার খাওয়াকে তিনি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। মার খাওয়ার বিনিময়ে কাছ থেকে তিনি অর্থ নিয়ে থাকেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে ইচ্ছে মতো তাকে মারার সুযোগ করে দেন হাসান। আর এজন্য তার রীতিমতো লাইসেন্সও আছে।

জানা যায়, হাসান রেজা গনি তুরস্কের ইস্তাম্বুলের বাসিন্দা। ঐ ব্যক্তি ২০১২ সাল থেকে ‘স্ট্রেস কোচ’ হিসেবে কাজ করছেন। হাসানের অবশ্য পিটুনি খাওয়ার পেশা বেছে নেয়ার পেছনে রয়েছে তুর্কি চলচ্চিত্র সার্ক বুলবুবুর অবদান। ঐ সিনেমায় কমেডি অভিনেতা কামাল সুনাল স্বেচ্ছায় মানুষের পিটুনি খাওয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

ঐ সিনেমাকেই অনুকরণ করেন হাসান, যে কেউ তাদের মানসিক চাপ ব্যায়াম করে কমাতে পারেন। অন্যদিকে কেউ চিৎকার করে কিংবা কাউকে মারধর করে মানসিক চাপ কমাতে চান। তাই যারা মারধরের মাধ্যমে চাপ কমাতে চান, তাদের মার খাওয়াকেই পেশা হিসেবে বেছে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন হাসান।

তিনি বলেন, আমার বেশির ভাগ ক্লায়েন্টই দৈনন্দিন কাজের চাপে বিষণ্নতায় ভোগেন। প্রতিদিন দুই থেকে চার জন ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। প্রতিটি সেশন চলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত। তার বেশির ভাগ ক্লায়েন্টই নারী বলেও জানিয়েছেন হাসান। ইউটিউব চ্যানেলে নিজের মার খাওয়ার সেশনগুলো নিয়মিত আপলোডও করেন তিনি।

Tag :

মার খাওয়াকে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন “হাসান রেজা”

Update Time : ০৬:০৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১

বনলতা ডেস্ক.

তুরস্কের ইস্তাম্বুলের বাসিন্দা হাসান রেজা গনি মানুষের কাছে মার খাওয়াকে তিনি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। মার খাওয়ার বিনিময়ে কাছ থেকে তিনি অর্থ নিয়ে থাকেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে ইচ্ছে মতো তাকে মারার সুযোগ করে দেন হাসান। আর এজন্য তার রীতিমতো লাইসেন্সও আছে।

জানা যায়, হাসান রেজা গনি তুরস্কের ইস্তাম্বুলের বাসিন্দা। ঐ ব্যক্তি ২০১২ সাল থেকে ‘স্ট্রেস কোচ’ হিসেবে কাজ করছেন। হাসানের অবশ্য পিটুনি খাওয়ার পেশা বেছে নেয়ার পেছনে রয়েছে তুর্কি চলচ্চিত্র সার্ক বুলবুবুর অবদান। ঐ সিনেমায় কমেডি অভিনেতা কামাল সুনাল স্বেচ্ছায় মানুষের পিটুনি খাওয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

ঐ সিনেমাকেই অনুকরণ করেন হাসান, যে কেউ তাদের মানসিক চাপ ব্যায়াম করে কমাতে পারেন। অন্যদিকে কেউ চিৎকার করে কিংবা কাউকে মারধর করে মানসিক চাপ কমাতে চান। তাই যারা মারধরের মাধ্যমে চাপ কমাতে চান, তাদের মার খাওয়াকেই পেশা হিসেবে বেছে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন হাসান।

তিনি বলেন, আমার বেশির ভাগ ক্লায়েন্টই দৈনন্দিন কাজের চাপে বিষণ্নতায় ভোগেন। প্রতিদিন দুই থেকে চার জন ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। প্রতিটি সেশন চলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত। তার বেশির ভাগ ক্লায়েন্টই নারী বলেও জানিয়েছেন হাসান। ইউটিউব চ্যানেলে নিজের মার খাওয়ার সেশনগুলো নিয়মিত আপলোডও করেন তিনি।