বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ নেতা জহিরুল হত্যা: ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:২৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৩৭ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জগৎ বাজারের ব্যবসায়ী ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক হত্যা মামলায় ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া হত্যা মামলায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ও আট আসামিকে যাবজ্জীবনসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় দেন। তবে মামলার ১৬ আসামি কারাগারে এবং পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছেন। জহিরুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জগৎ বাজারের ব্যবসায়ী এবং নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে জহিরুল হক নিজ গ্রাম পয়াগে ফিরছিলেন। পথে আসামি বসু মিয়া, হাবিবুর রহমান, শহিবুর রহমান ওরফে শুক্কি, কবির মিয়া, সাচ্চু মিয়া, মোখলেছ মিয়া, রুহান ওরফে বোরহান, শিথীল আহমেদ ওরফে ফাহিম আহমেদ, রহমত উল্লাহ ফারিয়াজসহ অন্য আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনাস্থলের পাশে অবস্থান করছিলেন। জহিরুল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুটি মোটর সাইকেলযোগে আসামিরা তার সিএনজি ব্যারিকেড দিয়ে আটকান। এসময় সিএনজিতে থাকা জহিরুলকে তারা আক্রমণ করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করেন। আসামিরা সিএনজিচালক গোলাপ মিয়াকেও আঘাত করেন।

ঘটনার সময় অন্যদিক থেকে আসা আরেকটি সিএনজিরচালককে গোলাপ মিয়া বিষয়টি জানালে তিনি মোটরসাইকেল দুটি ধাওয়া করেন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা সিএনজি স্ট্যান্ডে থাকা লোকজনের সহায়তায় মোটরসাইকেল দুটিসহ আসামি শিথীল ও ফারিয়াজকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। জহিরুল হক ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই কবির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২১ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

জান্নাত/সা.এ

Tag :

আ.লীগ নেতা জহিরুল হত্যা: ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

Update Time : ০৩:২৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জগৎ বাজারের ব্যবসায়ী ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক হত্যা মামলায় ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া হত্যা মামলায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ও আট আসামিকে যাবজ্জীবনসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় দেন। তবে মামলার ১৬ আসামি কারাগারে এবং পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছেন। জহিরুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জগৎ বাজারের ব্যবসায়ী এবং নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে জহিরুল হক নিজ গ্রাম পয়াগে ফিরছিলেন। পথে আসামি বসু মিয়া, হাবিবুর রহমান, শহিবুর রহমান ওরফে শুক্কি, কবির মিয়া, সাচ্চু মিয়া, মোখলেছ মিয়া, রুহান ওরফে বোরহান, শিথীল আহমেদ ওরফে ফাহিম আহমেদ, রহমত উল্লাহ ফারিয়াজসহ অন্য আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনাস্থলের পাশে অবস্থান করছিলেন। জহিরুল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুটি মোটর সাইকেলযোগে আসামিরা তার সিএনজি ব্যারিকেড দিয়ে আটকান। এসময় সিএনজিতে থাকা জহিরুলকে তারা আক্রমণ করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করেন। আসামিরা সিএনজিচালক গোলাপ মিয়াকেও আঘাত করেন।

ঘটনার সময় অন্যদিক থেকে আসা আরেকটি সিএনজিরচালককে গোলাপ মিয়া বিষয়টি জানালে তিনি মোটরসাইকেল দুটি ধাওয়া করেন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা সিএনজি স্ট্যান্ডে থাকা লোকজনের সহায়তায় মোটরসাইকেল দুটিসহ আসামি শিথীল ও ফারিয়াজকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। জহিরুল হক ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই কবির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২১ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

জান্নাত/সা.এ