গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুরে ধারাবারিষা ইউনিয়নের দাদুয়া গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি ভাংচুর ও মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় জড়িত পুলিশের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনও করেছে ওই এলাকাবাসী। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দাদুয়া পুর্বপারা গ্রামের রাস্তায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও এলাকাবাসী ওই মানববন্ধন করেন। এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার অভিযোগে করে বলেন , সোমবার গভীর রাতে আসামী ধরার নামে গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে মফিজ হাজির বাড়ীর গেট ভেঙে ভিতরে গিয়ে একটি মোটর সাইকেলসহ কিছু আসবাব ভাংচুর করে।
উপজেলার দাদুয়া গ্রামের নিয়ম নীতির তোয়াকা না করে রতনের বাড়ীতে একই ঘটনা ঘটায় পুলিশ। একইসাথে ওই পরিবারের মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেছ বলে দাবি করেন তারা। এলাকাবাসী পুলিশের এধরণের পক্ষপাত আচরনের তীব্র সমালোচনা করে বিচারের দাবি জানান।
এদিকে পুলিশ বলছে, সেন্টু, কামাল, রফিকুল ইসলামের বাড়ীসহ পাঁচটি বাড়ীতে গিয়ে গেট কুপিয়ে হুমকি দেয় ওই মফিজ হাজী-সাইফুল, রতন বাহিনী। এখবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তারা। সেখানে কোন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। পরিবেশ শান্ত করতে তারা সেখানে গিয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, নৌকার প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মাষ্টার নির্বাচিত হওয়ার পর কিছু মানুষ বাড়ী ছাড়া রয়েছে বলেও পুলিশ জানায়।
ধারাবারিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিপন আলী ও ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ সভাপতি জানান, সেন্টু-কামাল বাহিনী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। নৌকার পক্ষে নির্বাচন করায় তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছেন এবং ঘর বাড়ি ভাঙ্গচুর করছে। পুলিশ বিষয়টি আমলে না নিয়ে উল্টো আমাদের নামে বেনামে প্রায় ২৬ জন এলাকা বাসীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। মানব বন্ধনে তারা এঘটনার বিচার দাবী করেন।
ধারাবারিষা ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, প্রথমে ধারাবারিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিপন সরদার তাকে ফোন করে বলেন গুরুদাসপুর থানার ওসিসহ কিছু পুলিশ তাদের এলাকায় আসামী ধরার কথা বলে তার নিজের বাড়িসহ দাদুয়া গ্রামের মফিজ হাজির বাড়ীর গেট ভেঙে ভিতরে গিয়ে একটি মোটর সাইকেলসহ কিছু আসবাব ভাংচুর করে। তার পর লোক মারফত খবর নিয়ে ঘটনার সত্যা পাওয়া যায়। পুলিশের কাজ হলো শান্তি স্থাপন করা। তারা যদি সেটা না করে উল্টো আরেকজনকে হয়রানী করে এটা যুক্তিযুক্ত নয়। তিনি এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিন মোবাইল ফোনে জানান, ধারাবারিষার রিপন সরদার ও আ.লীগ নেতা মফিজ হাজীসহ ২০-২৫ জন রাতে সেন্টু, কামাল, রফিকুল ইসলামসহ পাঁচটি বাড়ীতে গিয়ে গেট কুপিয়ে তাদের জিম্মি করার চেষ্টা করছিলো। এঘটনা জানার পর পরিস্থিতি শান্ত করতে সেখানে যাওয়া হয়। বাড়ীর ভিতরে কোন ভাংচুর বা গালি-গালাজ করা হয়নি। শুধু তল্লাশী করা হয়েছে। এঘটনায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের সুনাম ক্ষুন্ন এবং মনোবল নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।