শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ধামইরহাটে দুই বাংলার মিলনমেলা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৫২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২
  • ৪৬ Time View

ধামইরহাট নওগাঁ), প্রতিনিধিঃ-

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সীমিত পরিসরে দুই বাংলার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ স্বজনদের একনজর দেখার জন্য ভীড় করেন।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বিওপির মেইন পিলার নং-২৫৭ এর অভ্যন্তরে কাউটিপাড়া নামক সংলগ্ন মাঠের কাঁটাতারের দুই পার্শ্বে উৎসবমূখ পরিবেশে দুই বাংলার মানুষ মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করে।

মিলন মেলায় প্রতিবছরই ভারতের গেইট খুলে দিলে তারা বাংলাদেশের সীমানায় এসে বিভিন্ন পণ্য আদান-প্রদান করে। এবার মহামারি করোনা ভাইরাসের নতুন রুপ ওমিক্রনের জন্য গেট খুলে দেয়া হয়নি। উৎসবমূখর পরিবেশে সকাল থেকে আত্নীয় স্বজনরা উপস্হিত হয়ে অপেক্ষা করলেও দুপুরের পর মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য কাঁটাতারের দুই পার্শ্বে অবস্থানের মধ্য দিয়ে স্বজনেরা দুর থেকেই একনজর দেখা করতে পেরেছেন। দুই বাংলার কয়েক হাজার মানুষের সমাগম দুই দিকে হলেও প্রিয়জনদের কাছে না পেয়ে অনেকেই বুকে হতাসা নিয়ে ফিরে গেছেন।

এ বিষয়ে সাহাপার থেকে আসা বৃদ্ধা শেফালি বেওয়া জানান, আমার ছোট ছেলে সে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভারতে বাস করে। অনেক বছর পরে ছেলেকে দেখবো বলে সকাল থেকে বসে আছি কিন্তু মনের আশা পূরণ হলো না। আমার ছেলেটাকে কাছে থেকে একনজর দেখতেও পেলাম না। এদিকে আগ্রাদ্বিগুণ বিওপির বিজিবি সদস্যরা সকাল থেকে সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন ভাবে সর্তকর্তা প্রদান করেন। পাশাপাশি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা মাইকিং এর মাধ্যমে মিলনমেলায় উপস্থিত জনসাধারনদের সমাগম রক্ষা শতর্থে চেষ্টা করেছেন।

Tag :

ধামইরহাটে দুই বাংলার মিলনমেলা

Update Time : ০৪:৫২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২

ধামইরহাট নওগাঁ), প্রতিনিধিঃ-

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সীমিত পরিসরে দুই বাংলার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ স্বজনদের একনজর দেখার জন্য ভীড় করেন।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বিওপির মেইন পিলার নং-২৫৭ এর অভ্যন্তরে কাউটিপাড়া নামক সংলগ্ন মাঠের কাঁটাতারের দুই পার্শ্বে উৎসবমূখ পরিবেশে দুই বাংলার মানুষ মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করে।

মিলন মেলায় প্রতিবছরই ভারতের গেইট খুলে দিলে তারা বাংলাদেশের সীমানায় এসে বিভিন্ন পণ্য আদান-প্রদান করে। এবার মহামারি করোনা ভাইরাসের নতুন রুপ ওমিক্রনের জন্য গেট খুলে দেয়া হয়নি। উৎসবমূখর পরিবেশে সকাল থেকে আত্নীয় স্বজনরা উপস্হিত হয়ে অপেক্ষা করলেও দুপুরের পর মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য কাঁটাতারের দুই পার্শ্বে অবস্থানের মধ্য দিয়ে স্বজনেরা দুর থেকেই একনজর দেখা করতে পেরেছেন। দুই বাংলার কয়েক হাজার মানুষের সমাগম দুই দিকে হলেও প্রিয়জনদের কাছে না পেয়ে অনেকেই বুকে হতাসা নিয়ে ফিরে গেছেন।

এ বিষয়ে সাহাপার থেকে আসা বৃদ্ধা শেফালি বেওয়া জানান, আমার ছোট ছেলে সে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভারতে বাস করে। অনেক বছর পরে ছেলেকে দেখবো বলে সকাল থেকে বসে আছি কিন্তু মনের আশা পূরণ হলো না। আমার ছেলেটাকে কাছে থেকে একনজর দেখতেও পেলাম না। এদিকে আগ্রাদ্বিগুণ বিওপির বিজিবি সদস্যরা সকাল থেকে সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন ভাবে সর্তকর্তা প্রদান করেন। পাশাপাশি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা মাইকিং এর মাধ্যমে মিলনমেলায় উপস্থিত জনসাধারনদের সমাগম রক্ষা শতর্থে চেষ্টা করেছেন।