শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনে চলবে স্কুল, রাতে দেখানো হবে সিনেমা এডুট্রেইনমেন্ট সেন্টারে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮৬ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক.

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে দেশে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অর্থায়নে ৫০টি এডুট্রেইনমেন্ট সার্ভিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। যেখানে থাকবে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা। ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান কার্যক্রম এবং মুভি থিয়েটার থাকবে সেখানে। এসব সেন্টারে দিনে চলবে স্কুল এবং রাতে দেখানো হবে সিনেমা।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এসব তথ্য জানান।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অসামান্য অবদান রয়েছে। বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকার ঋণ প্রদান করছে। এর মধ্যে আটটি পার্ক স্থাপনের কাজ এ বছরের আগামী ফেব্রুয়ারি মধ্যে শুরু করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার (বিডিসেট) প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের ৬টি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, হাই-টেক পার্ক এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে। এখান থেকে আগামী দুই বছরে ২ হাজার ৪০০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। ইন্টারনেট অব থিংস, মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, এক্সটেনডেড রিয়ালিটিসহ অন্যান্য উচ্চতর বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। ৩০ জনকে ৬ মাসের জন্য ভারতে আইসিটির উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হবে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের ৫০টি করে স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো স্থাপন করা হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত আইটি এক্সিলারেটর (বিআইটিএ)। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ৬৪টি জেলায় ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ স্থাপন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে প্রতিটি জেলায় আইটি এক্সিলারেটরও স্থাপন করা হবে।

ভারতীয় হাইকমিশনার দুই দেশের সম্পর্ক আগামীর দিনগুলোতে আরও সুদৃঢ় হবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে ভারত সার্বিক সহযোগিতা করবে। প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে এগিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।

সাক্ষাৎ শেষে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং ভারতের মধ্যে ৪টি কার্যাদেশ স্বাক্ষরিত হয়। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি ও আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জুনাইদ আহমেদ পলক

Tag :

দিনে চলবে স্কুল, রাতে দেখানো হবে সিনেমা এডুট্রেইনমেন্ট সেন্টারে

Update Time : ০৭:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

বিশেষ প্রতিবেদক.

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে দেশে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অর্থায়নে ৫০টি এডুট্রেইনমেন্ট সার্ভিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। যেখানে থাকবে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা। ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান কার্যক্রম এবং মুভি থিয়েটার থাকবে সেখানে। এসব সেন্টারে দিনে চলবে স্কুল এবং রাতে দেখানো হবে সিনেমা।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এসব তথ্য জানান।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অসামান্য অবদান রয়েছে। বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকার ঋণ প্রদান করছে। এর মধ্যে আটটি পার্ক স্থাপনের কাজ এ বছরের আগামী ফেব্রুয়ারি মধ্যে শুরু করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার (বিডিসেট) প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের ৬টি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, হাই-টেক পার্ক এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে। এখান থেকে আগামী দুই বছরে ২ হাজার ৪০০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। ইন্টারনেট অব থিংস, মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, এক্সটেনডেড রিয়ালিটিসহ অন্যান্য উচ্চতর বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। ৩০ জনকে ৬ মাসের জন্য ভারতে আইসিটির উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হবে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের ৫০টি করে স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো স্থাপন করা হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত আইটি এক্সিলারেটর (বিআইটিএ)। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ৬৪টি জেলায় ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ স্থাপন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে প্রতিটি জেলায় আইটি এক্সিলারেটরও স্থাপন করা হবে।

ভারতীয় হাইকমিশনার দুই দেশের সম্পর্ক আগামীর দিনগুলোতে আরও সুদৃঢ় হবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে ভারত সার্বিক সহযোগিতা করবে। প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে এগিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।

সাক্ষাৎ শেষে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং ভারতের মধ্যে ৪টি কার্যাদেশ স্বাক্ষরিত হয়। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি ও আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জুনাইদ আহমেদ পলক