শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সকালের যেসব বদ অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৭৪ Time View

লাইফস্টাইল ডেস্ক.

প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর আমরা অভ্যাস হিসাবে কিছু কাজ করি যা মোটেই ইতিবাচক কিছু নয়। এই বদ অভ্যাসগুলো আমাদের ধীর, নেতিবাচক করে তোলে এবং সেকারণে আমরা ভালোভাবেই প্রভাবিত হই।

ধীরে ধীরে আমাদের সেসব বদ অভ্যাস বাড়ির লোকেদের বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে, আমাদের কাজের বারোটা বাজায় এবং কিছুই ভালো হয় না। তাই দিনের শুরুটি সুন্দর করার জন্য সকালের এই ৫ বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন এবং একটি উদ্যমী দিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন-

সকালে উঠেই ফোনের স্ক্রিনে চোখ

আজকাল আমরা যখন ঘুম থেকে উঠি তখন প্রথম যে কাজটি করি তা হলো, আমাদের ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকানো। এটি সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস যা আমাদের চোখকে প্রভাবিত করে। এটি আমাদের উত্পাদনশীলতা কমিয়ে দেয়। সুতরাং এর পরিবর্তে ঘুম থেকে উঠুন, একগ্লাস হালকা গরম পানি পান করুন, মুখ ধুয়ে নিন, বারন্দায় বা জানালায় দাঁড়ান বা বসুন এবং তাজা বাতাসে শ্বাস নিন। নিজের জন্য এক বা দুই ঘণ্টা রাখুন এবং তারপরে ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, আপনার মেইল ​​ইত্যাদি দেখুন।

সকালের নাস্তা না খাওয়া

সকালের নাস্তায় কিছু না খেয়ে দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকা। তারপর কফি বা চা খাওয়ার বদ অভ্যাস অনেকেরই আছে। আপনার দিন শুরু করার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ডিম, একটি টোস্ট বা একটি ওটমিল, কিছু তাজা ফল ইত্যাদি দিয়ে সকালের নাস্তা করুন।

গোসল না করা

সকালে উঠে গোসল করলে তা আপনাকে একটি সতেজ ও সুন্দর দিন শুরু করার অনুভূতি দেয়। এতে কাজে মনোযোগীও হওয়া যায় সহজে। গোসল আমাদের শরীরে ভালো হরমোন নিঃসরণ করে এবং আমাদেরকে উচ্চ কর্মক্ষমতার শক্তি দিয়ে প্রস্তুত করে। তাই দিনের শুরুতে গোসল না করার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন।

দেরি করে ওঠা

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দিনের সবকিছুর পরিকল্পনা করে নিন এবং তারপরে সেই অনুযায়ী কাজ করুন। যদি এটি ছুটির দিনও হয়, তবু অলসতা করবেন না। কেনাকাটার কাজ থাকলে ছুটির দিনে সেরে নিতে পারেন। পরিকল্পনায় দেরি করবেন না, এটি কখনই ফলপ্রসূ হয় না। গাছপালায় পানি দিন বা ঘর, ফ্রিজ পরিষ্কার করুন, যদি আপনার বাইরে যাওয়ার আগে সময় থাকে।

নেতিবাচক চিন্তা

ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে জীবনের নেতিবাচক জিনিসগুলো কখনই ভাববেন না। প্রার্থনা করুন বা নিজেকে ইতিবাচক কিছু বলুন। আপনার জীবনের ভালো জিনিসগুলোর জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন, আপনার সৌভাগের ওপর আস্থা রাখুন এবং আশাবাদী হোন। নেতিবাচক চিন্তা দিয়ে দিন শুরু করলে তা আপনাকে শুধু হতাশই করবে।

দাঁত দিয়ে নখকাটা, দাঁত দিয়ে নখকাটলে নখের যাবতীয় ময়লা পেটে চলে যায় যার ফলে মারাত্বক স্ব্যাস্থ হানী ঘটতে পারে।

খেয়ে উঠে গোসল করা অনেকেরই অভ্যাস। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলিতে রক্তের পরিমাণ বাড়ে। তাই খেয়ে উঠেই স্নান করলে হজমের সমস্যা হয়। শরীরের বিপাক হারকেও সমস্যায় ফেলে এই অভ্যাস।

ভরা পেটেই শরীরচর্চা করার স্বভাব থাকলে সে অভ্যাস আজই পরিত্যাগ করুন। এতে উপকার তো হয়ই না, উল্টো শরীরকে কষ্ট দেওয়ার পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়াকেও ব্যাহত করে তা।

 খেয়ে উঠে ঘুমিয়ে পড়াও ভাল নয়। এতে মেদ জমার সম্ভাবনা বাড়ে। বরং খাওয়ার পর অল্প হাঁটাহাঁটি করুন। এতে খাবারকে পাকস্থলী পর্যন্ত পৌঁছাতে সাহায্য করাও হবে আবার তাকে হজমের উপযুক্ত করে তুলতে পারবেন।

অনেককে দেখা যায় খাওয়ার পরেই ধূমপান শুরু করেন। এমনিতেই ধূমপান করা একেবারেই উচিত নয়। তার উপর অন্য সময় ধূমপান শরীরের যে পরিমাণ ক্ষতি করে, ভরপেট খাওয়ার পর ধূমপান করলে সে ক্ষতি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। কারণ ওই সময় শরীরের বিপাকক্রিয়া শুরু হয়, তখনই তামাকের ধোঁয়া শরীরে গেলে তা আরও বেশি বিপজ্জনক।

Tag :

সকালের যেসব বদ অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত

Update Time : ০৬:০৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্ক.

প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর আমরা অভ্যাস হিসাবে কিছু কাজ করি যা মোটেই ইতিবাচক কিছু নয়। এই বদ অভ্যাসগুলো আমাদের ধীর, নেতিবাচক করে তোলে এবং সেকারণে আমরা ভালোভাবেই প্রভাবিত হই।

ধীরে ধীরে আমাদের সেসব বদ অভ্যাস বাড়ির লোকেদের বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে, আমাদের কাজের বারোটা বাজায় এবং কিছুই ভালো হয় না। তাই দিনের শুরুটি সুন্দর করার জন্য সকালের এই ৫ বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন এবং একটি উদ্যমী দিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন-

সকালে উঠেই ফোনের স্ক্রিনে চোখ

আজকাল আমরা যখন ঘুম থেকে উঠি তখন প্রথম যে কাজটি করি তা হলো, আমাদের ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকানো। এটি সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস যা আমাদের চোখকে প্রভাবিত করে। এটি আমাদের উত্পাদনশীলতা কমিয়ে দেয়। সুতরাং এর পরিবর্তে ঘুম থেকে উঠুন, একগ্লাস হালকা গরম পানি পান করুন, মুখ ধুয়ে নিন, বারন্দায় বা জানালায় দাঁড়ান বা বসুন এবং তাজা বাতাসে শ্বাস নিন। নিজের জন্য এক বা দুই ঘণ্টা রাখুন এবং তারপরে ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, আপনার মেইল ​​ইত্যাদি দেখুন।

সকালের নাস্তা না খাওয়া

সকালের নাস্তায় কিছু না খেয়ে দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকা। তারপর কফি বা চা খাওয়ার বদ অভ্যাস অনেকেরই আছে। আপনার দিন শুরু করার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ডিম, একটি টোস্ট বা একটি ওটমিল, কিছু তাজা ফল ইত্যাদি দিয়ে সকালের নাস্তা করুন।

গোসল না করা

সকালে উঠে গোসল করলে তা আপনাকে একটি সতেজ ও সুন্দর দিন শুরু করার অনুভূতি দেয়। এতে কাজে মনোযোগীও হওয়া যায় সহজে। গোসল আমাদের শরীরে ভালো হরমোন নিঃসরণ করে এবং আমাদেরকে উচ্চ কর্মক্ষমতার শক্তি দিয়ে প্রস্তুত করে। তাই দিনের শুরুতে গোসল না করার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন।

দেরি করে ওঠা

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দিনের সবকিছুর পরিকল্পনা করে নিন এবং তারপরে সেই অনুযায়ী কাজ করুন। যদি এটি ছুটির দিনও হয়, তবু অলসতা করবেন না। কেনাকাটার কাজ থাকলে ছুটির দিনে সেরে নিতে পারেন। পরিকল্পনায় দেরি করবেন না, এটি কখনই ফলপ্রসূ হয় না। গাছপালায় পানি দিন বা ঘর, ফ্রিজ পরিষ্কার করুন, যদি আপনার বাইরে যাওয়ার আগে সময় থাকে।

নেতিবাচক চিন্তা

ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে জীবনের নেতিবাচক জিনিসগুলো কখনই ভাববেন না। প্রার্থনা করুন বা নিজেকে ইতিবাচক কিছু বলুন। আপনার জীবনের ভালো জিনিসগুলোর জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন, আপনার সৌভাগের ওপর আস্থা রাখুন এবং আশাবাদী হোন। নেতিবাচক চিন্তা দিয়ে দিন শুরু করলে তা আপনাকে শুধু হতাশই করবে।

দাঁত দিয়ে নখকাটা, দাঁত দিয়ে নখকাটলে নখের যাবতীয় ময়লা পেটে চলে যায় যার ফলে মারাত্বক স্ব্যাস্থ হানী ঘটতে পারে।

খেয়ে উঠে গোসল করা অনেকেরই অভ্যাস। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলিতে রক্তের পরিমাণ বাড়ে। তাই খেয়ে উঠেই স্নান করলে হজমের সমস্যা হয়। শরীরের বিপাক হারকেও সমস্যায় ফেলে এই অভ্যাস।

ভরা পেটেই শরীরচর্চা করার স্বভাব থাকলে সে অভ্যাস আজই পরিত্যাগ করুন। এতে উপকার তো হয়ই না, উল্টো শরীরকে কষ্ট দেওয়ার পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়াকেও ব্যাহত করে তা।

 খেয়ে উঠে ঘুমিয়ে পড়াও ভাল নয়। এতে মেদ জমার সম্ভাবনা বাড়ে। বরং খাওয়ার পর অল্প হাঁটাহাঁটি করুন। এতে খাবারকে পাকস্থলী পর্যন্ত পৌঁছাতে সাহায্য করাও হবে আবার তাকে হজমের উপযুক্ত করে তুলতে পারবেন।

অনেককে দেখা যায় খাওয়ার পরেই ধূমপান শুরু করেন। এমনিতেই ধূমপান করা একেবারেই উচিত নয়। তার উপর অন্য সময় ধূমপান শরীরের যে পরিমাণ ক্ষতি করে, ভরপেট খাওয়ার পর ধূমপান করলে সে ক্ষতি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। কারণ ওই সময় শরীরের বিপাকক্রিয়া শুরু হয়, তখনই তামাকের ধোঁয়া শরীরে গেলে তা আরও বেশি বিপজ্জনক।